স্বামী এবং স্ত্রীর ভালবাসা বলতে সাধারনত একটি বিশেষ বিষয়কেই বুঝিয়ে থাকে। একজন স্ত্রী তার স্বামীকে ভালবাসে এর অর্থ সে তার সহিত মিলিত হতে ভীষনভাবে আগ্রহী। যদি কারও স্ত্রী তাকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশী ভালবাসে কিন্তু তার সহিত নির্জনবাসের ব্যাপারে তার আগ্রহের কোন কমতি থাকে তবে তার স্বামী কখনই সুখী নয় এমন ও বলা যায় না যে সে তার স্বামীকে ভালবাসে। স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা তখনই পুর্ণতা পায় যখন উভয়ে উভয়ের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয় এজন্য পুরুষের সক্ষমতার পাশাপাশি মেয়েদের আকাংখার তীব্রতারও প্রয়োজন রয়েছে।
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন, যদি কোন পুরুষ প্রয়োজন পুরনের জন্য তার স্ত্রীকে ডাকে তবে সে তার ডাকে সাড়া দিক যদিও সে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকে। (তিরমিযী, মিশকাত, রিয়াদুস সালেহীন)
হরীণ নয়না হুরদের কথা
আবদুল্লাহ আল মুনীর
===========================================
স্বামী স্ত্রীকে সহবাসের জন্য আহবান করার পর না আসলে তার বিধানঃ
যখন স্বামী স্ত্রীকে বিছানায় আহবান করবে তখন তার ডাকে সাড়া দেওয়া স্ত্রীর প্রতি জরুরী ও বিরত থাকা হারাম।
আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণিত তিন বলেনঃ রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ “যখন স্বামী তার স্ত্রীকে বিছানায় আহবান করে আর সে আসতে অস্বীকার করে। ফলে স্বামী তার প্রতি রাগাম্বিত অবস্থায় রাত্রী যাপন করে। তখন সকাল হওয়া পর্যন্ত ফেরেশতারা সে স্ত্রীর প্রতি অভিশাপ করতে থাকে।”
(বুখারী হাদিস নং ৩২৩৭, মুসলিম হাদিস নং ১৪৩৬)
ইসলামী ফিকাহ
============================================
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাঃ) কে প্রশ্ন করা হল আমরা কি জান্নাতে আমাদের স্ত্রীর সাথে মিলিত হব? তিনি বললেন হা যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ এবং সে সময় তোমরা তাদের খুবই শক্ত ভাবে আলিঙ্গন করবে আর যখনই তাদের রেখে উঠে দাড়াবে তারা পুনরায় পবিত্র হয়ে যাবে, কুমারী হয়ে যাবে। (সহীহ ইবন হিব্বান, সিলসিলাতুল আহাদীস আসসাহীহাহ হাঃ ৩৩৫১)