ইমান বা ইমানের শক্তি বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আগে বেশ কিছু পোষ্ট দিয়েছিলাম । আজকের পোষ্ট ইমান কমে কি ভাবে ?
তাবলীগী ভাইয়েরা অনেক সময় দাওয়াতের জজবায় বলে ফেলেন যত বেশী দাওয়াত দিবেন, তত ইমান বাড়বে, আর দাওয়াত না দিলে ইমান কমা শুরু হবে।
শরীয়তে ইমান কমার বিষয়টা প্রথমত গুনাহর সাথে সম্পর্ক যুক্ত । কোন বান্দা যখন কোন গুনাহ করে, তখন অন্তরে একটি কাল দাগ পরে । তওবা করলে সেটি আবার দূর হয়ে যায়। আর তওবা না করলে সেই ডাগ থেকে যায় । এমতবস্হায় আবার গুনাহ করলে আবার লাকো দাগ পরে। এভাবে গুলাহ করতে থাকলে (তওবা ছাড়া) অন্তর একেবারে কালো হয়ে যায় ।
এরূপ অন্তরে ইমানের শক্তি একদম কমে যায় । ভাল কথা - কাজ তখন অন্তর গ্রহণ করে না। এটাই ইমানহীনতা বা ইমানের শক্তিহীনতার অবস্হা।
তাই দাওয়াত না দিলে ইমান কমে যাবে এ কথা পাইকারী ভাবে বলা যাবে না । তবে যে সব ক্ষেত্রে সৎ কাজের আদেশ - অসৎ কাজের নিষেধ বাদ্যতা মুলক, সে সব ক্ষেত্রে তা না করলে ইমানের বিশেষ ক্ষতি হবে । যেমন কারো সামনে অন্যায় কাজ হলে তার যদি বাধা দানের সামর্থ থাকে, আর সে বাধা না দেয়, তার ইমানের বিশেষ ক্ষতি হবে । আর সামর্থ না থাকলে ঘৃণা করতে হবে, যেটা ইমানের শেষ দরজা! মাজার বিষয় 'ইমানের শেষ দরজা' বলে যে ধমকি এসেছে সেটা নেহী আনিল মুনকার বা অসৎ কাজের নিষেধ সম্পর্কে, যেটার বিষয়ে অধিকাংশ তাবলীগী ভাইরাই উদাসীন।
এ থেকে আরো একটা বিষয় পরিষ্কার হয়, তাবলীগী ভাইরা দাওয়াত বলতে সাধারণত: যে ইমানী আলোচনা, অথবা নেক কাজে তরগীব বা উৎসাহ প্রদান করেন, সেটা না করলে ইমান কমে যাবে এমন মনে করার খুব ভাল কোন কারণ খুজে পাওয়া যায় না ।
শায়খ জাকারিয়া চাচা হজরত ইলিয়াস রহ: এর কাছে পড়তেন। তিনি চাচার একটা কথা নকল করেন, জাকারিয়া ! তুই ৬ সপ্তাহ কথা বন্ধ কর, আমি তোকে ওলী বানিয়ে দিব ! এই ঘটনায় ওলী হওয়ার উপায় দাওয়াত না বরং চুপ থাকা ! দাওয়াত না দিলে যদি ইমান কমেই যায়, তবে ৬ সপ্তাহ চুপ থেকে তো কারো পক্ষে ওলী হওয়া সম্ভব না!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৩