somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতার কিছু বানী ও তাবলীগের কর্মীদের কাছে কিছু প্রশ্ন :

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রশ্ন ১ : আপনারা কি তাবলীগের কাজকেই পূর্ণাংগ মনে করেন না শুধু অ -আ - ক -খ মনে করেন ?

প্রশ্ন ২ : আপনারা কি তাবলীগের কাফেলাই দ্বীনের সব কাজের প্রয়োজন পূরণ করতে পারবে বলে মনে করেন ?

প্রশ্ন ৩ : আপনারা কি তাবলীগের দ্বারাই কর্মীদের বেশী ফায়দা হবে মনে করেন না, স্হানীয় দ্বীনদার থেকে ?

প্রশ্ন ৪ : আপনারা কি এলেম ও জিকিরের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছেন ? বা আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছেন ?

প্রশ্ন ৫ : আপনারা কি এলেম ও জিকিরের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে তাবলীগের কাজের মাঝে ফেৎনা ও গোমরাহীর আশংকা করেন ?

প্রশ্ন ৬ : আপনারা কি তবলীগ ও দাওয়াত সম্পর্কিত কষ্ট মেহনত, ছফর ও হিজরত, কুরবানী ও ইছারকেই আসল কাজ বলিয়া মনে করেন ? না 'দ্বীন শিক্ষা দেওয়া' ও 'শিক্ষা করা' এবং 'আল্লাহর জিকিরকে অভ্যাসে পরিণত করা' কে আসল কাজ মনে করেন ?

প্রশ্ন ৭ : আপনারা কি এলেম ও জিকিরের স্বল্পতা অনুভব করেন ? সেটা দূর করতে আহলে এলেম ও আহলে জিকিরের সরণাপন্ন হন ?

প্রশ্ন ৮ : এলেম ও জিকিরের কাজ কি আপনাদের আয়ত্বে এসেছে ? এর সমাধানের জন্য আপনার কি করেন ? আহলে এলেম ও আহলে জিকিরের কাছে যান ? তাদের কাছে এলেম ও জিকির শিখতে যান ? না দাওয়াত দিতে যান ?

প্রশ্ন ৯ : হজরতের তাবলীগী সফরের পর ওনার কলবের অবস্হা খারাপ হত, আপনাদের কিএরূপ কিছু অনুভুত হয় ? উনি তো ব্যবস্হা হিসেবে সাহরাণপুর-রায়পুরের মাশায়েখদের কাছে চলে যেতেন, আপনারা কি এরূপ কিছু করেন

প্রশন ১০ : আপনারা কি কোন আহলে জিকিরের অধীনে থেকে জিকির শিখেন? শিখেছেন ?


প্রশ্ন ১১ : আপনারা কি তাজবীদের জন্য আলাদা সময় বের করেন ?


এখন আপনাদের উত্তর গুলো নীচের বাণীগুলোর সাথে মিলিয়ে নেন, মূল বইয়ে নাম্বার অনুসারে হযরত ইলিয়াস রহ: এর বাণীগুলো দেওয়া আছে, মিলিয়ে দেখতে চাইলে যেন সহজ হয় তাই মুল বই এর নাম্বার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে । আর যে বাণীর সাথে যে প্রশ্নটি প্রসংগিক সেটাকে আবার দেওয়া হয়েছে ' উপরে নীচে দাগ দিয়ে ' ।

২৪। এক বৈঠকে তিনি বলেন-

আমাদের এই আন্দোলনের আসল মসছুদ বা উদ্দেশ্য মুসলমানকে ঐ সমস্ত জিনিস শিক্ষা দেওয়া যাহা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়া আসিয়াছিলেন। অর্থাৎ ইসলামের পূর্ণ এলমী ও আমলী নিজাম উম্মতের মধ্যে পুনর্জীবিত করা। ইহা তো আমাদের আসল উদ্দেশ্য; বাকী রহিল তবলীগী কাফেলার ঘুরাফেরা ও ‘গাশত’ করা ইহা ঐ উদ্দেশ্য সাধনের প্রাথমিক উপায়। কালেমা, নামাজের তালীম ও তালকীন আমারেদ পূর্ণ পাঠ্য-তালিকার ক,খ,গ মাত্র।


ইহাও প্রকাশ্য কথা যে, আমাদের কফেলা সম্পূর্ণ কাজ করিতে পারিবে না। তাহারা শুধু দ্বারা এক আলোড়ন ও চেতনা সঞ্চার করিতে পারে মাত্র। গাফেলদিগকে স্হানীয় দ্বীনদারদের সঙ্গে মিলাইয়া দিবার ও দ্বীনের দরদী চিন্তানায়করেদ বেচারা আওয়ামদের সংশোধনের কাজে লাগাইয়া দিবার কোশেশ করিতে পারে। প্রত্যেক জায়গায় আছলী কাজ তো স্থানীয় কর্মীরাই করিতে পারে। আওয়ামদের বেশী ফায়দা নিজ জায়গার দ্বীনদারদের নিকট হইতেই পৌছিতে পারে; অবশ্য ইহার তরীকা আমাদের ঐ সমস্ত লোক হইতে শিক্ষা করা যায় যাহারা বহুদিন হইতে এই তরীকার ফায়দা দেওয়া নেওয়া ও শিক্ষা দেওয়া নেওয়ার কাজ সাফল্যের সহিত কলিয়ছে ও বহুলাংশে ইহাকে নিজের আয়ত্বে আনিয়াছে।
---------------------------------------------------------------------
প্রশ্ন ১ : আপনারা কি তাবলীগের কাজকেই পূর্ণাংগ মনে করেন না শুধু অ -আ - ক -খ মনে করেন ?

প্রশ্ন ২ : আপনারা কি তাবলীগের কাফেলাই দ্বীনের সব কাজের প্রয়োজন পূরণ করতে পারবে বলে মনে করেন ?

প্রশ্ন ৩ : আপনারা কি তাবলীগের দ্বারাই কর্মীদের বেশী ফায়দা হবে মনে করেন না, স্হানীয় দ্বীনদার থেকে ?


---------------------------------------------------------------------------

৩৫। একদিন ফজরে নামাজের পর নিজামুদ্দিনের মসজিদে বহু তবলীগী কর্মীদের সমাগম হইয়াছিল। কিন্তু হযরত মাওলানার দুর্বলতা এত বেশী হইয়াছিল যে, বিছানার উপর শুইয়া শুইয়াও উচ্চৈঃস্বরে দুই চার কথা বলিবার শক্তি ছিল না। এক খাছ খাদেমকে বিশেষভাবে ডাকাইয়া তাহার মধ্যস্থতায় সকলকে বলিয়াছিলেন-


আপনারা যদি তবলীগী কাজের সহিত দ্বীনের এলম ও আল্লাহর জিকিরের প্রতি বিশেষ মনোযোগ না দেন তাহা হইলে আপনাদের ঘুরাফিরা, চেষ্টা চরিত্র ও কষ্ঠ মেহনত সমস্তই বেকার হইবে। ( ধরিয়া লউন যে, এই এলম ও জিজির দুই বাহু যাহা ব্যতীত তবলীগী আকাশেখ কেহ উড়িতে পারিবে না; এটা সম্ভবত মালফুজাতের না সংকলকের কথা ) বরং বিশেষ ভয় ও সংশয়ের কথা যে, এলম ও জিকির হইতে গাফেল হইলে এই চেষ্ঠা চরিত ও কষ্ট মেহনত, ফেৎনা ও গোমরাহীর এক নূতন দারওয়াজায় পরিণত হইবে। দ্বীনের এলম না হইলে ইসলাম ও ঈমান শুধুমাত্র নাম রছমে পর্যবসিত হইবে। আবার আল্লাহর জিকির ব্যতীত এলম হইলেও তাহা কেবল অন্ধকার (জুলমত) হইবে। তদ্রুপ আবার এলমে দ্বীনে ব্যতীত আল্লাহর জিকির বেশী হইলেও তাহাতেও বড় বিপদ আছে। মোটের উপর এলমের মধ্যে জিকির হইতে নূর আসে, আবার দ্বীনের এলম ব্যতীত জিকিরের প্রকৃত সুফল ও বারাকাত পাওয়া যায় না; বরং অনেক সময় এইরূপ মূর্খ ছুফীদিগকে শয়তান নিজের কুকাজে যন্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। কাজেই এই তবলীগী কাজের মধ্যে কোন অবস্থাতেই এলম ও জিকিরকে ভুলিলে চলিবে না, বরং সদাসর্বদাই ইহার জন্য বিশেষ মনোযোগ দিতে হইবে ও যত নিতে হইবে। অন্যথায় আপনাদের এই তবলীগী আন্দোলও এক ভূয়া ও ভ্রান্ত আন্দোলনে পর্যবসিত হইবে। আর খোদা না করূন আপনারা অতি বড় ক্ষতিগ্রস্ত হইবেন।

---------------------------------------------------------------
প্রশ্ন ৪ : আপনারা কি এলেম ও জিকিরের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছেন ? বা আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছেন ?

প্রশ্ন ৫ : আপনারা কি এলেম ও জিকিরের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে ফেৎনা ও গোমরাহীর আশংকা করেন ?

সংকলক মন্জুর নোমানী সাহেব বলেন :

---------------------------------------------------------------------
হযরত মাওলানার মতলব এই হেদায়ত (উপরের উপদেশ) হইতে ইহা ছিল যে, তবলীগী কর্মীরা যেন তবলীগ ও দাওয়াত সম্পর্কিত কষ্ট মেহনত, ছফর ও হিজরত, কুরবানী ও ইছারকেই আসল কাজ বলিয়া মনে না করে; যেমন আজকাল সাধারনত লোকেরা বুঝিয়া থাকে; বরং দ্বীন শিক্ষা দেওয়া ও শিক্ষা করা এবং আল্লাহর জিকিরকে অভ্যাসে পরিণত করা ও এই সমস্তকে নিজের কর্তব্য করিয়া লওয়াকে আপনার প্রয়োজনীয় ফরিতজা (কর্তব্য) বলিয়া মনে করে, অন্য কথায় তাহাদিগকে শুধু সিপাহী ও স্বেচ্ছাসেবক হইলে চলিবে না, এলমে দ্বীনের তালেব ও আল্লাহর ইয়াদকারী বান্দাও হইতে হইবে।
--------------------------------------------------------------------
প্রশ্ন ৬ : আপনারা কি তবলীগ ও দাওয়াত সম্পর্কিত কষ্ট মেহনত, ছফর ও হিজরত, কুরবানী ও ইছারকেই আসল কাজ বলিয়া মনে করেন ? না 'দ্বীন শিক্ষা দেওয়া' ও 'শিক্ষা করা' এবং 'আল্লাহর জিকিরকে অভ্যাসে পরিণত করা' কে আসল কাজ মনে করেন ?
-------------------------------------------------------------------------

৪১। একবার তিনি বলেন-

মাওলানা! আমাদের তবলীগে এলম ও জিকিরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় চাই। ইহা ব্যতীত আমলও হইতে পারে না এবং আমলের জ্ঞান বা পরিচয়ও হইতে পারে না। আবার জিকির ব্যতীত আমল অন্ধকার, ইহাতে নূর আসেতে পারে না। কিন্তু আমাদের কর্মীদের মধ্যে ইহার অভাব।

আমি আরজ করিলাম, হবলীগ নিজেই অতি বড় ফরিজা; এই জন্য ইহাতে জিকিরের কমি বা স্বল্পতা এইরূপে যেমন, মহহুম হযরত সৈয়দ ছাহেব ব্রেলভী যখন জেহাদের প্রস্তুতির সময় নিজের মুরিদদের জিকির শোগলেন পরিবর্তে তীরান্দাজী ও ঘোড় সওয়ারীতে মশগুল করিয়া দিয়াছিলেন। তখন কেহ কেহ এইরূপ শেকায়েত করিয়াছিলেন যে, বর্তমানে পূর্বের মত নূর নাই। হযরত সৈয়দ ছাহেব বলিয়াছিলেন যে, বর্তমানে পূর্বের মত নূর নাই। হযরত সৈয়দ ছাহেব বলিয়াছিলেন, হাঁ; বর্তমানে জিজিরের নূর নাই বটে, কিন্তু জেহাদের নূর আছে, যাহা এই সময়ে বিশেষ প্রয়োজন।


মওলানা বলিলেন, কিন্তু আমি এলম ও জিকিরের স্বল্পতায় অস্বস্থি অনুভব করি। আর এই স্বল্পতাও এই জন্য যে, আহলে এলম ও আহলে জিকির এই কাজে লাগেন নাই্ যদি এই হযরতেরা আসিয়া এই কাজ হাতে লন তাহা হইলে এই অভাবও পূরণ হইয়া যাইবে। কিন্তু ওলামা ও পীরেরাও এই কাজে এখন পর্যন্ত খুব কমই আসিয়াছেন।
-------------------------------------------------------------------------
প্রশ্ন ৭ : আপনারা কি এলেম ও জিকিরের স্বল্পতা অনুভব করেন ? সেটা দূর করতে আহলে এলেম ও আহলে জিকিরের সরণাপন্ন হন ?
--------------------------------------------------------------------------
এখন পর্যন্ত যেই সমস্ত তবলীগী জমায়াত বাহির (রওয়ানা) করা হয় তাহাতে আলেম ও পীরগণ যদি এই জমায়াতে শামিল হইয়া কাজ করিতেন তাহা হইলে কতই ভাল হইত, সঙ্গে সঙ্গে অভাবও দূর হইত। আলহামদুলিল্লাহ (আল্লাহরই সমস্ত প্রশংসা) তবলীগের কেন্দ্রে আহলে এলম ও আহলে নেছবত (আলেম ও পীর) আছেন; কিন্তু তাহাদের সংখ্যা অতি অল্প; তাহারা প্রত্যেক জমাতের সহিত বাহির হইলে কেন্দ্রের কাজ কে করিবে।

৫২। একবার তিনি বলেন-

মুসলমানদের চার নিয়তে ওলামাদের খেদমত করা উচিতঃ


(১) ইসলামের জন্য; কেননা কোন মুসলমান যদি শুধু ইসলামের খাতিরে অর্থাৎ কেবল আল্লাহর ওয়াস্তে, ছওয়াবের জন্য মুসলমানের সহিত সাক্ষাত করে তাহা হইলে সত্তর হাজার ফেরেথমা তাহার পায়ের নীচে তাহাদের পাখা ও পালক (বাজু) বিছাইয়া দেয়। যখন প্রত্যেক মুসলমানের সহিত সাক্ষাতে এই ফজিলত পাওয়া যায় তখন ওলামাদের জিয়ারতেও এই ফজিলতে নিশ্চয়ই পাওয়া যাইবে।

(২) এই জন্য যে, তাহাদের শরীর ও মন এলমে নববীর বাহক ও ধারক। এই দিক দিয়াও তাহারা খেদমত ও তাজীমের যোগ্য।

(৩) এই জন্য যে, তাহারা আমাদের দ্বীনী কাজের তত্ত্বাবধায়ক।

(৪) তাহাদের জরুরিয়াত ও অভাব অভিযোগের অনুসন্ধান করিবার জন্য সক্ষম ধনী লোকের যদি তাহাদের জরুরিয়াত জানিয়া লইয়া তাহা পূরণ করিয়া দেন; তাহা হইলে তাহারা যেই সময় এই সমস্ত জরুরিয়াতের জন্য খরচ করিতেন তাহা বাচাইয়া এলমে দ্বীনের খেদমতে খরচ করিবেন এবং মালদারেরা তাহাদের এই সমস্ত কাজের ছওয়াব পাইবেন। কিন্তু বিশ্বস্ত ওলামাদের তরবিয়ত করা উচিত্ কেননা কোন ব্যক্তি বেশী সাহায্যের যোগ্য ও কোন ব্যক্তি কম সাহায্যের যোগ্য তাহা তাহারা না-ও জানিতে পারেন। (আর যদি কাহারও নিজের অনুসন্ধানে তাহা জানা সম্ভব হয় তা হইলে তিনি নিজেই অনুসন্ধান করিবেন।)


৫৪। একবার তিনি বলেন-

যে সমস্ত জমায়াত দেওবন্দ, ছাহারান পূর প্রভৃতি জায়গায় যাইতেছে তাহাদের সঙ্গে দিল্লীর ছাওদাগরদের চিঠি এই মর্মে নম্র সুরে বিনয়ভাবে লিখিয়া দেওয়া হউক যে, ইহারা আওয়ামের মধ্যে তবলীগে করিবার জন্য যাইতেছে। আপনাদের সময় অতি মূল্যবান, যদি কিছু সময় এই জামায়তের সহিত দিয়া ইহাদের পৃষ্ঠপোষকতা করিতে পারেন যাহাতে আপনাদের ও তালেব এলমদের কোন অসুবিধা না হয়; তাহা হইলে তাহাদের ছেরপরস্তী করিবেন ও তালেবে এলমদের এই কাজে আপনাদের নিজে তত্ত্বাবধানে সঙ্গে লইবেন। তালেবে এলমদের নিজ নিজ ওস্তাদের তত্ত্বাবধান ছাড়া এ কাজে অংশ নেওয়া উচিত নহে।


তবলীগী জামায়াতেকেও অছিয়াতে করা হইক যে, যদি ওলামারা কম মনযোগ দেন তাহাদের মনে যেন কোন খারাপ ধারণা না আসে, বরং ইহা বুঝা উচিত যে, ওলামা হযরত আমাদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত আছেন। অন্যেরা যখন রাত্রে সুখে নিদ্রা যায় তখনও তাহারা এলমের খেদমতে মশগুল থাকেন। তাহাদের অমনোযোগিতাকে নিজের অক্ষতমা ও দোষ বলিয়া মনে করিবে যে, আমরা তাহাদের নিকট আসা-যাওয়া কম করিয়াছি। এ জন্য তাহারা আমাদিগ হইতে ঐ সমস্ত লোকের দিকে বেশী মনোযোগ দেন যাহারা বৎসরের পর বৎসর ধরিয়া তাহাদের কাছে পড়িয়া আছে।


পুনরায় বলেন- এক সাধারণ মুসরামানের বিরুদ্ধে বিনা কারণে বদগুমানি (খারাপ ধারণা) রাখা ও পোষণ করা মানুষকে ধ্বংসের পথে নেয়; ওলামার বিরুদ্ধে কথা বলা আরও কত বড় সঙ্গনি ব্যাপার।

পুনরায় বলেন- আমাদের তবলীগের তরিকা মুসলমানের ইজ্জত ও ওলামার হুরমত এক বুনিয়াদী জিনিস। প্রত্যেক মুসলমানকে ইসলামের খাতিরে এবং ওলামাদের দ্বীনি এলমের খাতিরে সম্মান করা চাই।

পুনরায় বলেন- এলম ও জিকিরের কাজ এখন পর্যন্ত আমাদের মুবাল্লেগদের আয়ত্বে আসে নাই। ইহার জন্য আমি বড়ই চিন্তিত। ইহার তরিকা এই যে, তাহাদিগকে আহলে এলম ও আহলে জিকিরের নিকট পাঠাইয়া দেন, যেন তাহাদের তত্ত্বাবধানে থাকিয়া তবলীগের কাজও করে এবং তাহাদের এলম ও ছুহবত হইতেও ফায়দা উঠায়।

প্রশ্ন ৮ : এলেম ও জিকিরের কাজ কি আপনাদের আয়ত্বে এসেছে ? এর সমাধানের জন্য আপনার কি করেন ? আহলে এলেম ও আহলে জিকিরের কাছে যান ? তাদের কাছে এলেম ও জিকির শিখতে যান ? না দাওয়াত দিতে যান ?

৬২। তিনি বলেন-

দুইটি জিনিসের জন্য আমি বড়ই চিন্তিত। এই দুইটির প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার। এক জিকির, ইহার অভাব আমাদের জামায়াতে অনুভূত হইতেছে। তাহাদিগসে জিকির শিক্ষা দিতে হইবে। .......

৮৫। তিনি বলেন-

আমাকে যখন মেওয়াতও যাইতে হয় তখনও আমি সর্বদা আহলে খাইর ও আহলে জিকিরের জমায়াতও লইয়াই যাই। তথাপি সাধারণের সঙ্গে মেলামেশায় কলবের অবস্থা এতই পরিবর্তন হইয়া যায় যে, যতক্ষন পর্যন্ত ‘এতেকাফ’ করিয়া উহাকে ধৌত না করি অথবা কিছু দিনের জন্য ছাহারানপুর অথবা বায়পুর যাইয়া খাছ জমায়াত ও খাছ পারিপার্শ্বিকতার মধ্যে না থাকি ততক্ষণ পর্যন্ত কলব নিজের পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়া আসে না।

প্রশ্ন ৯ : হজরতের তাবলীগী সফরের পর ওনার কলবের অবস্হা খারাপ হত, আপনাদের কিএরূপ কিছু অনুভুত হয় ? উনি তো ব্যবস্হা হিসেবে সাহরাণপুর-রায়পুরের মাশায়েখদের কাছে চলে যেতেন, আপনারা কি এরূপ কিছু করেন ?

১১১। তিনি বলেন-

পয়গম্বরগণ নিস্পাপ (মাছুম), সংরক্ষিত (মাহফুজ) ও স্বয়ং খোদা তাআলা কর্তৃক শিক্ষিত ও দীক্ষিত ও নির্দেশিত হওয়া সত্বেও এই সমস্ত আদেশ নির্দেশ অন্যকে পৌঁছানের সময় সকল প্রকারের লোকের সঙ্গে মেলা-মেশা ও উহাদের নিকট আসা যাওয়া করাতে তাঁহাদের মুবারক ও মুনাওর (বরকত ও আলোকপূর্ণ) অন্তরেও ঐ সমস্ত সাধারণ লোকের (অন্তরের) ময়লা ও আবর্জনার দাগ পড়িয়া যাইত। কাজেই ঐ তাহারা নির্জনে বসিয়া জিকির ও এবাদতের দ্বারা ঐ সমস্ত ময়লঅ আবর্জনাকে বিধৌত করিতেন।


তিনি বলেন- ছুয়ায়ে মুজাম্মেলে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামকে রাত্রি জাগিয়া তাহ্জ্জাুদ পড়িবার হুকুম দেওয়ার মধ্যে

“হে রাসূল! দিনে আপনাকে অনেক চলাফিরা করিতে হয়।”


এই আয়াতেও এই দিকে ইশারা আছে যে, নবীর ছরদারেরও দিনের বেলায় দৌড়াদৌড়ি ও চলাফেরার গতিকে রাত্রির অন্ধকারে নির্জনে একাগ্রচিত্তে এবাদত করিবার প্রয়োজন ছিল। এই আয়াতের পূর্ববর্তী আয়াতে যে বলা হইয়াছে-

“আর আপনার প্রভুর নাম ইয়াদ করেন ও এককভাবে একাগ্রচিত্তে তাহাতে মনোনিবেশ করেন”


ইহা দ্বারাও এই বিষয়ের আরও অধিক সমর্থন পাওয়া যায় যে, তবলীগী কর্মীদের জিকির ফিকিরের সহিত একাগ্রচিত্তে আল্লাহর এবাদতের বিশেষ প্রয়োজন আছে। সুতরাং আমাদের এইরূপ করিতে হইবে। বরং আমাদের জন্য ইহা আরও বেশী প্রয়োজন। কারণ প্রথমতঃ আমরা নিজে অপরিপক্ক ও অন্ধকারে পূর্ণ, তদুপরি আমরা যে সমস্ত বুজুর্গ হইতে আদেশ উপদেশ লইয়া থাকি তাহারাও আমাদের মত অসংরক্ষিত। আর যাহাদের মধ্যে তবলীগ করিতে যাই তারাও সাধারণ মানুষ। মোটের উপর, আমাদের নিজের মধ্যেও ময়লা আবর্জনা। আর আমাদের উভয় পার্শ্বেও মানবীয় ময়লা ও আবর্জনা যাহার (আছর) প্রতিবিম্ব আমাদের কলবে পড়া স্বাভাবিক ও অবশ্যসম্ভাবী; এই জন্য আমরা এই নির্জন ও অন্ধকারের এবাদতের জিকির ফিকির অত্যধিক মোহতাজ। অন্তরের মন্দ আছর (প্রতিবিম্ব) দূর করিবার জন্য ইহা এক বিশেষ ফলপ্রদ ঐষধ।


১৩৪। তিনি বলেন-

আমাদের এই দ্বীনি দাওয়াতের সমস্ত কর্মীদের ভাল করিয়া বুঝাইয়া দেওয়া চাই যে, তবলীগী জময়াতগুলি বাহির হইবার উদ্দেশ্যে শুধু অন্যকে পৌঁছাইয়া দেওয়া ও হেদায়েত করা নহে; বরং এই উপায়ে নিজের (এছলাহ) সংশোধন ও শিক্ষা তালীম তরবিয়তও উদ্দেশ্য বটে। কাজেই বাহিরে থাকা কালে এলম ও জিকিরে মশগুল থাকার বিশেষ ব্যবস্থা করিতে হইবে। দ্বীনের এলম ও জিকিরের বিশেষ ব্যবস্থা ব্যতীত বাহির হওয়ার কোনই মূল্য নাই। ইহাও জরুরী যে, এই এলম ও জিকিরে মশগুল থাকাও এই পথের বুজুর্গদের সহিত সম্বন্ধ রাখিয়া তাঁদের নির্দেশাবলী মানিয়া ও তাঁহাদের তত্ত্বাবধানে হইতে হইবে। পয়গাম্বরদের (তাঁহাদের উপর শান্তি বর্ষিত হউক) তত্ত্বাবধানে এলম ও জিকির আল্লাহর নির্দেশ মত ছিল। ছাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে এলম ও জিকিরের তালিম পাইতেন ও হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরাপুরিভাবে তাঁহাদের তত্ত্বাবধান করিতেন। এইভাবে প্রত্যেক যুগের লোকেরা নিজেদের বুজুর্গদের নিকট হইতে এলম ও জিকিরের তালিম পাইতেন ও তাঁহাদের তত্ত্বাবধানে ও নেতৃত্বে পূর্ণ করিতেন। এইরূপ আজও আমরা আমাদের বুজুর্গদের তত্ত্বাবধানের মুখাপেক্ষী (মোহ্তাজ) । অন্যথায় শয়তানের জালে আটকাইয়া যাইবার বড়ই সম্ভাবনা আছে।

-------------------------------------------------------------------------
প্রশন ১০ : আপনারা কি কোন আহলে জিকিরের অধীনে থেকে জিকির শিখেন? শিখেছেন ?
-------------------------------------------------------------------
১৪৩। এ সম্বন্ধে তিনি আরও বলেন-

স্বাধীনভাবে ও নিজের মনমত না চলা বরং নিজকে ঐ সমস্ত বুজুর্গদের পরামর্শের অধীন রাখা যাহাদের উপর সর্বজন মান্য ও স্বীকৃত বুজুর্গেরা আল্লাহওয়ালা বলিয়া আস্থা স্থাপন করিয়া গিয়াছেন- এই ছিলছিলার এক ওছুল। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর ছাহাবায়ে কেরামদেরও সাধারণ মাপকাঠি ইহাই ছিল যে, তাহারা ঐ সমস্ত বড়দের উপর আস্থা স্থাপন করিতেন যাহাদের উপর হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষভাবে আস্থা রাখিতেন। তৎপর যাহাদের উপর হজরত আবু বকর ও হযরত ওমর (রাঃ) আস্থা রাখিতেন তৎপর যাহাদের উপর হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর (রাঃ) আস্থা রাখিতেন তাঁহারাই অধিকতর আস্থার যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইতেন। দ্বীনের কাজে আস্থা স্থাপনের জন্য সবিশেষ হুসিয়ারীর সহিত নির্বাচন করা দরকার, অন্যথায় ভীষণ ভুল পথে যাওয়ার ভয় আছে।

১৬৬। কোন কোন মুরিদকে সম্বোধন করিয়া তিনি বলেন-

হযরত ফারুক আজম (রা) হযরত আবু ওবায়দা ও হযরত আবু জরকে (রা) বলিতেন, আমি তোমাদের তত্ত্বাবধানের মুখাপেক্ষী (উর্ধ্বে নহি)। আমিও তোমাদিগকে ইহাই বলিতেছি যে, আমার অবস্থার প্রতি দৃষ্টি রাখিও যাহা সংশোধনের দরকার তাহা সংশোধন করিও।




১৭২। তিনি বলেন-

আমাদের সমস্ত কর্মীদের ভালভাবে বুঝিয়া নেওয়া চাই যে, তবলীগের জন্য বাহিরে থাকিবার সময় এলম ও জিকিরের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে হইবে। এলম ও জিকিরের উন্নতি ব্যতীত দ্বীনি উন্নতি অসম্ভব। সঙ্গে সঙ্গে এলম ও জিকির হাছেল করা ও পূর্ণ করা এই পথের বুজুর্গদের সহিত সম্বন্ধ রাখিয়া তাহাদের পরিচালনায় ও তত্ত্বাবধানে হইতে হইবে। আম্বিয়া (আ)-দের এলম ও জিকির আল্লাহ পাকের পরিচালনায় ও তত্ত্বাবধানে হইত। হযরতের সাহাবায়ে কেরামের এলম ও জিকির হুজুর (সা) এর অধীনে পরিচালনায় ও তত্ত্বাবধানে হইত; তৎপর প্রত্যেক যুগের আহলে এলম ও আহলে জিকির ঐ যুগের লোকের জন্য হুজুর (সা) এর যেন স্থলাভিষিক্ত (প্রতিনিধি)। এই জন্য এলম ও জিকিরের জন্য বুজুর্গদের তত্ত্বাবধানের মুখাপেক্ষী হইতে হইবে। ইহা জরুরী যে, বিশেষভাবে বাহিরে থাকিবার সময় নিজেদের বিশেষ কাজেই মশগুল থাকা চাই। অন্যান্য সমস্ত কাজ হইতে বিরত থাকিতে হইবে। তার ঐ বিশেষ কাজ এই-

(১) তবলীগী গাশত।

(২) এলম।

(৩) জিকির।

(৪) দ্বীনের জন্য ঘর ছাড়িয়া যাহারা বাহির হইয়াছে বিশেষভাবে সেই সকল সাথীদের এবং সাধারণভাবে সমস্ত সৃষ্টিজীবের খেদমত করার মশক (অনুশীলন) করা।

(৫) তছবীহ নিয়ত ও এখলাছ ও এহ্তেছাবে নফছ (নফছ হইতে হিসাব নিকাশ লওয়াকে) নুতন করিয়া লওয়া অর্থাৎ এই কাজের জন্য বাহির হইবার সময়ও ইহার কল্পনা করা এবং ছফরের মধ্যেও বার বার এই কল্পনাকে সজীব করিতে থাকা যে, আমার এই বাহির হওয়া শুধু আল্লাহর জন্য এবং পরকালের নেয়ামতের আশায় যাহা দ্বীনের খেদমত ও নছরতের (সাহায্য ও সেবার) জন্য ও এই পথের কষ্ট উঠাইবার জন্য ওয়াদা করা হইয়াছে। অর্থাৎ, বারবার মনের মধ্যে এই ধ্যান জমাইতে হইবে যে, যদি আমার এই বাহির হওয়া খালেছ হয় ও আল্লাহ পাক ইহাকে কবুল করেন তাহা হইলে আল্লাহ পাকের তরফ হইতে ঐ সমস্ত নেয়ামত নিশ্চয়ই মিলিবে যাহার ওয়াদা এই কাজের জন্য কোরআন পাক ও হাদীছ সমুহে করা হইয়াছে। আর তাহা অমুক অমুক হইবে। সে যাহা হউক, সকল অবস্থায়ই এই খোদায়ী ওয়াদার প্রতি একীন ও উহার আশার ধ্যানকে বারবার সজীব করিতে হইবে ও নিজের সমস্ত আমল এই একীন ও ধ্যানের সহিত বাধিতে হইবে। ইহারই নাম ঈমান ও এছতেছাব। বছ্! ইহাই আমাদের যাবতীয় আমলের রূহ।


২০২। তিনি বলেন-

তবলীগী জামায়াতের তালীমের নেছাবের এক আবশ্যকীয় অংশ ‘তজবীদ’। কোরআন শরীফ শুদ্ধভাবে পড়া অতি বড় জিনিস।

“আল্লাহ পাক নবীর সুমিষ্ট সুরে কোরআন পড়া যেমন কান লাগাইয়া (সন্তুষ্ট হইয়া আগ্রহের সহিত) শোনেন তেমন অন্য কোন কিছুর প্রতি কান লাগাইয়া শোনেন না।”

তজবীদ প্রকৃত প্রস্তাবে ঐরূপ শুদ্ধভাবে কোরআন শরীফ পড়া যাহা হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে নকল হইয়া আমাদের নিকট পর্যন্ত পৌঁছিয়াছে। কিন্তু তজবীদ শিক্ষার জন্য যেই সময়ের দরকার জমায়াতে সেই সময় পাওয়া যাইতে পারে না। এই জন্য এই সময় শুধু ইহার কোশেশ করিতে হইবে যেন লোকের মধ্যে ইহার আবশ্যকতার অনুভূতি পয়দা হয় ও কিছু কিছু যোগ্যতা (মোনাছেবাত) পয়দা হয়, তৎপর তাহারা যেন ইহা শিখিবার জন্য পৃথক সময় খরচ করিতে প্রস্তুত হয়।

------------------------------------------------------------------
প্রশ্ন ১১ : আপনারা কি তাজবীদের জন্য আলাদা সময় বের করেন ?
------------------------------------------------------
২১১। তিনি বলেন-


কোন কাজে মশগুল হওয়াতে অন্যান্য অনেক কাজ হইতে ফিরিয়া থাকিতে হয় অর্থাৎ যখন কোন জিনিসে মশগুল হইবে তখন অন্য সমস্ত জিনিস হইতে নিবৃত্ত থাকিতে হইবে; পুনরায় যেই পরিমাণে মশগুল হইবে সেই পরিমাণে অন্যান্য কাজ হইতে নিবৃত্তও হইতে হইবে। শরীয়তে যে ভাল হইতে ভাল কাজ শেষ করিয়া এস্তেগফার করিবার জন্য শিক্ষা দেওয়া হইয়াছে আমার মতে ইহার মধ্যে এক গুপ্ত রহস্য ইহাও যে, সম্ভবতঃ ঐ ভাল কাজে ব্যস্ত থাকার দরুন অন্য কোন আদেশ পালনে শৈথিল্য হইতে পারে, বিশেষ করিয়া যখন কোন কাজের আকর্ষণ অন্তরে লাগিয়া যায় ও মানুষের মনে ও মস্তিষ্কে ঐ কাজ ব্যাপ্ত হইয়া যায় তখন উহা ব্যতীত অন্যান্য কাজে অনেক সময় ত্রুটি হইতে থাকে। এই জন্য আমাদের এই কাজে যাহারা লাগে তাহাদের বিশেষ ভাবে কাজের সময় ও কাজ শেষ করিয়া বেশীভাবে এস্তেগফার পড়া নিজের উপর বাধ্যতামূলক করিয়া লওয়া চাই।


২১২। তিনি বলেন-


ওলামাদের বলিতেছি যে, এই সমস্ত তবলীগী জামায়াতের গুরাফিয়া, পরিশ্রম ও কোশেশের দ্বারা সাধারণের মধ্যে শুধুমাত্র দ্বীনের তলব ও কদর পয়দা করা যাইতে পারে ও তাহাদিগকে দ্বীন শিখিবার জন্য প্রস্তুত করা যাইতে পারে। তৎপর দ্বীনের তালীম ও তরবীয়তের (শিক্ষা-দীক্ষার) কাজ ওলামা ও ছোলাহাদের এই দিকে মনোযোগ দেওয়াতই হইতে পারে এই জন্য আপনাদের মত বুজুর্গদের দৃষ্টিপাতের খুব বেশী জরুরত আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×