দেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী শহীদদের আত্মার প্রতি সন্মান দেখানোর এক অনন্য উদ্দ্যোগ ছিল ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রচেষ্টা ও আন্দোলন । ৯২-৯৩-৯৪ এ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে উঠে এই আন্দোলন । সর্বস্তরেরে মানুসের স্বত:স্ফুর্ত সমর্থন পায় এই উদ্দ্যোগ । এই আন্দোলনের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আর জাগরণে সংকিত হয় সরকার-বিরোধী দল শ অনেকেই ! সরকার থেকে হয় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, আর স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী দল আওয়ামী লীগ এর পাশাপাশি প্রতি আন্দোলন শুরু করে স্বাধীনতার মন্চ থেকে!
একনিষ্ঠ ও নেতৃর প্রতি অনুগত আওয়ামী কর্মীদের একদল বুকে পাথর বেধে হলেো আন্দোলনে পিছটান দেয় ! সত্যই সেলুকাস কি বিচিত্র ...
যাই হোক ঘাতক - দালাল - নির্মূল কমিটি গত ২০ বছরে যা করতে পারত প্রতি এলাকায় ঘাতক দালালের একটি তালিকা তৈরী, প্রতিটি যুদ্ধাপরাধীর অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিজোগ তৈরী, সাক্ষ্য প্রমাণ রেফারেন্স ও ডকুমেন্ট সংগ্রহ ও সংরক্ষণ । যার অভাব প্রকট ভাবে অনুভুত হচ্ছে আজ ৪২ বছর পর ! আজ থেকে ২০ বছর আগে থেকে চেষ্টা করলে এটা তেমন কোন কঠিন কাজ হত না!
যেমন ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ব্যাপক ভাবে শোন যাচ্ছে আল্লামা শফী রাজাকার । কিন্তু এই দেশ প্রেমিক স্বাধীনতা প্রেমিক দাবীকারীরা :
শেখ সাহেবের ৭৫ পর্যন্ত বলেনি আল্লামা শফী রাজাকার !
শহীদ জিয়ার ৮০ পর্যন্ত বলেনি আল্লামা শফী রাজাকার !
সাত্তার সাহেবের ৮২ পর্যন্ত বলেনি আল্লামা শফী রাজাকার !
এরশাদ চাচার ৯০ পর্যন্ত বলেনি আল্লামা শফী রাজাকার !
খালেদা জিয়ার ৯৬ পর্যন্ত বলেনি আল্লামা শফী রাজাকার !
শেখ হাসিনার ২০০১ পর্যন্ত বলেনি আল্লামা শফী রাজাকার !
মইনুদ্দীনের ২০০৮ পর্যন্ত বলেনি আল্লামা শফী রাজাকার !
২০১০ তে হেফাজত তৈরী হবার পরও বলেনি আল্লামা শফী রাজাকার !
২০১৩ তে গনজাগরণ শুরুর দিকেও বলেনি আল্লামা শফী রাজাকার !
আল্লাহর কুদরতে বিশাল আকারে লং মার্চ শান্তিপূর্ণ ভাবে হওয়ার পর উনি হয়ে গেলেন রাজাকার ।
বলেন ভাই সুবহানাল্লাহ!
আল্লাহর কি কুদরত !
নাস্তিকদের শরবত!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




