রাসেল!
বন্ধু আমার,
তোমার পিতার জম্মদিনে
আজ আমি হাসতে পারছিনে, রাসলে –হাসতে পারছিনে।
সকাল গিয়েছিলেম তোমাদের বাড়িতে বত্রিশ নম্বরে
আজ তোমার পিতার জন্মদিনে।
কল্পনায় দেখি-
স্নিগ্ধ হাসিতে আমারই মতো টগবগে এক যুবক
ফুলের তোঁড়া হাতে বাবার শতায়ু কামনা করে
আনন্দ অভিবাদন জানাচ্ছে।
এবং পিতা-পুত্রের আলিঙ্গনে
আনন্দাশ্রু মুছছে সমবেত অতিথিবৃন্দ।
যখন রিক্সা এসে থামলো তোমার বাড়ির গেটে
সমবেত জনতার মুখের দিকে চেয়ে ...
রাসেল! আমি আর পারছনিনে রাসেল
আমার সে সুখ-স্বপ্ন, আমার কল্পনা
হাঁয়েনার থাবায় স্তব্ধ হয় যায় মূহুর্তে
স্বপ্নের শবদহে দেখি শকুনীর জয়োল্লাস
আমি আতঙ্কে চিৎকার করে উঠি 'না'।
ধীর পায় প্রবেশ করি দো'তলায় তোমার ঘরে
কোন যুবক রাসলেক খুঁজে পাইনে আর-
কেউ অভ্যর্থনা জানাত আসে না বন্ধুকে
সবুজ সতজে হয় ওঠে না চতুর্দিক যৌবনের রাগে।
শিশু রাসলের হাসিতে উদ্ভাসিত ছবির দিকে চেয়ে
স্থির দাঁড়িয়ে থাকি। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকি
আমার মাথা সপ্ত আসমান ভেদ করে আরশের পানে
এবং আমি মুখোমুখি হই বিধাতার।।
এক যুবক পিতাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে তার জন্মদিনে
-এ দৃশ্য বাঙালীকে ফিরিয়ে দেবার দাবী জানাই।
যদি না পারো হে বিধাতা -আমাকে শক্তি দাও
যেন পৃথিবীর সব হাঁয়েনার কলিজা খুবলে ছিঁড়ে এনে
ফেলে দিতে পারি তোমার আরশের পদতলে।
হায়েঁনা মূক্ত পৃথিবীতে ভবিষ্যৎ রাসেলেরা বেঁচে থাকুক
পিতার স্নেহের ছাঁয়ায়।
আর তাও যদি না দাও -এ শোক ভুলবার শক্তি
আমরা কোনদিন চাইব না তোমার কাছে।
আমার বন্ধুকে শুধু রেখো তোমার স্নেহের ছাঁয়ায়।।
কবিঃ যুব ও মেধা অধিকার কর্মী
ঢাকা, ১৭ই মার্চ, ১৯৯৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





