ইশকুল লাইফ থিকা দেকতাছি। এই পোলাপানগুলা টীচারগো গুডবুকে থাইকা ক্লাস ক্যাপ্টেন হয়, সহপাঠীর নাম ব্লাকবোর্ডে টুকে রাখার থ্রেট দেয়, চ কইলে চুদির ভাই কইছে বইলা নালিশ দেয়। এরা ভাজ মাছ উলটায় খাইতে জানে না, তয় আড়াল পাইলে মাইয়াগো গতরে হাত দেয়। এইগুলাই বড় হইয়া সুশীল হয়, এরে এই কইরো না, তারে খুব খারাপ কইয়া তাড়ায় আসে, কারো সাথে ঘৃনায় কথা কইতে তাগো তলপেট নাপাক হয়া যায়, তয় সুযোগ পাইলে পাবলিকরে পোংগা মাইরা চাংগে উঠায়া দেয়ায় এরা সিদ্ধহস্ত। মূলত এই পাবলিকগো ঠেংগানি দিতেই আমার এ-টীমে যোগদান।
ছাগুগো আমি তেমন দোষটোষ ধরি না। তারা নুন খাইয়া গুণ গায়। মগবাজারের টেকা হালাল করতে দেশের ইতিহাস নিয়া প্যাচপেচি করে। দুইটা গদাম লাথি দিলে কুঁই কুঁই করে সরে যায়। মগবাজার থন টেকা পাইয়া আবার সার্ভিস দিতে আসে। আবার লাথি খায়। ভাগে। এই সাইকেল চলতে থাকে। ছাগুর ম্যাৎকার বুঝতেও তেমন টাইম লাগে না। স্টেরিওটাইপড কাজকর্ম দেখলেই বুঝা যায় এইডা ছাগু।
সুশীলগো কেস ভিন্ন। তারা গাছের খাবে, তলারটাও টোকাবে। রাজাকার প্রতিরোধের সময় থাকবে না, রাজাকারগুলা গালি দিয়া ফাতা ফাতা করে ফেললেও তারা সেইগুলা নিয়া কথা বলে না। কিন্তু রাজাকারগুলারে গালি দিলেই তারা এসে ফতোয়া দেয় অগোরে বুঝায় কইলেই তারা ভালো হয়া যাইবো, রাজাকারি আর করবো না, গালি দিয়া মুখ খারাপ করার দরকার কি!
সুশীল ধরা একটু টাফ। গালি দিয়া মুখ খারাপের বিরুদ্ধে কিছু নতুন ব্লগারও প্রথমে অবস্থান নেয়। তাগো বিরুদ্ধে আমাগো কোনো অ্যাকশন নাই। কিন্তু যেইগুলা পুরানা হওনের পরেও সেই গালির ভাংগা রেকর্ড বাজাইতে থাকে, সেইগুলাই সুশীল ছাগু।
প্রত্যেকটা পুরানা ব্লগারই জানেন, ছাগুদেরকে যুক্তি-তর্ক, ঠান্ডা মাথায় অনেক বুঝানো হইছে, তারা সেইডারে পাত্তা তো দেয়ই নাই, দুর্বলতা মনে কইরা বেসবল ব্যাট নিয়া পিটানোর হুমকিতে গেছে। গালাগালির উদ্যোক্তাও তারা। একসময় রাসেল ছাড়া আর কেউই ছাগুগো গাইলাইতো না, সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। চেষ্টা করে বিফল হওয়ার পরেই যেমন কুকুর তেমন মুগুর নীতিতে গেছে। আমি নিজে অবশ্যি খুব অল্প সময়েই যুক্তি-তর্ক, অহিংস নীতি কাটায়া উঠছি। হাড়ির ভাত একটা টিপলেই অবস্থা বুঝা যায়, তার লাইগা পুরা হাড়ির ভাত টিপন লাগে না।
যা কইতেছিলাম, যেসব ব্লগার মাসের পর মাস কাটাইয়াও গালির কারণ ধরতারে না, রাজাকারদের গালি যাগো চক্ষে পরে না, সেইগুলা ছাগুগো চাইতে বড় শয়তান।
এ-টীম যখন অ্যাকশন শুরু করে, তখন এদের ব্যাপারে উৎসাহ দেখাই নাই। দলবদ্ধভাবে পরিকল্পনা করতো জামাতি ব্লগাররা। তারপরেও তারা ধোলাই হতো সবদিক দিয়াই। আমার এসব দলবদ্ধতা পলিটিক্স ভাল্লাগে না। ছাগুগো ঠাপাইতে আমার এ-টীম লাগে না। এ-টীমের কাজকর্ম দেইখা সাবাশ দেই; কিন্তু এ-টীমে ঢোকার খায়েশ মনে জন্মায় না।
পরে দেখি, এ-টীম ছাগুগো ঠাপাইতে ঠাপাইতে এই সুশীলগো দিকে তেমন নজর দিতাছে না। সুশীলগো খুশী রাখার একটা চেষ্টা তাগো মধ্যে কাজ করতাছে। সুশীলগো খুশী রাখা আমগো জ্বিনগত ব্যাপার। দাঁড়িটুপী দেখলে আমরা একজন লোককে সহজেই ভন্ড ভাবতারি না, মিষ্টি কথা কইলে একজনকে ধান্ডাবাজ ভাবতারি না। আজ হোসেইনের পোস্টে আমার মন্তব্যের স্টাইলে হোসেইন খুশী হইতে পারে নাই। এটাও সেইম কেস। আইরিন সুলতানা যথেষ্ট পুরানা ব্লগার হয়েও যদি গালি কেন দেয়া হয়, কাকে দেয়া হয়, রাজাকাররাই যে গালি বেশি দেয়-এগুলা না বুঝে, তাইলে তারে সুশীল ল্যাংগুয়েজে বুঝাইতে যাওনের দায়বদ্ধতা ফিল করি না। এ-টীমের অনেকেই এইডা করে।
যা কইতেছিলাম, এ-টীমের তখনকার অ্যাকশনে সুশীলরা লিস্টে থাকতো না। এ-টীমের পোলাপাইন ছাগু োন্দাইয়াও যেন সুশীলগো কাছে হালকা ভালো থাকার খায়েশ করতো। জিনিসটার পরিণাম ভয়ঙ্কর। রাজাকারের প্রতি মানবতা দেখানোর বাণী নিয়া আসা মহামানবকে আমি ভন্ড মনে করি, পাকি সৈন্যদের সহায়তাকারীরা যেমনে ৭১এ সুশীল বচন শুনাইয়া ৩০ লাখ মানুষ মারছে, এই সুশীলগুলাও একই কাম করবে।
মূলত এই সুশীলগো প্রতিরোধ করতেই আমার এ-টীমে যোগদান। রাজাকাররা বাংলার মানুষের ওপেন শত্রু, সুশীলরা গোপন। রাজাকারদের এক পায়ের গদাম লাথি দিলে, সুশীলদেরকে জোড়া পায়ের গদাম লাথি।