somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিরে দেখা এক জন্ম কথা।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফিরে দেখা---৩২,৩৩


৩৪
এখন রাত কত কে জানে! মা-বাবা-ভাইবোন শূন্য ঘরে আজ শুধু তারা। সন্ধ্যের পর পরেই রওনা হয়ে গেছেন এই বাড়ির সবচেয়ে পুরনো বাসিন্দা দুজন। তারা বট-বৃক্ষের মতই বাড়িটিকে জড়িয়ে রেখেছিলেন এতকাল। আজ তারা নেই। নিয়তির কান্না এখনও চলছে। নিয়তির কাছে এই কান্নার কোন ব্যাখ্যা নেই। বারবার বিদায় দৃশ্যটি তার মনে পড়ছে। দুটি বালক বালিকাসহ মলিন চারটি মানুষের ছায়া জলপথে ক্রমশঃ মিলিয়ে গেল। নাকি ভেসে গেল—কে জানে! বেঁচে থাকলে হয়তো দৃশ্যটি সবারই মনে পড়বে ক্ষণে ক্ষণে। দিবাকর আজও বিমূঢ় প্রাণ। তার উপর কেউ জ্ঞানত ভরসা করেনা। তবু শ্বশুর শ্বাশুড়ি বলে গেলেন সবাইকে দেখে শুনে রাখতে। বালিশে কান চেপেও নিয়তির ফোঁপানো থেকে এই অন্ধকারে সে মুক্ত হতে পারছে না। তাদের সবারই বোধ হয় আবছা একটা জানা-কথা বার বার মনে হয় যে এ-জীবন তারা কেউ চায়নি। কী জীবন তারা চেয়েছিল আজ আর কেউ মনেও করতে পারে না। শুধু চরম অনাকাঙ্খিত এক জীবনের ভার তাদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তারা কিছুই জানে না। ঘুমের আগে জানে প্রাণ আছে। ঘুম ভাঙ্গলে জানে প্রাণ আছে। তবে সপ্রাণ সকাল আসবে কি না কেউ নিশ্চিত জানে না।

রবীন্দ্রবাবু তার এই বিলম্বিত দেশত্যাগ নিয়ে নৌকায় শুয়ে শুয়ে ভাবছিলেন। শেষ পর্যন্ত সকলের চাপ মেনে নিলেন। নিয়তিও মত দিল। ঠিক তার মায়ের সুরেই। এখন ভগবানের ইচ্ছা। সামনে কেমন দিন পাড়ি দিতে হবে জানেন না। তবু যাচ্ছেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে এতবড় একটি কঠিন কাজের দায় মাথায় নিলেন। মোহনগঞ্জ কিছুটা দূরে রেখে তারা ডিঙ্গাপোতা হাওরে এসে যখন পড়লেন তখন রাত বেশ গভীর। বর্ষার বৃষ্টি থেমে গেছে বেশ কদিন। এখন জলে সরে যাবে। এই অঞ্চলে মূলত বৃষ্টি-অতিরিক্ত জলটা আসে উত্তরের গারো পাহাড় থেকে। তারা সে দিকেই যাচ্ছে। মনসুর এই পথ অধীরের মতই চেনে। সে তার ভাতিজা কালামকে সহযোগী হিসেবে নিয়েছে। কালাম ভাল গুন টানতে পারে। উজানের দিকে যাওয়া। জায়গায় জায়গায় গুন টানতে হবে কাল থেকে। হাওর পার হলেই তারা মোহনগঞ্জ অঞ্চল পার হয়ে যাবে। রবীন্দ্রবাবু আগে কখনো এদিকে আসেন নি। ঈশ্বর চাইলে তিনি নিরাপদে বর্ডার পার হতে পারবেন। এখন এই অবস্থায় ঈশ্বর ছাড়া সহায় আর কে আছে! মানুষ দানবের সঙ্গে পারবে কেন! দানবদের হাতে এখন দেশ। আমরা দানবদের চোখে ধূলো দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি মাত্র। ধরা পড়লে শেষ। এই রকম পরিণতি কত মানুষের হয়েছে। এই সব ভাবতে ভাবতে রবীন্দ্রবাবু শুয়ে ঠিক ঘুমোলেন না, আবার জেগেও থাকলেন না, মাঝামাঝি একটা তন্দ্রামত অবস্থা। সতর্ক কান। ভোরবেলা উনি টের পেলেন আশেপাশের গ্রামের কিছু মানুষও তাদের মতই চলেছেন নৌকা করে। খবরটা প্রথম মনসুরই দিল—কাহা দেখছুইননি---আমরার লাহান আরও নাও চলতাছে---মন লয় হেরাও বর্ডারের দিহেই যাইতাছে।

সুপ্রভার মন পড়ে আছে শ্রীমন্তপুরে। ভাবছেন নিয়তির কথা। ভরা-মাস মাইয়ার, কীভাবে কী করবো—কে জানে। বাড়ি খালি করে তিনিও চলে এলেন। এইসব টান উপেক্ষা করে তার বেরিয়ে আসাটা কি আরো জরুরী ছিল—ছিল কি--এনিয়ে নিজেকে প্রশ্ন তিনি কম করেন নি। এখনও করে চলেছেন। তিনি এটা ভালো করেই জানেন যে তার এই সিদ্ধান্ত জগত-সংসারে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে চিরকাল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে তিনি নিজেকে এই প্রশ্ন করলেও তার দ্বারা তিনি বিদ্ধ হন নি কখনোই। প্রশ্নতো তিনি নিজেকে বারবার করবেন, কারণ নিয়তিও তারই সন্তান। তাকে ফেলে রেখেই যে আসতে হলো। মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের কাছে বাস্তবতার ব্যাখ্যা সবসময়ই অচেনা লাগে। এক বিপদ থেকে আরেক বিপদে মেয়েকে নিয়ে আসার কথা ভাবতে পারেন নি। কিন্তু তিনি নিজে সত্যিই এই অবস্থাতেই বেরিয়ে আসতে চেয়ে ছিলেন। কোন বাঁধা বা পিছুটান তাকে আটকাতে পারছিল না। শ্রীমন্তপুর থেকে তার বেরিয়ে আসাটা তার কাছে অন্য অনেককিছুর তুলনায় বেশি জরুরী হয়ে পড়েছিল।

তিনি তার স্বামী-সংসার-সমাজ চিনেছেন প্রায় দীর্ঘ চল্লিশ বছর যাবত। সংসারে একজন নারীর অবস্থান কীরকম তাও জেনেছেন একান্ত ভাবে নিজের জীবন দিয়ে। তিনি লেখাপড়া না জানতে পারেন—দুনিয়ার অনেক বিষয়ে তার অজ্ঞতা থাকতে পারে—কিন্তু মন দিয়ে, শরীর দিয়ে তিনি সংসারটা করেছেন এতদিন। এর মধ্যে কোন অযোগ্যতা তার কেউ দেখাতে পারেনি। কিন্তু কেউ এটা ভাবেনি বা ভাবতে পারার মতো পরিবেশও নেই যে সার্থকতার একটা আবছা ধারণা তার মধ্যেও থাকতে পারে। তারওতো জীবন নিয়ে একটা ইচ্ছা অনিচ্ছার কথা থাকতে পারে। কৃষি নির্ভর গৃহস্থ বাড়ির শ্রম আর সন্তানের জন্ম দেয়ার মধ্যেই তার ইচ্ছা অনিচ্ছার সীমা রেখা শেষ হয়ে যায়না। তার যে দুই দেশে দুই সংসারের ডালপালা ছড়ানো—একজন মায়ের এই দ্বিধা বিভক্ত সত্ত্বার কী যন্ত্রণা, কে আর কবে বুঝেছে--কে আর কবে তাকে ছেলেদের কাছে নিয়ে যাবে—এই ভরসা দিয়েছে। না, দেয়নি কেউ। তাই একটা পর্যায়ে এসে স্বামীর মতের বিরুদ্ধে প্রায় নীরব বিদ্রোহ করে বসলেন। তার সংসার জীবনের শেষ পর্যায়ে, যখন গোটা দেশটাই একটা না-দেশের চেহারা নিতে শুরু করলো, যখন বেঁচে থাকার সংকট চোখের সামনেই ক্রমশঃ ঘনীভূত হতে শুরু করলো, তখন তিনি এই সিদ্ধান্তটা নিতে গিয়ে স্বামীর মতের বিরুদ্ধে পর্যন্ত গেলেন। যা জীবনে কখনো করেন নি। কারণ তিনি যেন জানতে পারছিলেন যে এই সুযোগে যদি বেরোতে না পারেন তাহলে হয় সপরিবারে জীবন এখানেই শেষ হতে পারে অথবা দেশ কোনদিন শান্ত হলে সংসারের ভার যেমন বয়ে নিয়ে চলছিলেন তেমনই বয়ে চলতে হবে। দেশান্তরী সন্তানদের মুখ আর কখনো দেখতে পারবেন না।
৩৫
সকাল থেকেই গন্ধটা বাতাসে ভাসছিল। অনেকক্ষণ থেকেই একটা গা গোলানো ভাব। ছৈএর ভেতর থেকেই প্রথম শোনা গেল কেউ সশব্দে বমি করছে। রবীন্দ্রবাবু মুখ বের করে দেখলেন কালাম পাটাতনের উপর বসে ওয়াক ওয়াক করে যাচ্ছে। মনসুরের নাকে মুখে গামছাটা বাঁধা। তবু কোন মতে বললো—কাহা ভিতরে থাহুইন—বাইরোন্যাযে---জাগাডা ভালা না। ততক্ষণে রবীন্দ্রবাবুর চোখে পড়ে গেছে অন্তত দুটো লাশ। ছোট ছেলে সুবলও ততক্ষণে বমি করে ফেললো। নৌকার সামনের দিকে গিয়ে ঝুঁকে বমি করতে গিয়ে ‘মাগো’বলে ভয়ানক এক চীৎকার করে উঠলো সে। তাড়াতাড়ি তাকে ধরে ছৈয়ের ভেতরে নিয়ে আসা হলো। জায়গাটা পার হয়ে যাওয়ার জন্য মনসুর আপ্রাণ নৌকা বাইছে। আসলে বর্ষায় খাল বিল নদী একাকার হলে কচুরীপানারাও স্থানচ্যুত হয়ে ভেসে যায় বা এখানে ওখানে জমে থাকে । খাল বা নদী ভরাট হয়ে গেলে দেখা যায় মূল একটা স্রোত খাল বা নদীর রেখা ধরেই চলছে। আশেপাশে প্লাবিত এলাকার জল মোটামুটি স্থির থাকে। সেই খানেই জায়গায় জায়গায় কচুরিপানার জমায়েত। স্রোতের উলটা দিকে যেহেতু যাওয়া মনসুর তাই অপেক্ষাকৃত স্থির জলের পথটাই বেছে ছিল। কিন্তু সেখানেই জমে আছে কচুরিপানার আড়ালে আড়ালে অনেক লাশ। তাদের নৌকা এ্কসময় ধাক্কাও খেয়েছে লাশের সঙ্গে। অভিজ্ঞ মাঝি সে সব সওয়ারী কাউকে বলেনি। কিন্তু কালাম দেখে ফেলেছে। বোধহয় প্রথম দেখা—তাই বমি করে ফেলেছে। এখন মনসুর আবার মূল নদী-পথেই ফিরে এলো। কষ্ট হলেও স্রোতের উলটা দিকেই নৌকা টানছে। ওর ধারনা এই সব লাশ কিছুটা পুরনো।

প্রায় ঘণ্টা দুয়েক যাওয়ার পর গন্ধটা কমে এলো। মাঝে তারানগর বাজারের কাছে এক বাড়ি থেকে খাওয়ার জল নেয়া হলো দুই কলসী।কিন্তু খাওয়া আর বিশ্রামের জন্য নৌকা থামলো আরো এগিয়ে। জায়গাটা রবীন্দ্রবাবুর চেনার প্রশ্ন নেই—মনসুর চেনে। তারানগর বাজার ছাড়িয়ে অনেকটা এগিয়ে ইন্ডিয়ার বর্ডারের কাছাকাছি। মনসুরের কথা অনুযায়ী জায়গাটা মুক্তিযোদ্ধাদের আওতায়। কাছাকাছি পাকিস্তানী মিলিটারির কোন ক্যাম্প নেই। তবে জলপথে হামলা করতে মাঝে মাঝে আসে। মনসুর কীভাবে এত সব জানে রবীন্দ্রবাবুর জানা নেই। জানেন শুধু এই পথে মনসুর আগে আরো বেশ ক’বার এসেছে। তবে তিনি মনসুরের সব কথাই বিশ্বাস করেন। বর্ষার জল চারদিকে। নদী খাল বিল হাওর সব একাকার। খুব কাছাকাছি ভারতের গারো পাহাড় চোখে পড়ছে। তারা যেখানে থেমে আছে তার খুব কাছাকাছি জনপদ দেখা যাচ্ছে না। তবে গাছগাছালি ভরা একটা ভূ-খন্ড পাওয়া গেছে। কাছাকাছি আরো কয়েকটা নৌকাও থেমে আছে। সবই ব্যাপারি নৌকা বা মাছ মারার নৌকা মনে হলেও কয়েকটি মনে হচ্ছে তাদের মতই বর্ডার পার হওয়ার উদ্দেশ্যে আসা নৌকা। আসলে এটা সীমান্ত পার হওয়ার আগের একটা বিশ্রাম করার জায়গা। মনসুর নৌকা বেঁধে হাঁক দিল--- কাহিমা রান্দা বারা করুইন---বৈকালের আগে যাওন যাইত না। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তাদের ভাত খাওয়া হয়নি। চিড়ে মুড়ি খেয়েই চলছিল। সুপ্রভা তোলা উনুনে লাকড়ি দিয়ে রান্না চাপিয়ে দিলেন। রান্না বলতে ডাল আর ভাত।

মনসুর আর তার ভাতিজা খাওয়ার পর কিছুটা ঘুমিয়েই নিল। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার মুখে তারা আবার নৌকা ছাড়ার প্রস্তুতি নিল। কিন্তু ঐ সময়ই হঠাৎ কানে এলো বেশ গুরুগম্ভীর গুলির আওয়াজ। উৎকন্ঠিত সবাইকে মনসুর আশ্বস্থ করলো যে শব্দটা অনেক দূর থেকে আসছে। ওইডা বন্দুক না, কামানের আওয়াজ---যত বর্ডারের দিকে যাইবাইন তত হুনবাইন--ভয়ের কিছু নাই— ।

জলাজমি ছেড়ে একসময় দেখা গেল একটা নদী ধরে তাদের নৌকা এগোচ্ছে। রাত হয়ে গেছে। আবছা অন্ধকারে একদিকে পাহাড়, একদিকে সমতল। জায়গাটা কোথায়, তার উত্তরে মনসুর জানালো---কাহা এইমাত্র বর্ডার পার অইলাম—আর এট্টু পরেই আফনেরার লামতে অইব। এইখানে বর্ডার বোঝা মুষ্কিল। তবু কথাটা শুনে রবীন্দ্রবাবুর বুক থেকে যেন পাথর সরে গেল। চোখে পড়তে লাগলো নদীর পাড়ে পাহাড়ের দিকটায় অজস্র বাতি জোনাকির মত জ্বলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা ঘাটে মনসুর তার নৌকা লাগালো। ঘাটে নৌকা আর মানুষের বেজায় ভীড়। একটা বাজারর মত জায়গা। নাম শোনা গেল এলং বাজার। রাতে এখানে নেমে কোথায় কী আছে বোঝা মুষ্কিল হবে । ঠিক হলো মনসুরের নৌকা রাতে থাকবে । রবীন্দ্রবাবুরা রাতটা নৌকাতেই কাটাবেন। ভোরবেলা তারা নেমে যাবেন এবং মনসুরও ফিরে যাবে। কেরোসিনের কুপি ধরিয়ে রাতে তাই সুপ্রভা আবার সবার জন্য রান্না করলেন। বহুদিন পর জলে ভাসা এক নৌকায় বসে তারা বেঁচে থাকাটা নতুন করে অনুভব করলেন। নিজেদের মধ্যে স্বাভাবিক কথাবার্তাও বললেন। খাওয়া দাওয়ার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও আশ্চর্য, রবীন্দ্রবাবু আর সুপ্রভা ঘুমোলেন না। তাদের চোখে আর ঘুম এলো না। ধীরে ধীরে মানুষের কোলাহল থেমে গিয়ে জায়গাটা নীরব হয়ে গেল। নির্ঘুম দু’জন মানুষ নৌকার নিচে জলস্রোতের মৃদু শব্দ আর মাঝে মাঝে দূরাগত কামান গর্জনের ভেতর নিজেদের ছড়িয়ে দিয়ে খান খান হয়ে পড়া স্তব্ধতার ভেতর ভাসতে থাকলেন।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প- ৯৪

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০১



নাম তার তারা বিবি।
বয়স ৭৭ বছর। বয়সের ভাড়ে কিছুটা কুঁজো হয়ে গেছেন। সামনের পাটির দাঁত গুলো নেই। খেতে তার বেগ পেতে হয়। আমি তাকে খালা বলে ডাকি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়ি বুনো ফল-রক্তগোটা ভক্ষন

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫

পাহাড়ি বুনো ফল রক্তগোটা এর রয়েছে বিভিন্ন নাম-রক্তগোটা, রক্ত ফল, রক্তআঙ্গুরী, রক্তফোটা, রক্তজবা পাহাড়িরা আবার বিভিন্ন নামে ডাকে। এর ইংরেজী নাম ব্লাড ফ্রুট।











প্রতি বছর... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেষমেষ লুইচ্চা হামিদও পালিয়ে গেলো!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩



৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয় ফেসিস্ট হাসিনা ও তার দল আম্লিগের। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে দলটির চোরচোট্টা নেতাকর্মীরা। অনেক চোরচোট্টা দেশ ছাড়লেও এতদিন দেশেই ছিলো আম্লিগ সরকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত আইসি ৮১৪ বিমান অপহরণের সঙ্গে, জইশ জঙ্গি মাসুদের ভাই রউফ আজ়হার:

লিখেছেন ঊণকৌটী, ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩১

অপারেশন সিঁদুরে নিহত আইসি ৮১৪ বিমান অপহরণের সঙ্গে যুক্ত, জইশ জঙ্গি মাসুদের ভাই রউফ আজ়হার: ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর আব্দুল-সহ পাঁচ জঙ্গি আইসি-৮১৪ বিমান অপহরণ করেছিল। মাসুদ আজ়হার আলভি-সহ তিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কওমী শিক্ষা ইসলামের বিকলাঙ্গ শিক্ষা

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৫৬



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×