somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল : হিজরত ছাড়া, ইমান পূর্ণ হয় না, ইয়াক্কীন তৈরী হয়না।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিজরত খুবই গুরুত্ব পূর্ন একটি আমল । যদি কোন স্হানে ইমান - ইসলাম নিয়ে বাচা সম্ভব না হয় তবে সে স্হান ত্যাগ করে মুসলমানী জীবন জাপন করা সহজ সেখানে চলে যাওয়া জরূরী । একে হিজরত বলে। ইসলামের শুরু যামানায় মক্কা শরীফে রসুল ও সাহাবাদের ইসলাম মানা এমনকি বেচে থাকা অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল, তখন হিজরতের নির্দেশ আসে । মুসলমানদের জন্য তখন হিজরত করা ফরজ ছিল । এই নির্দেশ মক্খা বিজয় পর্যন্ত ছিল, মক্কা বিজয়ের পর হিজরতের এই নির্দেশ রহিত হয়ে যায় । তবে যে কোন যুগে , যে কোন স্হানেই যদি এরূপ পরিস্হিতি হয় , তাহলেও একই নির্দেশ । এর ফজীলতও অনেক।

তবে হিজরত বর্তমানে সব জায়গায় - সব সময় ফরজ না, এমনকি অধিকাংশ স্হানেই এরূপ না । তবে মক্খা বিজয়ের পর হিজরতের নিয়ত বাকি থাকবে, জেহাদ - তাবলীগ ইত্যাদী কাজে সফরের হুকুম অবশিষ্ট আছে, থাকবে। তবে হিজরত নির্দিষ্ট ভাবে ফরজ না হলে, কাউকে একথা বলা যাবে না যেহেতু সে হিজরত করে নি সুতরাং তার ইমান পূর্ণ না ! তবে ফরজ হিজরত কেউ যদি না করে তবে তার ইমান ত্রুটিযুক্ত হবে ।

আমাদের কিছু মুবাল্লিগ ভাইরা তাবলীগী সফরকেই হিজরত বলেন, আবার এই হিজরত না করলে ইমান পূর্ন হবে না বলে থাকেন । অথচ বিষয়টা এরূপ না । শরীয়তেও একথা বলা হয় না - যে কোন ব্যক্তি যদি তাবলীগী সফর না করে তবে তার ইমান পূর্ন হবে না। প্রথমত তাবলীগী সফরগুলো শরয়ী ভাবে হিজরত হিসেবে গন্য না । আর এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ তাবলীগী ভাইয়েরা ৪ মাস, এক বছর পর ফিরে আসেন, চির দিনের জন্য যান না । এগুলো সফর । আর সফরের সাথে হিজরতের অনেক পার্থক্য আছে । আর এটাকে কে্উ কেউ রূপক হিজরত বলে থাকেন। এটা মেনে নিলেও শরীয়তে এর হুকুম ফরজের দরজায় না। আর তাই এর অভাবে কারও ইমানকে ত্রটিযুক্তও বলা যাবে না ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

Testimony of Sixty- By Edward Kennedy বাংলাদেশের রক্তাক্ত সত্যের এক আন্তর্জাতিক স্বীকারোক্তি

লিখেছেন কিরকুট, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩




১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর বৈপরীত্যের বছর। এটি যেমন ছিল অন্ধকার ও রক্তাক্ত, তেমনি ছিল সত্যের প্রতি অবিচল এক সময়কাল। এই বছরের গণহত্যা, শরণার্থী স্রোত ও মানবিক বিপর্যয়ের বিবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×