আমায় তাড়া করে মধ্যরাতের শকুন
বাঁকানো নখরে আঁচড় কাটে
বুকের স্ক্র্যাপবুকের মলাটে ।
চিকন ধারায় প্রথমে ঝরে রক্ত,
যখন জিঘাংসার জোয়ার
ভাসিয়ে নেয় নশ্বর নৃতত্ত্বসমূহ,
সমূল সংক্রমনে ।
আমায় তাড়া করে বেশ্যাবাড়ীর মাতাল
বোতলে বার্ধক্য নিয়ে গেলাস খোঁজে
আমার বুকপকেটে । তলপেটে
হাত রেখে জেনে নেয় রাতের মেন্যু ।
তাড়া দ্যায় প্রথম পাপ হাঁক ছেড়ে
ঈস্রাফিলের শিঙা
অর্ফিউসের বীণা,
তনু-গ্রীবা জড়িয়ে পরস্পর
মিলেমিশে ঐশ্বরিক ঐকতান ।
আমায় তাড়া করে মনকীর-নকীর
কবরের ব্যালকনি পেড়িয়ে
নরকের প্রথম দ্বারের তলকুঠুরি
হীরের প্রাসাদ আর হুরের আমেজ পর্যন্ত......
অথচ লেজের ঠিক চার ফুট সাড়ে তিন ইঞ্চি তফাতে
ব্যাঘ্র থাবার ছোঁয়ায়
বাতাসে ওড়ে আহত পালক ।
গলির পর গলি, তস্যগলি
আঁকা-বাঁকা চোরকাঁটা
আমায় তাড়া করে সময় ।
ডান পাশে সালাহদিনের সাইমুম
আর ঈষাণ কোণের আগ্রাসী স্ত্যালিওনে চড়ে
ক্রুসেডের ক্রুরতা ছাড়িয়ে
জেরুজালেমের এক ক্রোশ পেছনে
আমি ছুটছি
যেন দুরন্ত বাতাস আর ধূলোর মাতম ।
তারপর আরব সাগর
দানিয়ুব-ভলগা-রাইন-এডেন,
আমার তিন পা পেছনে সময়......
আমায় তাড়া করে লোলুপ তাতার
তৈমূর লঙের খোঁড়া পা বেয়ে
মঙ্গোল তরবারির শীষ পর্যন্ত ।
প্রান্তর জুড়ে বয়ে যায় লু’ হাওয়া
আলগা পাথর গড়ায় সমতটের কোলে
পাথুরে জমিন জুড়ে
ছোটে পলাতক ছায়া ।
হায় !
আমার তিন পা পেছনে সময়......
সর্বস্বত্ত সংরক্ষনঃ সেরিব্রাল ক্যাকটাস ।।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৫