যেই পরিমাণ মানুষ তনু হত্যার বিচার চেয়েছেন, সাগর-রুনী হত্যার বিচার চেয়েছেন, তাদেরই বড় অংশ গ্রেনেড হত্যার বিচার ও রায় নিয়ে তেমন উৎসাহিত বলে মনে হচ্ছে না; ভাবখানা এমন, যাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো, উনি তো প্রাণ হারাননি, তা'হলে এত বিচার বিচার কেন? তাদের ভাবসাবে মনে হয়, উনি প্রাণ হারালে বিচার হলে ভালো হতো; একে তো মরেনি, আবার বিচার নিয়ে ঝামেলা!! মনে হয়, এরা চাচ্ছিলো, যারা মরে গেছেন, তাদের জন্য এত মাথা না ঘামায়ে রেডিমেট "জর্জমিয়া"কে ঝুলায়ে দিলেই হয়তো ভালো হতো, তারেক জিয়ার মতো রাজনীতিবিদকে কেন জড়ানো হয়েছে?
যারা বাংলাদেশ চাহেনি, তাদের একজনও শেখ হত্যার বিচার চাহেনি কোনদিন; জেনারেল জিয়া শেখ হত্যার বিচারের পথ বন্দ্ধ করে দিয়েছিলেন, জেনারেল জিয়ার অনুসারীরা শেখ হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ হওয়ার পক্ষে ছিলো ও বিচারহীনতার রাজনীতি করেছে; এরাই গ্রেনেড হত্যার বিচার চাহেনি কোনদিন; এবং গ্রেনেড হত্যার বিচারের রায় নিয়ে ভীষণ অসুখী।
বেশ পরিমাণ শিক্ষিত মানুষ মুফতি হান্নানের উদ্ধৃতি দিচ্ছেন যে, মুফতি হান্নান নিজের দেয়া জবানবম্দী এক সময় উইথড্র করতে চেয়েছিলো; মুফতী হান্নানও একজন মানুষ, তার দেয়া জবানবন্দীও একটা বিষয়; তারপর উহাকে আবার উইথড্র। ঠিক আছে, সে হয়তো উথড্র করতে চেয়েছিলো; কিন্তু তার মতো সন্ত্রাসীর কথা শুনে, কেহ কি তাতে গুরুত্ব দিয়েছিলো, কেহ কি তাকে নিজের জবানবন্দী উইথড্র করতে দেয়ার কথা?
"জর্জমিয়া" ২ বছর জেলে থাকার ফলে, বাবার আলী, তারেক জিয়া, বেগম জিয়ার গ্রেনেড হত্যার সাথে যোগ থাকার সম্ভাবনা পরিস্কার হয়ে গেছে; যদি উহাতে উনাদের অংশ -গ্রহন না থাকতো, উনারা কোন অবস্হায়, এই ঘটনার সাথে জর্জমিয়ার যুক্ত থাকার কথা বিশ্বাস করার অভিনয় করতো না, ও জর্জমিয়াকে ছেড়ে দিয়ে আসল দোষীদের খোঁজার জন্য বলতো!
জর্জমিয়াকে জেলে আটকায়ে বাবর আলী, তারেক, বেগম জিয়া ও পুলিশের লোকজন নিজেদের ভুমিকা পরিস্কার করেছে। এখন জর্জমিয়া মুক্ত, আর যারা জর্জমিয়ার বিচার করতে চেয়েছিলো, তাদের সবার বিচার হয়ে গেছে!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২