ধর্মীয় একটা মাসআলা জানার জন্য কিছুদিন আগে আমার পরিচিতিনামকরা একটা মাদ্রাসার বড় হুজুরের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
হুজুরের সাথে দেখা করে উনার অফিসে বসে কথা বলছিলাম, সেই মুহূর্তে দেখলাম সেখানে ৩ জন বিশালদেহী লোক প্রবেশ করলো... রুমে ঢুকেই পরিচয় দিলেন তারা গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন... এবং হেফাজতে ইসলামের সাথে সেখানের কেউ জড়িত কি না, এ নিয়ে বিভিন্নভাবে জেরা করে হুজুরকে ভড়কে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন...।।
আর সেই মুহূর্তে অফিসরুমে একজন শিক্ষার্থীর বাবা বসা ছিলেন, ওই শিক্ষার্থীর বাবা ছিলেন আবার ওই এলাকার আওয়ামীলীগের বড় একজন নেতা...।।
হুজুরকে উল্টাপাল্টা জেরা করা হচ্ছে দেখে ওই আওয়ামীলীগ নেতা নিজের পরিচয় দিয়ে গোয়েন্দা সদস্যদের ডেকে এভাবে জেরার কারণ জিজ্ঞেস করলেন...
ডিবিঃ এখানে হেফাজতে ইসলামের সাথে কেউ জড়িত কি তা তদন্ত করতে আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আ নেঃ আপনারা তো মুসলমান? তাই না?
ডিবিঃ হুম।
আ নেঃ তাহলে তো ইসলামকে হেফাজত করার দায়িত্ব আপনাদেরও, না কি?
ডিবিঃ (কিছুক্ষণ চুপ থেকে) অবশ্যই।
আ নেঃ তাহলে এবার বলেন একজন মুসলিম হিসেবে হেফাজতে ইসলামের কোন দাবী গুলা ব্যাক্তিগতভাবে আপনাদের অপছন্দনিয়??
ডিবিঃ (আমতা আমতা করে) সরকারী চাকুরি করি... বুঝেনই তো... বলেই চুপ হয়ে গেলেন...।।
তারপরপরি ওই আওয়ামীলীগ নেতা জোর গলায় বললেন, আমি আওয়ামীলীগ করি তো কি হইছে?? সবার আগে আমার পরিচয় আমি একজন মুসলিম, এবং হেফাজতে ইসলাম যেই দাবীগুলা জানাচ্ছে, একজন মুসলমান হিসেবে তাদের প্রত্যেকটা দাবীকে আমি সমর্থন করি... এবং আমার আপানার প্রত্যেকটা মুসলমানের উচিৎ হেফাজতে ইসলামের দাবীগুলাকে সমর্থন দেয়া...।।
এখন কি আপনারা আমাকেও গ্রেফতার করবেন??
অবশেষে দেখলাম, ডিবি পুলিস গুলা ওই নেতার সাথে আর অল্প দুয়েকটা কথা বলে হাসতে হাসতে চলে গেলেন।।
মোড়ালঃ এই আওয়ামীলীগ নেতা আর ডিবি পুলিশদের কাছ থেকে তথাকথিত বুদ্ধিমানদের অনেক কিছু শেখার আছে।।
অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে সমর্থনকারী একটি দলের গত শুক্রবারের মহাসমাবেশের কিছু চিত্রঃ-