মুখের রোজা
রোজা শুধু উপোস থাকা নয়। হাত, পা, চোখ, মুখেরও রোজা আছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অবস্থা খারাপ। বিশেষ করে কাপড় ব্যবসায়ীদের। ১১ মাস তেমন ব্যবসা না হলেও এই ১ মাসে তারা সারা বছরের ব্যবসা করে থাকে। আবার বাংলাদেশের বেশীরভাগ ব্যবসায়ীরা মিথ্যা কথা না বলে কিছু বিক্রিও করে না! এখন ব্যবসায়ীদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে রোজা রেখে মিথ্যা কথা বলে গুনাহ কামাই করবে নাকি ১ মাসের বিক্রির ফায়দা উঠাবে। যদিও রোজা ছাড়াও মিথ্যা কথা বলা নিষেধ আছে ইসলামে তবুও রোজার কারণে আরো বেশী সতর্ক হওয়া ভালো।
চোখের রোজা
ঈদের সময় যারা(পুরুষ) কেনাকাটা করবেন তারা রোজা রেখে কেনাকাটা করার জন্য অভিজাত বিপনী বা শোরুমে(আড়ং, ইয়েলো, নাবিলা) না যাওয়াই ভালো হবে। কারণ, এসব জায়গায় মেয়েরা রোজার সময়ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য সম্পন্ন পোশাকে থাকে না(বেশী কিছু বলা যাবে না)। কাজেই তখন স্বাভাবিকভাবেই চোখের রোজাতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যদিও রোজা ছাড়াও ইসলামে সংযম হতে বলা হয়েছে তবুও রোজার কারণে আরো বেশী সতর্ক হওয়া ভালো।
ধর্ম যার যার, ইফতার সবার
বাংলাদেশে সুবিধাবাদী মুসলিমরা অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ফায়দা কিংবা ফূর্তি করার জন্য বলে থাকে, "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার"। সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাত সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইফতারিতে ফ্রি বিরিয়ানি, খ্যাপসা, চিকেন, মাটন, জুস, লেবানের জন্য যেভাবে অমুসলিমরা লাইন ধরে বসে ইফতার করে তাতে তাদের নীতি মনে হয় "ধর্ম যার যার, ইফতার সবার"। ইদানিং তাদের জাকাত/ফিতরা দেয়ার লাইনেও দাঁড়াতে দেখা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯