বিতর্কিত সিইসি এমএ আজিজ ও ইসি স ম জাকারিয়া নির্বাচন কমিশন থেকে বিদায়সহ 11 দফা দাবি বাস-বায়নে আহূত 14 দলের অবরোধ বুধবার জনমানুষের কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, জিরো পয়েন্ট, রাসেল স্কোয়ার, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণ, মগবাজার, মহাখালী, শ্যামলী, গাবতলী, বাড্ডা এবং পুরনো ঢাকাসহ 23টি স্পটে নেতাকমর্ী ও সমর্থকদের পাশাপাশি অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়। স্পট ও মিছিলের স্লোগান ছিল_ 'হৈ-হৈ রৈ-রৈ, পাগলা আজিজ গেল কৈ।' সিইসি আজিজের নিশ্চিত বিদায়ের অপেক্ষায় বুধবার বিজয়োৎসবের আয়োজন ছিল; কিন' সন্ধ্যা পর্যন- সেই বিজয়ের খবরটি না পাওয়ায় বিজয়োৎসব হয়নি। 14 দলের সঙ্গে এলডিপি, জাতীয় পার্টি এবং জাকের পার্টিসহ সমমনা দলগুলো অবরোধ কর্মসূচিতে শামিল হয়ে রাজধানীতে মিছিল-সমাবেশ করেছে। বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির সমাবেশে মারমুখী ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের হামলা ও মুক্তাঙ্গনে চার দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি ছাড়া রাজধানীতে ছিল শান-িপূর্ণ পরিবেশ। মিরপুর 10 নম্বরে 14 দলের মিছিল থেকে একটি বাস ধাওয়া করলে দ্রুত চলে যাওয়ার সময় বাসের হেলপার পড়ে আহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর সে মারা যায়।
সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণফোরামসহ 14 দলের নেতাকমর্ী এবং সমর্থকরা মিছিলসহ নিজ নিজ এলাকার স্পটে হাজির হতে থাকেন। রাজধানীর স্পটগুলোতে ট্রাকমঞ্চে শুরু হয় নেতাদের বক্তৃতা এবং ফাঁকে ফাঁকে গান ও কৌতুক। মিছিল-সমাবেশে দেখার মতো ছিল সিইসি আজিজের ব্যঙ্গচিত্র। ব্যতিক্রম ছিল মুক্তাঙ্গনে। পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী 14 দলের দখলে থাকা মুক্তাঙ্গনের দখল নিয়ে চার দলের হাতে ছেড়ে দেয়। রাতেই চার দল মঞ্চ তৈরি করে। এ নিয়ে ছিল চরম উত্তেজনা। এক সময় চার দলের মঞ্চ থেকে লাঠি ও হকিস্টিক নিয়ে আক্রমণের ঘোষণা দিলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। তবে জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত 14 দলের নেতাকমর্ীরা ছিল শান-। মুক্তাঙ্গনে চার দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে র্যাব, পুলিশ ও বিডিআরসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠিন-কঠোর নিরাপত্তা বূ্যহ গড়ে তুলেছিল। এমনকি আশপাশের ভবনগুলোতেও তারা অবস্থান নিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। তবে মারমুখী ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকমর্ীরা প্রতিশোধস্পৃহা চরিতার্থ করতে এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির শান-িপূর্ণ সমাবেশে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন নেতাকমর্ী আহত হন। রাসেল স্কোয়ারে এলডিপি নেতারা অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে 14 দলের মঞ্চে বক্তব্য রাখেন।
অবরোধের তৃতীয় দিনে রাজধানী ঢাকায় অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও যানবাহন কিছুটা বেশি চলাচল করেছে। বিশেষ করে ভিআইপি রোডে প্রায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করেছে। তবে রাজধানী থেকে সারাদেশ বিচ্ছিন্ন ছিল। দোকানপাট খোলেনি, দূরপাল্লার বাস চলাচল করেনি। ট্রেন ও লঞ্চ চলাচলে বিঘি্নত হয়েছে।
জিরো পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস-ান
জিরো পয়েন্টের শহীদ নূর হোসেন স্কোয়ার, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস-ানসহ পুরো এলাকায় বুধবার সকাল থেকে মানুষের ঢল নামে। তবে মুক্তাঙ্গনে চার দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদিন চাপা উত্তেজনা ছিল। সংঘাত এড়াতে জিরো পয়েন্ট থেকে মুক্তাঙ্গনের দিকে দুই স-রে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে অর্ধেক রাস-া অবরোধ করে রাখে পুলিশ। সেখানে নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মুক্তাঙ্গনের মাঝামাঝি প্রধান সড়কের ওপর উত্তর দিকে মুখ করে মঞ্চ বানায় মহানগর চার দল। পুলিশ উত্তর দিক থেকেও ব্যারিকেড দিয়ে এই মঞ্চে প্রবেশ আটকে দেয়। বেলা সোয়া 1টায় সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের ব্যানারে একটি বিশাল মিছিল জঙ্গি রূপ নিয়ে উত্তর দিকের পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে মুক্তাঙ্গনে তাদের মঞ্চে প্রবেশ করে। এ সময় মাইকে আওয়ামী লীগ, 14 দল, যুবলীগ নেতাকর্মীদের নাম ধরে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেয়া হয়। বলা হয়, 'গজারি লাঠি, হকিস্টিক নিয়ে আওয়ামী বাকশালীদের বিতাড়িত করতে হবে। আপনারা কেউ যাবেন না। সবার জন্য দুপুরের খাবার ব্যবস্থা আছে।' এ সময় জিরো পয়েন্ট এলাকায় স্থাপিত যুবমঞ্চ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহানগর 14 দলের মঞ্চ থেকে নেতাকর্মীদের শান- থাকার আহ্বান জানানো হয়। কোনরকম হটকারী কর্মকাণ্ডে জড়াতে নিষেধ করা হয়। এরপর থেকে পুরো সময় এ এলাকার পরিস্থিতি ছিল শান- এবং উৎসবমুখর।
গণসঙ্গীত, বাউল সঙ্গীত, ব্যঙ্গগান, নৃত্য আর মিছিলে মিছিলে সারাদিন উত্তাল ছিল এ এলাকা। দফায় দফায় পোড়ানো হয়েছে সিইসি এমএ আজিজের কুশপুত্তলিকা। সচিবালয়কে পেছনে রেখে পূর্বদিকে মুখ করে জিরো পয়েন্টে যুবমঞ্চ করে যুব সংগ্রাম পরিষদ। মঞ্চের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় এমএ আজিজের একটি মূর্তি। এতে সর্বস-রের মানুষ জুতা, ঝাড়-পেটা করা থেকে শুরু করে থুথু দিয়ে তাদের ঘৃণা প্রকাশ করেছে দিনভর। নানামুখী সঙ্গীতের পাশাপাশি দিনভর বক্তৃতা চলেছে এই মঞ্চে। আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওবায়দুল কাদের, যুবলীগ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, ওমর ফারুক চৌধুরী, নাজমুল হক প্রধান, নূর আহমেদ বকুল, ইসহাক আলী খান পান্না, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বক্তৃতা করেন।
রাসেল স্কোয়ার
সকাল সাড়ে 10টায় 14 দল রাসেল স্কোয়ারে মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ শুরু করে। এরপর মেট্রো শপিং মলের সামনে যুব মহিলা লীগ, সোবহানবাগ এলাকায় বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ এবং শ্যামলী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মকবুল হোসেন মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করেন। বেলা 11টার পর ধানমণ্ডি, কলাবাগান, শুক্রাবাদ, লালমাটিয়া, জিগাতলা, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে মিছিলসহ এ এলাকায় এলে পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। অন্যান্য দিনের মতো সকাল থেকে গণসঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি, বক্তৃতা, যেমন খুশি তেমন সাজ, কৌতুক, নৃত্য, মিছিল আর স্লোগানে স্লোগানে কেটেছে স্বতঃস্ফূর্ত ও শান-িপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি। মিছিলে ছিল সিইসি এমএ আজিজের ব্যঙ্গাত্দক প্লাকার্ড, ঝাড়-, জুতা, কার্টুন আর কুশপুত্তলিকা। দুপুরে সাবেক মন্ত্রী নাজিমউদ্দিন আল আজাদের নেতৃত্বে এলডিপির একটি বিশাল মিছিল এসে 14 দলের সঙ্গে একাত্দতা প্রকাশ করে। এলডিপির নেতারা 14 দলের মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখেন। জাতীয় পার্টির একটি মিছিলও রাসেল স্কোয়ারের সভা মঞ্চ অতিক্রম করার সময় সবাই হাততালি দিয়ে স্বাগত জানায়।
মতিঝিল ব্যাংকপাড়া
14 দলের ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিন দুপুরে ব্যাংকপাড়া মতিঝিল তার পুরনো চেহারা পেয়েছিল। যান্ত্রিক বাহনের সংখ্যা খুব বেশি না থাকলেও দুপুরের পর রিকশাজটে স্থবির হয়ে পড়ে পুরো মতিঝিল। বেশকিছু ব্যাংকে লেনদেনও হয়েছে। দিনভর ব্যাংকসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সামনে যানবাহন থেমে থাকতেও দেখা যায়। ব্যাংকপাড়ায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও ছিল গত 2 দিনের চেয়ে অনেক বেশি। দুপুরের পর বেশ কিছু দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা দেখা যায়। তৃতীয় দফা অবরোধের তৃতীয় দিনে বুধবার মতিঝিল এলাকায় অবরোধরত কোন দলের মিছিল কিংবা সমাবেশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। সিইসি পদত্যাগ করছেন এমন খবরে মতিঝিল ব্যাংকপাড়ায় অবরোধ বুধবার শিথিল হয়ে পড়ে। বিকালে বেশকিছু যান্ত্রিক বাহন চলাচল করে।
মিরপুর-পল্লবী-গাবতলী
মিছিল, সমাবেশ আর গানে গানে মিরপুর-পল্লবী-গাবতলী এলাকায় কেটে গেল অবরোধের তৃতীয় দিন। বেশ কয়েকটি সিএনজি ও মিশুকের গ্লাস ভাংচুরের ঘটনা ছাড়া এ এলাকায় শান-িপূর্ণভাবেই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকাল থেকেই 14 দলের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে। পল্লবী 12 নম্বর বাসস্ট্যান্ড, মিরপুর 10 নম্বর গোলচত্বর, মিরপুর 1 নম্বর ও গাবতলীতে দিনভর 14 দলের পৃথক সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এসব স্পটে শিল্পীরা গণসঙ্গীত ও বাউল গান পরিবেশন করেছেন।
শ্যামলী
সাবেক এমপি আলহাজ মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শ্যামলী এলাকায়। সকাল থেকে থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকমর্ীরা ব্যানার ও প্লাকার্ড নিয়ে মিছিলসহ সমবেত হন এখানে। দিনভর এখানে চলে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন থানা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম হাসু। বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি আলহাজ মকবুল হোসেন, কৃষক লীগ সভাপতি ড. মির্জা জলিল, উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, ড. হাসান মাহমুদ, আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন, শেখ বজলুর রহমান ও ইমতিয়াজ হোসেন বাবুল।
মগবাজার-তেজগাঁও-মহাখালী-উত্তরা-বাড্ডা
মগবাজার-তেজগাঁও-মহাখালী-উত্তরা-বাড্ডা এলাকায় শান-িপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বারবার মাইকে ঘোষণা দেন কমর্ীদের শান- থাকার জন্য। দিনভর স্লোগান, বক্তৃতা ও গণসঙ্গীতের মিছিলের মধ্য দিয়ে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেয় হাজার হাজার মানুষ। ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিডিআর ও র্যাব সদস্য। এলাকার দোকানপাট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। প্রধান সড়কগুলোতে দু-একটি গাড়ি চলাচল করলেও সব রাস-া ছিল রিকশা ও অটোরিকশার দখলে। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস ছাড়েনি।
পুরনো ঢাকা
ঢাকা-8 আসনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাজী মোঃ সেলিম নির্বাচনী এলাকা ঘুরে ঘুরে অবরোধ সমাবেশ করছেন। বুধবার লালবাগের পোস-ায় অবরোধ সমাবেশ করেন তিনি। সমাবেশে প্রতিদিনই নেতাকমর্ীদের ভিড় বাড়ছে। বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে চলছে দেশাত্দবোধক, বাউল, লালন আর ব্যঙ্গধমর্ী নানা ধরনের গান। সমাবেশস্থলে দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। শত শত নেতাকমর্ী সিইসির বিদায়ে বিজয় মিছিল করার অপেক্ষায় রয়েছেন। উপস্থিত নেতাকমর্ীর্ সবার মুখে একই কথা, চূড়ান- বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন- কেউ ঘরে ফিরে যাবেন না।
যাত্রাবাড়ী- জুরাইন-কোনাপাড়া
যাত্রাবাড়ী চৌরাস-ায় পার্কের পাশে তৈরি মঞ্চ থেকে তিনদিন ধরে সকাল-সন্ধ্যা পরিবেশন করা হচ্ছে বাউল গান। সমাবেশও হচ্ছে। সায়েদাবাদ ব্রিজের দক্ষিণ ও উত্তর ঢালেও সমাবেশ-মিছিল হচ্ছে। সারাদিন বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বিকালে সায়েদাবাদ টার্মিনালের কয়েকটি দূরপাল্লার বাসকে গন-ব্যে যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রী সংগ্রহ করতে দেখা যায়। রাস-ায় রিকশার উপস্থিতি ছিল প্রচুর। প্রধান সড়কের পাশে দোকানপাট বন্ধ ছিল। অবরোধ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন হাবিবুর রহমান, আরকে চৌধুরী, কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, লুৎফর রহমান চেয়ারম্যান, অ্যাডভোকেট মোসলেহউদ্দিন আহমেদ, ফরহাদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান বাবুল প্রমুখ।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন চত্বর
সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে বিভিন্ন সংগঠন অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আইইবি চত্বরে। সকাল থেকেই সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কমান্ড, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন-ান, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকমর্ীরা ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে মিছিলসহ আইইবি চত্বরে সমবেত হন। দিনভর এখানে চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের গানের অনুষ্ঠান। গানের সঙ্গে অনেকে নেচে নেচে সমবেত জনতাকে উৎসাহ দেন। জাতীয় নেতারাও বক্তৃতা করেন এই মঞ্চে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০