
আধুনিক এই যুগে এসে নারীরা যখন ঘরের পাশাপাশি বাইরের কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন অঙ্গনে সাফল্য বয়ে আনছে কিংবা সংসারের উপার্জনের সহায় হচ্ছে তখন তাদের কাঁধে একতরফা ভাবে সংসারের জোয়াল বেঁধে দেওয়াটা কখনোই সুখী দাম্পত্যের নিয়ামক হতে পারে না। বরং সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি ঘরে-বাইরের প্রতিটি কাজ সমঝোতার ভিত্তিতে ভাগাভাগি করে নিতে পারাটাই হলো যথার্থ স্বামী বা স্ত্রীর দায়িত্ব।
অনেক স্বামীই হয়তো ভাবেন যে, সংসার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একমাত্র অর্থ উপার্জনই আসল এবং সেটি করাই তার একমাত্র দায়িত্ব। সেটি সঠিক নয়। তবে এই কাজটির পাশাপাশি স্ত্রীকে ঘরের বিভিন্ন কাজে শারীরিক ও মানসিকভাবে সাহায্য করাটাও জরুরি। যেমন ধরুন: অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাসার খোঁজখবর নেওয়া, বাড়িতে কারো অসুবিধা হচ্ছে কি না তা জানতে চাওয়াটাও অনেক সময় স্ত্রীকে মানসিক শান্তি দেয়। একইভাবে বাড়িতে কার কখন কি প্রয়োজন সেটি অন্য কেউ বলবার আগেই নিজ থেকে সেসবের খোঁজখবর রাখার চেষ্টাও করতে হবে। পাশাপাশি ছুটির দিনগুলোয় স্রেফ শুয়ে বসে কিংবা আড্ডায় মশগুল না থেকে বাড়ির জমে থাকা কাজগুলোয় হাত লাগালে সেটিও একটি বড় কাজ করা হয়।
দাম্পত্য সম্পর্কের মাঝে যেন কোনভাবেই একঘেয়েমি বিষয়টি চলে না আসে সেটি দেখার দায়িত্বটিও কিন্তু অনেকাংশে স্বামীর উপরই বর্তায়। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের কিংবা সম্পর্কের বিশেষ বিশেষ দিনগুলো মনে রেখে সেসব দিনে কোন বাড়তি পরিকল্পনা করার মধ্য দিয়ে পরিবারে একটি সুন্দর আবহ গড়ে তুলতে পারেন। সর্বোপরি ‘এটি বাড়ির বৌদের কাজ’ এই ধারণার বশবর্তী না থেকে কাজগুলোকে নিজ পরিবারের ভেবে তাতে সাহায্য করাটাই একজন দায়িত্ববান ও আদর্শ স্বামীর কর্তব্য। ---
লিখেছেনঃ
নাজিয়া কাইয়ুম
দৈনিক আজাদী (চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত)