somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাম্পত্য জীবনঃ-------স্বামীর উত্তেজনা/বা রাগের মূহুর্তে স্ত্রীর কি করণীয়?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাগ বা ক্রোধ ঈমানের বড় শত্রু। কারো থেকে প্রতিশোধ নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ের সময় যে তোলপাড় সৃষ্টি হয় তাকে ক্রোধ বলে। ক্রোধ যেমনিভাবে মানুষের ঈমান ও আত্মার শত্রু তেমনিভাবে অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধ জীবনেরও বড় শত্রু। ক্রোধের কারণে মানুষের পশুসুলভ আত্মা সক্রিয় হয়। চেহারা বিবর্ণ হয়। শিরা-উপশিরা ফুলে যায়, মানুষ আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। যার কারণে অনায়াসে মুখে অশ্নীল কথা, অঙ্গে অশ্নীল কাজ প্রকাশ পায়। ক্রোধ একটি জ্বলন্ত অগ্নিশিখা, তাই মানুষ ক্রোধান্বিত হলে সে অগ্নি সহজে নেভে না ।

স্বামীর উত্তেজনা/বা রাগের মূহুর্তে স্ত্রীর কি করণীয়-----------------

@ আপনার স্বামী কখনও অসন্তুষ্ট হয়ে মুখ কালো করলে আপনিও তার সাথে মুখ ফুলিয়ে বসে থাকবেন না।

@ বরং তোষামোদ করে,অনুনয়-বিনয় প্রকাশ করে, হাত জোর করে যেভাবে সম্ভব তাকে খুশী করবেন।

@ ত্রুটি যদি আপনার না হয়ে স্বামীর হয়, তাহলেও তার উত্তেজনার জবাবে আপনি ও উত্তেজিত হয়ে যাবেন না।

@ বরং করজোড়ে নতি স্বীকার করে তার কাছে ক্ষমা চাওয়াকে নিজের জন্য গর্ব ও মর্যাদার বিষয় মনে করবেন।

@ আর ক্রটি যদি আপনার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে, তাহলে তো আপনার অসন্তুষ্ট হয়ে মুখ ফুলিয়ে রাখা চরম বোকামী ও নির্বু্দ্ধিতা ছাড়া কিছুই নয়।

@ আর এ জাতীয় আচরণের ফলেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনের দুরত্ব, মন কষাকষি ও বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়।

@ আপনার স্বামী কোন কারনে উত্তেজিত হয়ে গেলে তার মুখের উপর এমন কোন কথা বলা উচিত নয়, যার কারনে তার উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পায়।

@ উত্তেজনার বশে তিনি ভাল-মন্দ কিছূ বললে তা সহ্য করে নিবেন, এবং জবান দানে নিজেকে সম্পূর্ন নিবৃত্ত রাখবেন।

@ তিনি উত্তেজিত হয়ে অবিরাম বলতে থাকলেও নিরবে শুনে যাবেন।

@ উত্তেজনা অবদমিত হবার পর দেখবেন তিনি নিজেই আপনার কাছে লজ্জিত হবেন।

@ উপরন্তু আপনার প্রতি তার আকর্ষণ ও ভালবাসা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে কখনও আপনার প্রতি উত্তেজিত হবেন না।

@ আর যদি স্বামীর উত্তেজনার জবাবে আপনিও উত্তেজিত হতে থাকেন, তাহলে পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঘটে এর ফলে শেষ পরিণতি কোথায় গিয়ে দাড়াঁবে তা বলা মুসকিল।

কোরআন ও হাদীসের আলোকে রাগ বা ক্রোধঃ

পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে-রাগ সংবরণকারী এবং মানুষের ত্রুটি মার্জনাকারীদের জন্য আল্লাহ তায়ালার ক্ষমা ও জান্নাত নির্ধারিত। আল্লাহ পাক সৎ কর্মশীলদের ভালবাসেন।

রাসূলে আকরাম (সাঃ) বলেন, "তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হবে সে যেন ওজু করে। কেননা, রাগ শয়তানের প্ররোচনা, শয়তান আগুনের তৈরী আর আগুন নিভে যায় ঠান্ডা পানিতে (মেশকাত)।

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, "রাগ ঈমানকে এমনভাবে ধ্বংস করে যেমন পিপুল গাছের তিক্ত রস মধুকে বিনষ্ট করে।"

রাসূল (সাঃ) আরোও বলেছেন, যে ক্রোধকে বাধা দেয় আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন তার আজাবকে বাধা দেবেন।

অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে, "সে ব্যক্তি এমন শক্তিশালী নয় যে, মানুষকে ধরাশায়ী করে বরং সেই শক্তিশালী যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে।

জনৈক সাহাবী রাসূল (সাঃ) কে বললেন, আমাকে কিছু নসিহত করুন। তিনি বললেন, তুমি রাগ করোনা।

হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, আমি রসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে আলস্নাহর রাগ থেকে কিসে রক্ষা করবে? তিনি বললেন, তুমি নিজে রাগান্বিত হয়ো না। রসূল (সাঃ) বললেন, যে আপন ক্রোধ দমন করে আলস্নাহ তায়ালা তার দোষ গোপন করেন। তিনি আরো বলেন, যখন তোমাদের কেউ রাগান্বিত হয় সে যেন বসে পড়ে, এতেও যদি রাগ প্রশমিত না হয় তাহলে যেন সে শুয়ে পড়ে। (মেশকাত)

তাই---------সংসারে-রাগারাগি নয়-----------স্বামীকে ভালবাসুন---------

স্বামীর উপর আস্থা রাখুন-বিশ্বাস রাখুন-------

সুন্দর জীবন যাপন করুন----------------------


আপনাদের দাম্পত্য জীবন হোক ধন্য হাসি-খুশি আর আনন্দে পরিপূর্ন।

১৮টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশের দরীদ্র সমাজ এখনো ফুটপাতে ঘুমাচ্ছেন

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২৪ শে মে, ২০২৫ রাত ১:৪৪

বেরিয়েছিলাম উত্তরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে। মানিক মানিক মিয়া এভিনিউ পার হওয়ার সময়ে, খামারবাড়ির সামনে গোল চত্বরে হঠাৎ চোখ গেলো। চত্বর ঘিরে সারি সারি মানুষ শুয়ে আছেন। গত সরকারের আমলে আমার এলাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনূসের ক্ষমতার ভারসাম্য এবং পিনাকী গং-এর সংঘবদ্ধ মিথ্যাচার ও সামাজিক প্রতারণা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে মে, ২০২৫ ভোর ৫:৪৬


এই পোস্টটি মূলত ঢাবিয়ানের পোস্ট "বিএনপি - জুলাই বিপ্লবের বিশ্বাসঘাতক" এবং জুল ভার্নের পোস্ট "আব তেরা ক্যায়া হোগা কালিয়া!"-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে লেখা।

বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংস্কারের দাবির বিষয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বর্তমান রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থার প্রেক্ষাপট এবং প্রত্যাশা......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:১১

বর্তমান রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থার প্রেক্ষাপট এবং প্রত্যাশা......

বিএনপি নেতারা ডক্টর ইউনূসের দেখা করতে সময় চেয়ে এক সপ্তাহ ধরে ঘুরতেছেন। কিন্তু ইনটেরিম প্রধানের শিডিউল- ই পাচ্ছেনা। আর ওদিকে নাহিদ শুনলেন, ডক্টর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওগো ভিনগেরামের নারী, তোরে সোনাল ফুলের বাজু দেবো চুড়ি বেলোয়ারি......

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:২৯


সেই ছোটবেলায় আমার বাড়ির কাছেই একটা বুনো ঝোপঝাড়ে ঠাসা জায়গা ছিলো। একটি দুটি পুরনো কবর থাকায় জঙ্গলে ছাওয়া এলাকাটায় দিনে দুপুরে যেতেই গা ছমছম করতো। সেখানে বাস করতো এলাকার শেষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না : ড. ইউনূসের মনে কেন এমন আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৪ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৯


দৈনিক সমকাল থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর বরাতে আমরা জানতে পারি —প্রশাসন, পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই—নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এক গভীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×