somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গুলি আর লাশের খবর আসছিল, আহতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সবার সামনে দিয়ে, কিন্তু সমাবেশের লোকেরা ছিল সুস্হির, নির্লিপ্ত ।

০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুপুর ১২টা থেকেই গুলির খবর আসছিল । নটরডেম আর মন্চের মাঝামাঝি বসে ছিলাম । বিকাল ৩টা/৪টার দিকে দেখলাম একজন আহতকে রিক্সায় করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সাবই জায়গা করে দিল, খুব একটা প্রতিক্রিয়া দেখলাম না করো মাঝে !

শুনেছিলাম সমাবেশ দিনে দিনেই শেষ হয়ে যাবে, তাই ৫:১৫ তেই আগে ভাগে রিক্শা নিয়ে রওনা দেই, কারণ সমাবেশ শেষে কিছু পাওয়া যাবে না। শাহজাহানপুরে এসে দেখলাম মারকাজুল ইসলামীর এম্বুলেন্স থেকে গুলিবিদ্ধ একজনকে নামিয়ে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে খুব স্বাভাবিক কিছু ঘটেছে ।

আসলে সেদিন যারা সমাবেশে গিয়েছিল সবারই একটা আশংকা, মৃদু প্রস্তুতি ছিল গুলি খেতে পারি, মারা যাতে পারি !

মাগরিব মহল্লায় পড়লাম। নামাজের পর এক হাজী সাহেব কাদো কাদো কন্ঠে বললেন পাখির মত লোক গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে । সমাবেশে থাকা দুজন বন্ধুকে ফোন দিলাম । দেখলাম সবাই নির্বিকার ।

১০টার দিকে ৪টা লাশ কাফন পড়িয়ে মন্চে আনা হল । সমাবেশ শান্ত, সবাই টিভিতে দেখলো। উত্তেজিতও নয়, আবার আতন্কিতও নয় । অনেকটাই নির্লিপ্ত ।

আবার খবর পেলাম আক্রমণ হয়েছে, শেষ ১০:৪৫ দিকে শামীম ভাইকে ফোন দিলাম, দেখলাম উনি নির্বিকার । অবস্হা কি , জানতে চাইলে, বললেন একটু আগে গরম ছিল এখন ঠান্ডা ।

দশটার পর অনেকেই চলে আসে, রাতে প্রায় দেড় লাখ লোক যারা ছিল, এরা ভুল বুঝে চলে আসা জন গোষ্ঠি মনে হয় না । বার বার ষ্টেজ থেকে " আক্রমণ হতে পারে ", " শহীদ হতে কে কে তৈরী ", "আক্রমণ হবে " এসব আওয়াজ আসছিল ।

এই নির্বিকার নির্লিপ্ত জনতার কা্উকে হতা হত না করে সরিয়ে দিলেন ! বিশ্বাস হচ্চে না ।

১১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×