কানাডা থেকে প্রকাশিত বেঙ্গলী টাইমস অনলাইন পত্রিকাতে লেখক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের একটা লেখা ছাপা হয়। তসলিমা নাসরিনের ভন্ডামীর চিত্র তিনি ছাপিয়ে দিলেন। যেন বোমা ফাটালেন হাঁটে। সকল ব্লগ পাঠকদের সুবিধার জন্য লেখাটি হুবুহু তুলে দিলাম-
তসলিমা নাসরিন আমার তিন বন্ধুকে বিয়ে করেছিলেন। যথাক্রমে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান এবং গল্পকার মিনার মাহমুদ। আর তাঁর প্রেমিকের তালিকাও দীর্ঘ। এককালের লিটল ম্যাগ নতুন কবিতার সম্পাদক হারুন রশিদ ‘কেকা’ নামে ডেকে তসলিমাকে নিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ কবিতা লিখেছেন। কবি হেলাল হাফিজ তসলিমার ‘ত’ আর নাসরিনের ‘না’ অর্থাৎ ‘তনা’ নাম ব্যবহার করেও কবিতায় স্থান দিয়েছেন, আবার তসলিমার ‘তস’ বাদ দিয়ে শুধু ‘লীমা’ নামেও কেউ কেউ কবিতা লিখেছেন। অন্যান্য লেখক-প্রকাশক-সাংস্কৃতিককর্মী বন্ধুদের কথা বাদই দিচ্ছি।
সিনে সাপ্তাহিক চিত্রালীর পাঠকদের পাতা থেকে উঠে আসা তসলিমা নাসরিন অবকাশ, আমলা পাড়া আবাসিক এলাকা, মৈমনসিং থেকে ‘সেঁজুতি’ প্রকাশ শুরু করে, সেই সাথে লেখালেখি। যোগাযোগ শুরু করে কবে ঢাকার তরুণদের সাথে। সেই সূত্রে অনেকের সাথেই ঘনিষ্ঠতা, বন্ধুত্ব, প্রেম, বিয়ে, বিবাহ, শত্রুতা, ঈর্ষা এবং তাঁর লেখক হয়ে উঠা।
তিনি ‘ক’ বই লিখে হইচই ফেলে দিলেন। প্রায় সকল ঘনিষ্ঠজনদের গোপন কথা ‘ফাঁস’ করে দিলেন। বই বের হবার পর পরই যুগান্তরে রিপোর্ট করলো হাসানুজ্জামান সাকী। সেখানে সৈয়দ শামসুল হক থেকে সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের নাম ছাপা হলো। এদেঁর নিয়ে তসলিমা ‘যা-তা’ লিখেছেন। তা নিয়ে সৈয়দ হক মামলা করলেন, ইমদাদুল হক মিলন অসুস্থ হয়ে পড়লেন, আবু হাসান শাহরিয়ার প্রতিবাদমূলক বই লিখলেন অর্ধসত্য। এক পর্যায়ে ‘ক’ নিষিদ্ধ হলো। কিন্তু কিছু মিথ্যে কথা ‘মুদ্রিত সত্য’ হয়ে থাকলো। তাঁর একটি দৃষ্টান্ত আজ উপস্থাপন করছি।
তিনি লিখেছেন : ‘রুদ্রকে নিয়ে বাণিজ্যে করার ধুম পড়েছে চারিদিকে। একদিন সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল নামের এক কবি আসে, আমাকে লেখা রুদ্রর চিঠিগুলো যেন তাকে দিই, ছাপবে সে। এই দুলালই রুদ্রর ট্রাক থেকে পেছনে রিক্সায় বসা আমার দিকে দলাদলা ঘৃণা ছুঁড়ে দিয়েছিল।’ (দ্র. ক/তসলিমা নাসরিন, প্রকাশকাল : সেপ্টেম্বর ২০০৩, প্রকাশক : চারদিক, ঢাকা। পৃষ্ঠা নং-১৫৯)
রুদ্রের মৃত্যুর পর ইসহাক খানের একটি লেখা ছাপা হয় সাপ্তাহিক রোববারে। তার প্রতিক্রিয়ায় তসলিমা একই রকম ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৎকালীন দৈনিক আজকের কাগজে কর্মরত সাংবাদিক, বর্তমানে সাপ্তাহিক বেঙ্গলি টাইমস এর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিন্টুর কাছে।
যা হোক। ‘ক’ তে যাঁদের যাঁদের নাম নিয়েছে, তাঁদের প্রায় সবার বিরুদ্ধে নেতিবাচক বিশেষ করে ‘তার প্রতি দুর্বলতা’র কথা অর্থাৎ ‘প্রেম ভালবাসা’র ইঙ্গিত দিয়েছে। একমাত্র আমিই নাকি ‘ঘৃণা ছুঁড়ে’ দিয়েছি। তসলিমার এই বক্তব্য নিয়ে বন্ধুরা মশকড়া করলেও আমি ভীষণ বিরক্তবোধ করেছি। কারণ, এতে তসলিমা ৯৯.৬৬% মিথ্যাচার করেছেন। শুধু তাই নয়, আমাকে প্রায় অচেনার ভান করেছেন!‘সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল নামের এক কবি’ বলে অবজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। ইতোপূর্বে তাঁর ‘শোধ’ উপন্যাসেও ‘জনৈক মোহন’ (কবি মোহন রায়হান), ‘তুষার নামের এক যুবক’ (কবি তুষার দাশ) বলে উল্লেখ করেছেন। আমার প্রশ্ন, মোহন রায়হান অথবা তুষার দাশ কিংবা সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালকে তসলিমা নাসরিন চেনেন না? এরা কী তাঁর কাছে অপরিচিত ব্যক্তি?
নিউইর্য়ক প্রবাসী কবি শামস আল মমীন যখন তসলিমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘জনৈক’ শব্দের অর্থ কী? আপনি কী এদেঁরকে চেনেন না? তখন তসলিমা নাসরিন কোনো কিছু জবাব না নিয়ে চুপচাপ ছিলেন। অথচ তসলিমার প্রথম কবিতার বই ‘শেকড়ে বিপুল ক্ষুধা’ প্রকাশনার পেছনে তুষার দাশের ভূমিকার কথা আমরা এখনো ভুলে যাই নি। কিংবা সে দেশ ছাড়ার পূর্বে আত্নগোপন অবস্থায় বিদেশে যোগাযোগের জন্য যে সব ফ্যাক্স করেছিল মিরপুর-২ থেকে তার বিলগুলো নাচের শিক্ষক, অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বিচিত্রার আবদুল মতিনকে এবং আংশিক আমাকে পরিশোধ করতে হয়েছে।
সালমান রুশদীর ‘দ্যা স্যাটানিক ভার্সেস’ বের হবার পর আয়তুল্লাহ খোমেনী যখন বিনা বিচারে রুশদীকে ‘মৃত্যুদণ্ড’ ফতোয়া জারি করে, তখন লেখকের স্বাধীনতা দাবি করে বাংলাদেশ থেকে আমরা ২০ জন লেখক বিবৃতি দেই- সৈয়দ তারিক, আমজাদ শরীফ, পারভেজ হোসেন, আফজালুর বাসার, হুমায়ুন কবির, মারুফ রায়হান, ফরিদ কবির, শহিদুল আলম, তারেক শাহরিয়ার, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, নাসরীন জাহান, আশরাফ আহমদ, সাজেদুল আউয়াল, খোন্দকার আশরাফ হোসেন, সৈয়দ রিয়াজুল রশীদ, শান্তনু চৌধুরী, তসলিমা নাসরিন, লিয়াকত আলী, আহমেদ নকীব এবং সেলিম মোরশেদ। তসলিমা নাসরিন ছিলেন সতেরো নম্বরে। তখন মৌলবাদীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভে, অগ্নিসংযোগে মেতে উঠে, আমাদের বিরুদ্ধেও ফতোয়া দেয়। আমাদের মাথার মূল্য উঠে লাখ টাকা! এই অবস্থায় দুই নাসরীন (তসলিমা নাসরিন ও নাসরীন জাহান) এবং দুই আশরাফ (খোন্দকার আশরাফ হোসেন ও আশরাফ আহমদ) পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে বিবৃতি থেকে তাঁদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। এভাবেই তসলিমা নাসরিন সেই সময় আমাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। এখন তাঁর কথাবার্তা থেকে মনে হয়, তিনি কাউকে চেনে না!
এ সব কথা বাদই দিচ্ছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি আমাদেরকে নাই চেনে, আমরা যদি তাঁর কাছে অপরিচিত/জনৈকই হয়ে থাকি, তাহলে তিনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ২০/২৫ টি চিঠি লেখেন কিভাবে? ‘ক’ বই বের হওয়ার এক যুগ অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ সালে লেখা উচ্ছসিত প্রশংসামূলক একটি চিঠির প্রথম অংশ এবং শেষাংশ তুলে ধরছি; যে চিঠিতে তিনি আমার সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘প্রচ্ছদ’ সম্পর্কে লিখেছেন :
সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল,
প্রচ্ছদ এতো সুন্দর একটি সাহিত্যের কাগজ হবে, কোনোদিন ভাবি নি। শেষ অবধি এক চিলতে কাগজের এতো উত্তরণ! অবাগ লাগে। এবারের প্রচ্ছদ সবারই ভালো লাগবে, কী আঙ্গিকের দিক থেকে, কী লেখার দিক থেকে।
...............................
তো যাক্ সম্পাদক সাহেব সমীপে অধীনের সবিনয় নিবেদন, দুটি কবিতা। মনোনীত হলো কিনা একবার জানিয়ে কৃতার্থ করবেন। করবেন কি? বড়সড়ো সম্পাদক বনে গেছেন, এখন তো জবাব পেতে হলে জবাবী খাম পাঠাতে হবে, তাই না? হবে কি?
মঙ্গল কামনায়
ভবদীয়া
তসলিমা নাসরিন
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, এবার আপনারাই বিচার করুন, যিনি ১৯৮০ সালে এ ধরনের চিঠি লিখেন, তিনি কীভাবে তের বছর পর অচেনা মানুষের মতো আচরণ করে বলেন ‘‘সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল নামের এক কবি” ?
কবি শামসুর রাহমানের সাথেও এ ধরনের ব্যবহার করেছিলেন বলে সাবেক পরাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দিন আহমেদের সার্কিট হাউজের বাসায় ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রাহমান ভাই। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সংবাদের প্রয়াত সম্পাদক বজলুর রহমান, প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক সোহরাব হাসান, আজকের সূর্যোদয়ের সম্পাদক খন্দকার মোজাম্মেল হক, ঢাকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ইউনুস এবং আরো অনেকেই।
আর তসলিমা নাসরিন তাঁর ‘ক’ যে চিঠির কথা বলেছেন, তার যৎসামান্য শানেনজুল এ রকম :
১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় শিল্পী-সুরকার-গীতিকারেরা মিলে ‘বাংলাদেশ সঙ্গীত পরিষদ’এর পক্ষ থেকে ত্রাণ সাহায্য সংগ্রহ করার কর্মসূচি হাতে নেয়। সেই সঙ্গীত পরিষদের সভাপতি ছিলেন প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালক সমর দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান। ১৯৯১-৯৩-এর কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রকাশনা সচিব হন রুদ্র। তাঁর উপর দায়িত্ব পড়ে ‘মানুষের জন্য মানুষ’ শীর্ষক স্মরণিকা সম্পদনার । (তথ্যসূত্র : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ/ তপন বাগচী, প্রকাশক : বাংলা একাডেমী, প্রকাশকাল : জুন ১৯৯৮, ঢাকা/ পৃষ্ঠা নং-৩৫) এবং আমিও ছিলাম সহযোগি প্রকাশনা সচিব।
‘ভালো আছি ভালো থেকো/আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিও...’ র মতো জনপ্রিয় গানের রচয়িতা হওয়া সত্ত্বেও রুদ্র রেডিও-টেলিভিশনের তালিকাভূক্ত গীতিকার ছিলেন না। তাই বিটিভির কাজী আবুজাফর সিদ্দিকী ২৫টি গান জমা দেয়ার জন্য বলেন। রুদ্র তা আমার হাতে দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘দুলাল, কবিরা গান লিখলে গানের গুণগত মান এবং ধারার পরিবর্তন হয়।” শামসুর রাহমান, আবুহেনা মোস্তফা কামাল, মোহম্মদ মনিরুজ্জামান, ফজল শাহবুদ্দীন এঁদের লেখা গান তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। (দ্র. রুদ্র এবং তার এলোমেলো চন্দ্রিমার চিত্র/ সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল/ সাপ্তাহিক ঢাকার চিঠি, ১-১৫ জুলাই ১৯৯১, ঢাকা। সম্পাদক মোস্তফা জব্বার) এ প্রসঙ্গে কবি নাসির আহমেদও স্মৃতিচারণ করে লিখেছেন ‘‘... রুদ্র বললো যে, রেডিও-টিভির অন্তর্ভূক্ত হতে চায়, পান্ডুলিপি তৈরি আছে, আমি যেন পান্ডুলিপিটা দেখে সংশ্লিস্ট জনৈক কর্মকর্তার মাধ্যমে তালিকাভূক্তির দ্রুত করিয়ে দেই।” (দ্র. চেতনার খুব কাছাকাছি/নাসির আহমেদ, কিছুধ্বনি/ সম্পাদক আনওয়ার আহমদ, অক্টোবর ১৯৯১, ঢাকা।)
রুদ্রের মৃত্যুর পর বিদ্যাপ্রকাশ তাঁর সমগ্র প্রকাশের উদ্যোগ নেয়। সম্পদনার দায়িত্ব নেন অসীম সাহা আর প্রুফ দেখার দায়িত্ব ছিল তসলিমার। তখন তসলিমা নাসরিন আমার কাছে সেই গানগুলো চায়, সেই সমগ্রে দেয়ার জন্য। এদিকে আমি ‘প্রয়াত লেখকদের অপ্রকাশিত চিঠিপত্র’ নিয়ে একটি গ্রন্থ সম্পাদনার কাজে হাত দিয়েছি। তার জন্য রুদ্রের একটি চিঠির ফটোকপি চাই তমলিমার কাছে। রুদ্রের লেখা চিঠি তো আমার কাছেও আছে, কিন্তু রুদ্র-তসলিমার চিঠি নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। তসলিমা তখন মালিবাগের একটি বাসায় ভাড়া থাকে। আমার অফিস তখন খিলগাঁওয়ের আনসার হেড কোয়ার্টারে। একদিন অফিসে যাবার পথে তসলিমাকে রুদ্রের গানের পান্ডুলিপি দেই। কিন্তু তিনি কথা দিয়েও তাঁর কাছে লেখা রুদ্রের চিঠি দেন নি। অথচ ঠিকই তাচ্ছিল্যতার সাথে মিথ্যাচার করেছেন!
১৯৯১ সালের ২১ জুন সকাল বেলা রুদ্রের মৃত্যুর পেয়ে আমরা ছুটে যাই তাদের রাজাবাজারস্থ বাসায়। গিয়ে দেখি, তসলিমা একটু অন্যরকম ভূমিকা নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। যা খালাম্মাসহ (রুদ্রের মা) মুরব্বীরা চাচ্ছিলেন না। কারণ, তালাকপ্রাপ্ত সাবেক স্ত্রী হিসেবে তসলিমার আচরণ দৃষ্টিকুটু মনে করছিলেন মুরব্বীরা। আমি সেই বিষয়টি তসলিমাকে অবগত করি এবং পরদিন আমরা যখন ট্রাকে করে রুদ্রের লাশ নিয়ে মংলায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেই, তখন তসলিমাও ট্রাকে উঠার চেষ্টা করে। কিন্তু ইসহাক খান উঠতে দেন নি। আর সেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তসলিমা লিখলেন : ‘‘এই দুলালই রুদ্রের ট্রাক থেকে পেছনের রিক্সায় বসা আমার দিকে দলাদলা ঘৃণা ছুঁড়ে দিয়েছিল।”
তসলিমা নাসরিনের বির্তকিত গ্রন্থ ‘ক’ প্রকাশ পাবার ৭ বছর পর আজ তাঁর ঔদ্ধত্যপূর্ণ, অবজ্ঞা মিশ্রিত, দেমাগী, বেয়াদবী এবং মিথ্যাচারের বিষয়টি তুলে ধরা হলো; প্রকৃত সত্য প্রকাশের জন্য। অথচ রুদ্রকে পুঁজি করে তিনি বিখ্যাত এবং বিতর্কিত হয়েছে। আর বিভিন্ন লেখকের সম্পর্ককে পুঁজি করে ক লিখে তিনি নিজেই বাণিজ্য করেছেন।
[email protected]
(নাগরিক ব্লগে ওয়ারেস কবিরের লেখা থেকে)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬