
একমাত্র পারিবারিকভাবেই অবৈধ প্রেম-ভালবাসা প্রতিরোধ করা সম্ভব। মা-বাবা সচেতন থাকলে ছেলে-মেয়েরা প্রেম-ভালবাসার মরণ ছোঁবল থেকে নিরাপদ থাকতে পারে। মা-বাবার কঠোর শাষনের মধ্যে ও ছেলে-মেয়েরা প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। কোন শাষনই তারা তোয়াক্কা করে না। এক পর্যায়ে মা-বাবা বাধ্য হয়েই অন্যত্র বিয়ে দেবার জন্য চেষ্টা করে। কিছু কিছু মেয়ে অন্যত্র বিয়ে দেবার খবর শুনেই প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্য পালিয়ে যায়। সুখের আশায় ঘর বাঁধতে গিয়ে সবকিছু হারিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। কেউ বা আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়।
আবার কিছু কিছু মেয়ে মা-বাবার ভয়ে বিয়ের পিড়িতে বসতে বাধ্য হয়। সংসার জীবন শুরু করে। কিন্তু স্বামীকে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারে না। মন পরে থাকে প্রেমিকের দিকে। কোন এক সময় স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাপের বাড়ী তারপর প্রেমিকের বাড়ীতে চলে যায়। দৈনিক পত্রিকা, ম্যাগাজিনে এই খবরগুলো গুরত্বসহকারে প্রকাশিত হয়।

তাই যারা বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য কিছু টিপসঃ
১. পাত্রী দেখার আগেই পাত্রীর সাথে কারো সম্পর্ক আছে কিনা জেনে নিবেন।
২. পরিবারের সম্মতিতে দেখা-দেখি পর্ব শেষ করে পাত্রী সাথে সরাসরি এই বিষয়ে কথা বলুন।
৩. কোন মেয়েই সম্পর্কের কথা শিকার করে না। তাই কৌশল অবলম্বন করে জানার চেষ্টা করুন।
৪. কারো সাথে গভীর সম্পর্ক থাকলে দাম্পত্য জীবনে এর প্রভাব পড়বে কিনা ভেবে দেখুন।
৫. আপনি ও কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। পরিবারকে বলতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই পরিবারের সম্পতিতে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। অতীতকে ভুলে পরিবারের পছন্দের মেয়েকে মেনে নিতে পারবেন কিনা একটু ভেবে দেখুন।
৬. হুট করে ঘটকের মিষ্টি কথায় কান না দিয়ে পাত্রীর পরিবারের অতীত-বর্তমান ইতিহাস জানার চেষ্টা করুন।
৭. পাত্রীর বাবার অঢেল অর্থ সম্পদ দেখে বিয়ে করতে যাবেন না। অর্থ-সম্পদের উৎস জানার চেষ্টা করুন।
৮. সুন্দরী মেয়ে দেখেই বিয়ে করার জন্য পাগল না হয়ে তার চরিত্র সুন্দর কিনা জেনে নিন।
৯. আপনি প্রবাসী হলে প্রবাসে কি করেন, কতদিন পর দেশে আসেন, কতদিন পরিবারকে সময় দিতে পারবেন, বিয়ের পর নিয়ে যেতে পারবেন কিনা পাত্রীকে বা পাত্রীর অভিভাবককের সাথে শেয়া করুন। বিয়ের করতে গিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিলে সংসার জীবনে অশান্তি দেখা দিতে পারে।
১০. বয়সের ব্যবধান যাতে বেশী না হয় সেই দিকটাও একটু খেয়াল রাখবেন। আজকাল ত্রিশোর্ধ যুবককে পনের/ষোল বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে যায়।
১১. গ্রাম অঞ্চলে বাল্য বিবাহ এখনো টিকে আছে। অভাবের কারনে গরীব মাতা-পিতা বয়স্ক পাত্র বা বিবাহিত পুরুষের সাথে টাকার লোভে কন্যা বিয়ে থাকে। কিশোরী বধুটি সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যু বরণ করে থাকে। আপনি একজন শিক্ষিত ও সচেতন নাগরিক হিসেবে তাদেরকে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলুন।