somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিরে দেখা এক জন্ম কথা

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফিরে দেখা---২০,২১


২২
রাতে আজ ঘরে কথা হচ্ছে। নিচু স্বরে। সালাউদ্দিন কথার সুত্র ধরিয়ে দিয়ে গেছেন। বাচ্চারা ঘুমন্ত। এক ঘর অন্ধকারে দুই বিছানায় তারা দুজন বসে আছে। একটু একটু করে রাত পার হচ্ছে। সুপ্রভার প্রশ্নের উত্তরে রবীন্দ্রবাবু মাঝে মাঝে নিশ্চুপ। উত্তর যেন মাঝে মাঝে নিজেকেই দিচ্ছেন।--সবাই ভাবে ইন্ডিয়া স্বর্গ। সেখানে গেলে প্রাণ বাঁচে ঠিকই। মান আর বাঁচে কই। গোনা পয়সায় খাওয়া। সব কিছুইত কিনে খেতে হয়। যারা একসময় সব বিক্রি বাটা করে যেতে পেরেছে তারা হয়তো একটু মানুষের মতো আছে। তা না হলেত রিফিউজি ক্যাম্পের নরক বাস। ক’জন পারে। চলে যাওয়াটা খুব সহজ কথা নয়। জমি নির্ভর মানুষের চলমানতা থাকেনা। সুপ্রভা যখন ছেলেদের ইন্ডিয়ায় পাঠানোর জন্য ব্যস্ত তখন তিনি এসবে বাধা দিতে চাননি ঠিকই । হয়তো ভাবতেন কিছু একটা সুরাহা হবে ঠিকই, ভরসা বড় ছেলেটা যখন আগে থেকেই আছে সেখানে। কিন্তু কোন পরিষ্কার ধারণা সুপ্রভার কেন, তার নিজেরও ছিলনা। পরে যখন একবার গিয়ে নিজে কিছুটা আঁচ পেয়ে এলেন তখন আর কিছু করার উপায়ও নেই। জমি বেচে টাকা পাচারের মত ধুরন্ধর কাজ কি আর তিনি করতে পারেন। বরং ততদিনে হিন্দুদের পক্ষে জমি বেচাই মুষ্কিল হয়ে গেছে। তার উপর যদি কেউ সরকারের কাছে রিপোর্ট করে যে তার সন্তানেরা ইন্ডিয়ায় আছে তা হলে এই অজুহাতেই তার সমস্ত সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি হয়ে যেতে পারে । এক হতে পারতো সম্পত্তি বিনিময় করে চলে যাওয়া। তারও নানা অসুবিধে। শরিকরা রাজি হয়নি। নিজে বয়ঃজ্যেষ্ট হওয়ার কারণে একা একা বিনিময় করে গায়ে লাগা শরিকি বাড়িতে অচেনা কোন মুসলমান পরিবারকে বসিয়ে দিয়ে চলে যাওয়াটাও তার কাছে নেহাৎ অধর্ম বলেই মনে হয়। তা ছাড়া তিনি জমি জোতের ব্যাপার স্যাপার বোঝেনও কম। একা একা কোথায় গিয়ে কী অবস্থায় পড়বেন—ভেবেই তিনি সব সময় পিছিয়ে থাকেন। অনেকক্ষণ কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে সুপ্রভা এক সময় বালিশে মাথা রেখে শুয়ে পড়লেন। অপেক্ষা করতে লাগলেন কখন সকাল হবে।

নিয়তি রওনা হয়ে গেছে আজ দুদিন হয়ে গেছে। কতদিন মেয়েটা বাড়িতে রইল—কীভাবে যে সময় পার হয়ে গেল—আর এখন সে নৌকায়। নৌকা এখন কোথায়, কী ভাবে যাচ্ছে,কী করছে—সুপ্রভা ভাবতে গেলে কেমন যেন কাতর হয়ে পড়েন। এত নিরুপায় অবস্থায় জীবনে কখনো পড়েছেন বলে মনে করতে পারছেন না। বেশিক্ষণ ভাবনাটা মাথায় রাখতেও পারেন না। শরীরে মনে খুব শক্তপোক্ত মানুষ তিনি, কিন্তু মেয়েটার কথা ভাবলে এখন আর স্থির থাকতে পারেন না। কেমন দুর্বল বোধ করেন।
এর তার মুখে শুনে দেশটার অবস্থা তারা কেউই সম্যক ধারণা করতে পারেন না। কিন্তু ভয়টা কেমন যেন চুঁইয়ে চুঁইয়ে তাদের এই প্রান্ত পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলেছে। নিয়তির সঙ্গে সুপ্রভার কথাবার্তা এখন পর্যন্ত তৃতীয় কেউ জানে না। দিবাকরও জানে না। তার সন্দেহ তাদের মা মেয়ের মধ্যে বিবাদ হয়েছে। বিবাদ একটা হয়েছিল । সেটা যতটা সরবে তার চেয়ে অনেক বেশি নীরবে। কিন্তু বিবাদের আড়ালে তারা দুই নারী একদিন এক চূড়ান্ত সহমতে পৌঁছোতে পারলো।
নিয়তিই একদিন তার মাকে প্রস্তাবটা দেয় যে সে মুক্তাগাছায় ফিরে যাবে। তার আশা সে ফিরে গেলে হয়তো ঘর বাড়ি ফেলে রেখে সুপ্রভাও বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ দেবে রবীন্দ্রবাবুকে। কিন্তু বাস্তবতা কি তাই?--নিয়তি ফিরেই বা কোথায় যাবে। খবর যতটুকু সংগ্রহ করা গেছে তাতে জানা যাচ্ছে ঘরবাড়ির কাঠামো আছে,কিন্তু ভেতরে কিছু আছে কিনা জানা যাচ্ছে না। শুরুর দিকের একতরফা অত্যাচার এখন আর এক তরফা হচ্ছে না। মাঝে মাঝে সেখানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। একটানা মার খেয়ে কোথাও কোথাও একটা স্বাভাবিক প্রতিরোধের বাতাবরণ যেন তৈরি হচ্ছে। নিয়তির প্রস্তাবে সুপ্রভা বিমূঢ়। কোন কথা তিনি বলতে পারছেন না। নিয়তি হঠাৎ করে এখানে আসাতে তিনি অস্বস্থি লুকোতে পারেন নি। মৃত্যু-ভয়ের মুখে দাঁড়িয়ে বিপদে পড়া মা আর সন্তান,তারা কেউই জানে না কী করা উচিত । আত্মরক্ষার উপায় কী, কে তাদের ঠিক দিশা দেখাবে। বাড়ির পুরুষদের উপর প্রাথমিকভাবে উষ্মা জন্মালেও এখন মনে হয় কেইবা কী করবে। কারই বা কী করার ক্ষমতা আছে। নিয়তি ভাবে যে মুক্তাগাছায় ভয় ছিল এই মারে সেই মারে, আজ মারে কাল মারে—কিন্তু এখানে তো মারা, মেরে ফেলা,মৃত্যু এসব দৃশ্যমান না হলেও এসবের সাথে, সাথে ঠিক নয় একটু আগে, আছে এক চরম উৎকন্ঠা—যার চাপ সহ্য করা কখনো মনে হয় মৃত্যুরও অধিক। ভয়ার্ত পশুদের স্তরে নেমে যাওয়া জীবন কত আর টানা যায়।

তাই নিয়তি যাবেই। বাবা মায়ের রাজি অরাজি হওয়া এখন আর বিষয় নয়। যে আশা নিয়ে সে এখানে এসে ছিল সেটাত প্রথমেই ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল বাবা ,মায়ের নানা বিষয়ে মতান্তরের কারণে। এখন মাও আর চান না তার সন্তানসম্ভবা মেয়ের প্রসব এখানেই হউক। আসলে মায়ের শিকড় শ্রীমন্তপুরের মাটি থেকে ছিন্ন হয়ে গেছে। এই ক’মাস একজন ছিন্নমূল মাকেই সে দেখেছে। এই মাটিতে দাঁড়িয়ে মা’যে একজন ছিন্নমূল হতে পারেন তা প্রায় অবিশ্বাস্য। জন্মাবধি মায়ের জীবন যতটুকু দেখা গেছে তাতে সত্যি তাকে চেনার অনেক বাকি ছিল বোধ হয়। আর সেই অজানা মানুষটিই আজ তার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে। অচেনাত লাগবেই।
২৩
মেয়েদের ছকে বাঁধা এক জীবন ছিল এখানে। ছকের বাইরে গেলে মেয়েরা বাঁচতোনা। বাঁচা সম্ভব ছিল না। প্রকৃত অর্থেই জলের ধর্ম তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল। যে পাত্রে তাকে ঢালা হবে সেই পাত্রের আকার তাকে নিতেই হবে। বলাবাহুল্য পাত্রটি ছিল লিঙ্গ পরিচয়ে একজন পুরুষ। নিয়তির এবারকার ধারণা তার মা ততখানি জল-ধর্মী ছিলেন না। এবার মাকে একটু নতুন করে চিনলো যেন সে। একটু কম জল-ধর্মী হওয়ার কারণে মায়ের প্রভাব এই সংসারে অনেক বেশি ছিল। বাবার বিষয়-বিমুখতার কারণও মায়ের এই ব্যাক্তিত্ব নির্মাণে সহায়ক হয়েছিল। এই সবই ঠিক আছে। মায়ের মত একজন মহিলা এই সংসারে এসেছিলেন বলেই এতগুলো প্রাণ এখন পর্যন্ত টিঁকে থাকতে পেরেছে । কিন্তু বাস্তবত মা আমাদের আবহমান সংসারের রীতি অনুযায়ী পুত্রদের জন্য যতখানি যত্নবান ছিলেন ততখানি কন্যাদের জন্য ছিলেন বলে মনে হয় না। বাস্তবতার নিরিখে মায়ের মনোভাবে আমরা কোন অন্যায্যতা দেখিনি। পুরুষ শাসিত এক আবহমানতা হয়তো বাইরের যাবতীয় কর্কশতার মধ্যেও মায়ের অন্তরের নরম মনের হদিশ আমরা কন্যা সন্তানেরাই খুব কাছে থাকার সুবাদে পেতাম। অন্তত আমিত পেয়েছিই। সংসারে মেয়েদের অবস্থান নিয়ে মা কখনো ক্ষোভ প্রকাশ না করলেও মা কি ভেতরে ভেতরে কাঁদতেন!—মনে হয় কাঁদতেন। কিন্তু সেটা দেখা যেত না। তবে বলতেন যে মেয়েদের কান্নাটা সংসারে খুব স্বাভাবিক। কিছু কিছু সময় সেটা আবশ্যিকও। না হলে সারাজীবনের মতো ঘোর নিন্দা হিসেবে সেটা ঝুলে থাকবে। যেমন বিবাহের পর পতিগৃহে যাত্রার সময়। মা এসব বললেও মায়ের কান্না মোটেও এরকম কিছু ছিল না। মায়ের এই কান্না ছিল এক গভীরতর বোবা কান্না। পুত্র সন্তান রক্ষার কান্না। বংশ রক্ষার কান্না। বংশ পুত্রদের দ্বারাই রক্ষিত হয়। পুত্ররা তাই বিকাশমান । বিশ্বাস ছিল—কথা প্রসঙ্গে বলতেনও যে পূণ্যবতী মেয়েদের জীবনে তিন পুরুষের গল্প থাকে। শৈশবে পিতা, যৌবনে স্বামী, বার্ধক্যে পুত্র। এই তিন পুরুষের তিন আশ্রয় তার পূণ্যভূমি। সেই হিসেবে মায়ের এখন পুত্রের অধীনে থাকার কথা। সেই হিসেবেও মায়ের এখন শ্রীমন্তপুরে থাকার কথা নয়।

মায়ের প্রভাবে আমরাও কমবেশি তাই হয়েছি, বা হতে চেয়েছি। শ্রীমন্তপুরে থাকতে না চাওয়াটা মায়ের পক্ষে অন্যায্য কিছু না। এ তার সারা জীবনের অর্জন—পুত্রদের প্রতিষ্ঠা—সে যেমনই হউক, তিনি তাদের সান্নিধ্য কামনা করতে পারেন। বাঁধা দিচ্ছে শুধু এই সময়টা। সময়ের ঘুর্ণিতে ছিন্ন পাতার মত উড়ে আসা তার এই মেয়েটা। আর এসেই যেন সে এক তীব্র পরীক্ষার মুখে ঠেলে দিল তাকে। এই উচ্ছন্ন সময় না হলে মায়ের কাছে এ-সব কোন সমস্যাই ছিল না। এই উচ্ছন্ন সময় তাকে নিহত হওয়ার বার্তা দিয়েছে। ওৎ পেতে বসে থাকা মৃত্যুর ছায়া দেখিয়েছে। দেশান্তরে থাকা সন্তানদের আর চোখের দেখা দেখতে না পাওয়ার কথা শুনিয়েছে। এক কথায় স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা, যেখানে তার শরীর মন আর কোন ভারসাম্য খুঁজে পাচ্ছে না।–অবশ হয়ে আসছে। ভরা সংসারে সন্তানবতী সুপ্রভা হঠাৎ নিজের কাছে গভীর ভাবে একাকী হয়ে পড়েছে। ফলে নিয়তির কাছে তাকেত অচেনা লাগবেই।

দিবাকরের ধারণা তাদের মা মেয়ের মধ্যে বিবাদ হয়েছে। সাহস করে একদিন নিয়তির কাছে সে জানতে চেয়েছিল—বিনিময়ে সে ধমক খেয়েছিল। কিন্তু যেটা সে শোনেনি, বা না বললে আর জানবেও না, সেটা হলো বিবাদটা হয়েছিল তার মায়ের সঙ্গে বাবার। নিয়তি সেটা শুনে ফেলে। দেশছাড়ার জন্য সুপ্রভার প্রতিদিনকার চাপের মুখে যখন রবীন্দ্রবাবু তার অনড়-থাকা অবস্থানটা পুনর্বিবেচনা করার কথা ভাবছিলেন তখনই নিয়তি এসে শ্রীমন্তপুরে পৌঁছেছিল। আর নিয়তির অবস্থা বিবেচনা করে তিনি পুনরায় তার না-যাওয়ার সিদ্ধান্তটাই বহাল রাখতে চেয়েছিলেন। বিবাদের কারণটা ছিল এটাই। কথা কাটাকাটি, রাগারাগি—ইত্যাদির পর রবীন্দ্রবাবুর বক্তব্য ছিল ভগবান চাইছেন না আমরা চলে যাই। না হলে মেয়েটাকে এই সময় কেন এখানে টেনে আনবেন। এই অবস্থায় মেয়েকে নিয়ে যে কোথাও যাওয়া যায় না, এটা না বোঝার মত মানুষ সুপ্রভা নয়, তবু কেন যে তিনি সেই এক কথা বার বার বলে যাচ্ছেন—

অদৃষ্টবাদী রবীন্দ্রবাবু এখন আর রাগারাগি করছেন না। মৃত্যু-ভয় কি সুপ্রভার মানবিক প্রবৃত্তিগুলো্কে এলোমেলো করে দিয়েছে?—হতে পারে। মাঝখানে নিয়তিকে রেখে মৃত্যুর ছায়ায় ছায়ায় তাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বলতে যখন আর কিছুই নেই, যখন সকালে ঘুম থেকে উঠেই হিসেব করা হয় একটা দিন বাঁচা হলো, যখন খাওয়া পরা সম্পর্কিত দৈনন্দিনতা প্রায় মানবেতর পর্যায়ে, ঠিক তখনই নিয়তি ঘোষণা করে বসলো সে মুক্তাগাছা ফিরে যাবে।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জুম্মাবার

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ০৭ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০

জুম্মাবার
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

প্রতি শুক্রবার ইমাম এর নেতৃত্ব
মেনে নিয়ে আমরা মুসলিমরা
হই একত্রিত, হই সম্মিলিত
ভুলে যাই সবাই হৃদয় ক্ষত!
খুতবা শুনি আমরা একাগ্রচিত্তে
চলে আসি সকলে একই বৃত্তে।
কানায় কানায় পরিপূর্ণ প্রতিটি মসজিদ
ঐক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষেরা একজোট হতে চাই

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৭ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫১



ভারত - পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধে কি করতে পারি আমরা? একজন নীতিবান, যুদ্ধবিরোধী ও মানবতাবাদী মানুষ হিসেবে একক এবং সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আমরা অনেক কিছু করতে পারি। চলুন নিচে দেখা যাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

অপারেশন সিদুঁর বনাম অপারেশন নারায়ে তাকবীরের নেপথ্যে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:২৮


বলতে না বলতেই যুদ্ধটা শুরু হয়ে গেল। না, যুদ্ধ না বলাই ভালো—রাষ্ট্রীয় অভিনয় বলা ভালো। ভারত ও পাকিস্তান আবার সীমান্তে একে অপরকে চেঁচিয়ে বলছে, "তুই গো-মূত্রখোর ", "তোর দেশ জঙ্গি"।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেই পুরোনো সিনেমা

লিখেছেন প্রফেসর সাহেব, ০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১:০৮



ঘটনা হইতেছে, পাকিস্তান জ*গী পাঠাইয়া আক্রমণ করাইছে।

ভারত বলছে 'কাম কি করলি? তোর সাথে যুদ্ধ'। পাকিস্তান বলছে 'মাইরেন না মাইরেন না আমরা মারিনাই, ওই কুলাংগার জ*গীরা মারছে'

'আমরা আপনাগরে ওদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেষমেষ লুইচ্চা হামিদও পালিয়ে গেলো!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩



৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয় ফেসিস্ট হাসিনা ও তার দল আম্লিগের। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে দলটির চোরচোট্টা নেতাকর্মীরা। অনেক চোরচোট্টা দেশ ছাড়লেও এতদিন দেশেই ছিলো আম্লিগ সরকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×