রসুলের অবমানণা দেখ কোন মুসলমান নির্বিকার থাকলে তার ইমান থাকবেনা । তাই রসুল অবমানণায় যারা সোচ্চার তারা রসুলের ইজ্জত রক্ষা না বরং নিজেদের ইমান বাচাতেই বেশী ততপর। রসুলের ইজ্জত তো স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা ই সমুন্নত রেখেছেন, রাখবেন ।
ম্যঙ্গোপিপল বাঙ্গালি মুসলমান- দের বিষয়ে খুবই সত্য একটা কথা বলেছেন , " সে তার নবীর প্রতি আক্রমন এবং অবমাননার ব্যাপারে অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল এবং নবীকে নিয়ে নংরামি তাকে শুধুমাত্র মানসিকভাবে আঘাত করেনা বরং তাকে এত ভাবে ক্ষুব্ধ করে যে তার ফলে সমাজের ভারসাম্য এবং স্টাবিলিটি নষ্ট হয়। এবং এই জন্যে তার এই অনুভুতিটার জন্যে প্রটেকশানের দরকার আছে। "
আরেকটা কথা খুবই লজিক্যাল বললেন :
তাইলে আপনি বলতে পারেন, যদি কেও আমার নবীরে অপমান করে তাইলে আমি কি করবো ?
তাইলে আপনি কোর্ট এ যাবেন। আপনার ধর্মীয় অনুভুতিকে প্রটেক্ট করার জন্যে কোর্ট আছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সরকার যদি আন্তরিক হয় তবে আমাকে কেন কোর্টে যেতে হবে ? প্রধানমন্ত্রীর অবমানণা মূলক কিছু ফেসবুকে লিখা হলে কি পাবলিকরে এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্হা নেওয়ার দাবী জানিয়ে কোর্টে যেতে হয়েছিল ? না সরকার নিজেই এর ব্যাবস্হা নিয়েছিল ? আমাদের দেশের ব্লগ ফেসবুকে কি নবীজীর অবমানণা কম হয়েছে ? কেউ কি এর জন্য কোন শাস্তি পেয়েছে ? আমাদের দেশের সংখা গড়িষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস শাস্তি দেওয়া সরকারের হাতে । তাই তারা শাস্তির দাবী নিয়ে রাজপতঃএ ণআমে, কোর্তে রীট করে না । গণদাবী নিয়ে মানুষ রাজপথেই নামে , কোর্টে যায় না । ৬৯ গণ অভ্যুথ্থান বলেন আর ৮৬-৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্ডোলন বলেন মানুষ কেউই আইয়ুব - এরশাদ কারো বিরুদ্ধে কোর্ট যায় নি, গিয়েছে রাজপথে ।
কারণ পৃথিবীর ইতিহাসে কোন বিচার ব্যাবস্হা হুব কম সময়ই রাষ্টের ক্ষমতাধর ও নির্ধারিত লিখিত -অলিখিত নীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে, বা দিতে পেরেছে। রসুলের অবমানণা বন্ধ করা ও সংখ্যালঘুদের প্রটেকশণ দেওয়া খুব কঠিন কাজ না, অন্তত আমাদের দেশে । তাই এর ব্যাত্যয় ঘটলে স্বভাবতই মানুষ ক্ষুব্ধ হয় সরকারের উপর ।
ম্যঙ্গোপিপল সাহেব রসুলকে দয়ায় নবী হিসেবে উপস্হাপণ করেছেন, যা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে । তবে উনি যে আংগিকে তা করেছেন তাতে সুকৌশলে তিনি ইসলামের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে গেছেন, বা ইচ্ছা করে লুকিয়ে ফেলেছেন । তা হল ইসলামের ইতিহাসে রসুল অবমানণা বা ধর্মীয় অবমানণার শাস্তি খুবই কঠোর । তা তিনি এখবারও বলেন নি । রসুল জানের দুশমণকে ক্ষমা করেছেন, কিন্তু বেয়াদবকে হত্যা করতে বলেছেন । ইসলামের শুরুর দিকে যখন মুসলমানরা দূর্বল ছিল, রসুল বেয়াদবকে বদদোয়া করেছেন । আবু লাহাবের ছেলেকে রসুল বদদোয়া করেছেন " আল্লাহর কুকুরগুলো থেকে একটা কুকুর নির্ধারণ করতে " অবশেষে বেয়াদব আল্লাহর আযাবে মৃত্যু বরণ করেছে।
আমাদের দেশের মানুষ শন্তি প্রিয়, নরম প্রবৃত্তির । এদেরকে খুব না খোচালে প্রতিক্রয়া দেখায় না, এরা কথায় কথায় উত্তেজিত হয়ে রকেট লান্চার নিয়ে নেমে পড়ে না । এদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে হিন্দু - মুসলমান শন্তির সাথেই বাস করছে । এদেশে মুসলমানদের দখল হওয়ার পর হিন্দু বৌদ্ধদের নির্মূল করা হয়নি, ( সভ্য আমেরিকায় যা হয়েছে ) বরং অনেক মুসলমান রাজার চাকুরী করেছে হিন্দু, আর হিন্দু রাজার চাকুরী করেছে মুসলমান । এদেশে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্টদায়িক দাংগা হয় না, যা হয় ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতে ।
আমরা শান্তি চাই, আমরা অল্পতে খুশী । সরকার যদি প্রচলিত আইনেই ধর্মীয় উষ্কানীর বিচার করত তাতে করেও দেশ অনেক শান্তির হত । হিন্দু -বৌদ্ধ ভাইরা তাদের নিরাপ্ত্তা পেতো । সরকার হয়ত কোন বৃহত্তর(?) স্বার্থে তা চায় না!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




