যুদ্ধাপরাধদের বিচারের দাবী ছিল এদেশের মানুষের প্রাণের দাবী, সেটার জন্য মানুষ সোচ্চার হয়েছে, কমপক্ষে বেশ কিছু খুনীর বিচার আমরা পেয়েছি, সেটার কিছু হলেও অর্জণ হয়েছে, আমি খুশী।
আওমালীগ চেয়েছে আন্দোলন পকেটে ভরতে, সেটা পেরেছে, কিন্তু এতে আওয়ামীলীগের লাভ হয়নি, দূর্ণাম বেড়েছে, স্বাধীনতার চেতনাকে প্রাণের মাঝে লালন করে এমন অনেকেই বিরক্ত হয়েছে।
দেশের কথিত সুশীল - সেকুলার গোষ্ঠী চেয়েছে এই আন্দোলনের শক্তি ও গতিকে কাজে লাগিয়ে সেকুলার বাংলাদেশ গড়তে, ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে। অথচ এগুলো কিন্তু এদেশের মানুষের প্রাণের দাবী না । দেশের সংখা গড়িষ্ঠ জনতা ধর্ম বিশ্বাসী। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্মীয় রীতি পালনের বিরোধী নয়।
শাহাবগের নিয়ে ভাল একটা কথা, সেটা হয়নি, অর্থাৎ শাহাবাগ সেকুলার বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে পরিণত হয়নি। তবে এর কৃতিত্ব শাহাবাগীদের না, হেফাজতিদের । শাহাবগীরা তো গুছানো আন্দোলন সরকার, সেকুলার - সুশীল ও রাম-বামদের হাতে তুলে দিয়েছিল, হেফাজত জনসমাবেশ করে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ না করলে শাহাবাগ আন্দোলন সেকুলার বাংলাদেশ তৈরী হবার ভিত্তি রচনা করত ।
এদেশের মানুষ স্বাধীনতার চেতনাকে অন্তরে লালন করে, কিন্তু ধর্ম বিদ্বেষী না । ধর্মীয় মূল্যবোধ আর স্বাধীনতা চেতনা একে অন্যের বিরোধী নয় , বরং একে অন্যের সহায়ক । কিছু দুষ্টু লোক এদের একটিকে অন্যটির মুখামুখি করে দিতে চায়, যা এদেশের গণ মানুষের বিশ্বাস ও চেতনার পরিপন্হী ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫