একটা পোষ্টে বলেছিলাম তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভ্রান্তি : ইমান বৃদ্ধির উপায় শুধু দাওয়াত । কোন কোন ভাই এরূপ না বললেও ইমান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দাওয়াতের সমকক্ষ কোন কিছুকেই তারা মানতে চান না! অথচ কোরাণ হাদীসের এমন কোন স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায় না যে দাওয়াত দিলে ইমান বাড়ে । অথবা তোমরা দাওয়াত দাও ইমান বাড়বে, বা ইমান বৃদ্ধির জন্য দাওয়াত দাও এমন কিছুও পাওয়া যায় না।
সব মুফাস্সির, ফকীহ, মুহাদ্দিসরা যেহেতু এ বিষয়ে একমত যে নেক আমলের দ্বারা ইমানের শক্তি, নুর ইত্যাদী বাড়ে, আর দাওয়াত -ও যেহেতু একটি নেক আমল, তাই দাওয়াতের দ্বারাও ইমান বাড়বে । এতে কো আপত্তি নেই । কিন্তু দাওয়াত দিলে ইমান বেশী বারবে, নামাজ পড়লে সেরূপ বাড়বে না, এটার দললিল কি ?
বুখরী শরীফের একটি হাদীসে আছে, ফরমাবরদার বান্দা নফল এবাদতের দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করে। ( এখানে 'ফরমাবরদার' কথাটা লক্ষনীয়, অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্ধারিত বিষয়গুলো আদায় করে ও নিষিদ্ধ বিষয় ত্যাগ করে, শুধু সে-ই নফল এবাদত করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করবে । নির্ধারিত বিষয় বাড দিয়ে নফল কাজের দ্বারা নৈকট্য হাসিল হবে না ।) এমনকি আমি তার হাত হয়ে যাই যার দ্বারা সে ধরে, পা হয়ে যাই যার দ্বারা সে চলে .... ( অর্থাৎ তার সব কিছু আল্লাহর সন্তুষ্টি মত হয় ।)
উপর হাদীস দ্বারাও প্রমান হয় আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রথম ও প্রধান উপার ফরজ কাজগুলো। এরপর নফল । তাই নামাজ - রোজা - হজ -জাকাত এসবের দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য যতটুকু হাসিল হবে দাওয়াত- তাবলীগ - জেহাদ ইত্যাদীর দ্বারা ততটুকু হবে না , কেননা এগুলো সবসময় ফরজ না।
তাবলীগ জামাতের সমালোচনা ওতার জবাব কিতাবে শায়খ জাকারিয়া খুব স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, নিয়মিত নামাজ আদায় জেহাদ থেকে উত্তম। হজরত শায়খ আল্লামা শামীর হাওয়ালাও দিয়েছেন এতে।
আর একথা তো খুবই সত্য ইমানের শক্তি বাড়লেই আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হেব, বা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল ইমানের শক্তি বাড়ার মাধ্যমেই হবে । তাই নামাজ রোজা ইত্যাদী পালনে ইমানের বৃদ্ধি দাওয়াত -তাবলীগ এসবের চেয়ে বেশী হবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৯