আমাদের উদ্ভ্রান্ত নিহিলিশ হল্লায় রংটা খুব জমেছিলো! আটপৌরে নিয়মকানুন গুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর এরকম সুযোগ তো আর রোজ রোজ আসেনা!
আমরা তাই শশব্যস্ত ছিলাম জমজমাট রঁদেভু তে। পানশালায় নানান রঙের বাতি- রঙের ভেতরেও রঙ বেয়ে উপচে পড়ছে! রঙের পিঠে রঙ, শুণ্যতার পিঠে ইউনিকর্ণ- বা সে যাই হোক, কিছু হবে একটা! সে নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা করার কোন কারণ তো নেই।
এসবের মধ্যে হঠাৎ লোকটাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। সে আমাদের মাঝে ছিলো না! পুরো শহরের আদ্ধেকটা দেখে এসে আমরা যখন আরোপিত আর্তনাদটাকে পরিশিলিত হাহাকারে রুপ দিচ্ছি- তখন সে বসে ছিলো সবুজ আর পাখিদের মাঝে।
একটা ভুল সময় ওপথ দিয়ে যেতে যেতে তার নাম ধরে ডেকেছিলো। চমকে উঠে সে বলেছিলো তাকে এখানে আকাশ ডেকে এনেছে! ঝিমিয়ে পড়া বৈকালিক রোদ অবশ্য সাথে সাথেই বলেছিলো- মিথ্যে! সবটাই তো ওই হতচ্ছাড়া পাখিদের দল!
পরক্ষণেই প্রতিবাদী ডানার জমাট শব্দ আর নখরের ঈর্ষ্বালু আচরণ, কিংবা বিচরণ বৃদ্ধ রোদের শরীর ছিঁড়ে ফালাফালা করে ফেলতে বাকী রেখেছিলো।
এসব দেখে ততক্ষণে পাখিদের দলপতি বনে বসা সে উঠে দাঁড়িয়েছিলো, তাকে যেতে হবে ঐ দূরে, সবুজের ঠিক মাঝখানে।
আমাদের উদ্ভ্রান্ত নিহিলিশ হল্লায় রংটা খুব জমেছিলো! কিন্তু কোথাও সেই আজব লোকটাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না!
নাকি কেউ খুঁজতে চাইছিলো না?
© ডাচম্যান
ছবিঃ http://500px.com/KevinCorrado
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৪