দুপুর ১২টা থেকেই গুলির খবর আসছিল । নটরডেম আর মন্চের মাঝামাঝি বসে ছিলাম । বিকাল ৩টা/৪টার দিকে দেখলাম একজন আহতকে রিক্সায় করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সাবই জায়গা করে দিল, খুব একটা প্রতিক্রিয়া দেখলাম না করো মাঝে !
শুনেছিলাম সমাবেশ দিনে দিনেই শেষ হয়ে যাবে, তাই ৫:১৫ তেই আগে ভাগে রিক্শা নিয়ে রওনা দেই, কারণ সমাবেশ শেষে কিছু পাওয়া যাবে না। শাহজাহানপুরে এসে দেখলাম মারকাজুল ইসলামীর এম্বুলেন্স থেকে গুলিবিদ্ধ একজনকে নামিয়ে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে খুব স্বাভাবিক কিছু ঘটেছে ।
আসলে সেদিন যারা সমাবেশে গিয়েছিল সবারই একটা আশংকা, মৃদু প্রস্তুতি ছিল গুলি খেতে পারি, মারা যাতে পারি !
মাগরিব মহল্লায় পড়লাম। নামাজের পর এক হাজী সাহেব কাদো কাদো কন্ঠে বললেন পাখির মত লোক গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে । সমাবেশে থাকা দুজন বন্ধুকে ফোন দিলাম । দেখলাম সবাই নির্বিকার ।
১০টার দিকে ৪টা লাশ কাফন পড়িয়ে মন্চে আনা হল । সমাবেশ শান্ত, সবাই টিভিতে দেখলো। উত্তেজিতও নয়, আবার আতন্কিতও নয় । অনেকটাই নির্লিপ্ত ।
আবার খবর পেলাম আক্রমণ হয়েছে, শেষ ১০:৪৫ দিকে শামীম ভাইকে ফোন দিলাম, দেখলাম উনি নির্বিকার । অবস্হা কি , জানতে চাইলে, বললেন একটু আগে গরম ছিল এখন ঠান্ডা ।
দশটার পর অনেকেই চলে আসে, রাতে প্রায় দেড় লাখ লোক যারা ছিল, এরা ভুল বুঝে চলে আসা জন গোষ্ঠি মনে হয় না । বার বার ষ্টেজ থেকে " আক্রমণ হতে পারে ", " শহীদ হতে কে কে তৈরী ", "আক্রমণ হবে " এসব আওয়াজ আসছিল ।
এই নির্বিকার নির্লিপ্ত জনতার কা্উকে হতা হত না করে সরিয়ে দিলেন ! বিশ্বাস হচ্চে না ।