বিকেলের সুর্য ডোবার আগের শেষ সোনালী আভায় Wenceslas Square ও ন্যাশনাল মিউজিয়াম।
Wenceslas Square হচ্ছে প্রাগের অন্যতম একটি টুরিস্ট স্পট। নিউ প্রাগ টাউনের মেইন সিটি স্কয়ার এটি। দিনরাত ট্যুরিস্টের আনাগোনা এখানে।
স্কয়ারের আসে পাশে রয়েছে আকর্যনীয় সব স্পাপত্য।
রয়েছে অত্যাধুনিক ভবনও
পুরো স্কয়ার এলাকাই লোকে লোকারন্য
রাস্তার দু ধারে রয়েছে খাবার দোকান আর নানা রকম উপহার সামগ্রির দোকান। আর মানি এক্সচেঞ্জ আর এটিএম । যেহেতু প্রাগে ক্রোন চলে তাই মানি এক্সচেঞ্জ করে নেয়াই ভাল তা না হলে ইউরোতে পে করতে গেলে অনেক বেশি পে করতে হয়। আর Wenceslas Square প্রায় হাজার খানে মানি এক্সচেঞ্জ বা এটিএম রয়েছে। একমিনিট বা দুমিনিট হাটলেই একটা না একটা পাওয়া যাবেই।
আমরা হেটে ওল্ড টাউন স্কয়ারের দিকে যাচ্ছি।
Wenceslas Square ট্যুরিস্ট স্পট হওয়ায় এখানে জিনিস পত্রের দাম , খাবারের দাম তুলুনামুলক ভাবে বেশি। যে বিয়ারের দাম এখানে ৪ ইউরো সেটাই সিটি থেকে একটু বেরিয়ে গেলে ১ ইউরো ।
তাই আমাদের প্ল্যান হল আমরা ওল্ড টাউন স্কয়ারে কিছুক্ষন ঘুরে মেইন টুরিস্ট এরিয়া থেকে একটু বাইরের দিকে কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে ডিনার করব।
Wenceslas Square স্কয়ার থেকে বেরিয়ে ওল্ড সিটি স্কয়ারের চলে এসেছি আমরা। এখানে রয়েছে প্রায় ৬০০ বছরের পুরোনো এস্ট্রলজিকেল ঘড়ি। আর আসে পাশে সব নজর করা বিলিন্ডিং
সিটি স্কয়ারের প্যানারোমা ভিউ নেবার প্রচেষ্টা
চারদিকে লোকে লোকারন্য ।
উৎমুখর এক পরিবেশ
চলছে লাইভ মিউজিক কনসার্ট
আমরা কিছুটা সময় চারপাশে ঘুরলাম । এর মধ্যে আমাদের ইতালিয়ান ফ্রেন্ড ছবি তুলতে তুলতে পেছনে পরে গেছে। তাই তার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে
আমি এর ফাকে পুরূ এলাকাটার প্যানারোমা ভিউ নেবার চেস্টাকরছি
রাতের কৃতিম আলোয় প্রাচীন স্থাপ্যতের অপরুপ সৌন্দর্য
ইতিমধ্যে আমাদের সে ফ্রেন্ড চলে এসছে আর ঘড়ির কাটাও প্রায় রাত ১০টা ছুই ছুই । এবারের ডিনারের পালা। ওল্ড সিটি স্কয়ার থেকে বেরিয়ে আমরা কিছুটা দূরে একটা রেস্ট্রুরেন্টে ঢুকলাম। যদিও রাত ১০ টা তাদের বন্ধকরার সময় তার পরেও তাঁরা আমাদেরকে প্রথমে কিছু বলল না। কিন্তু পরে খাবার অর্ডার নেবার সময় বলতে হয়ত খাবার পেতে পার । সার্ভিস যে কত খারাপ হতে পারে সেটা জার্মানি ছেড়ে প্রাগে না গেলে বুঝতামই না। যাই হোক ডিনার শেষে এবার আবার ওল্ড সিটি স্কয়ারের মধ্য দিয়ে আবার এপার্টমেন্টে পথে হাটা ধরলাম।
দিনের ৬ ঘন্টার জার্নির পরো পোলাপানের রাতে ঘুমানোর কোন প্লানই নাই। রাতে প্রাগ ঘুরা আর আড্ডা দিতেতো হবেই। তাই আবার Wenceslas Square এর এসে শুরু হল আড্ডা।
ঘড়ির কাটা প্রায় ২.৩০ । ইতিমধ্যে চাঁদ ন্যাশনাল মিউজিয়ামের পাশে তার আলোয় প্রাগের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
আমাদের আড্ডা চলছেতো চলছেই । ভোর রাতের দিকে অবশেষে এপার্মেন্টে ফেরা। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০ টায় বের হবার প্লান নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া ।
(চলবে )
প্রবাসে পরিভ্রমন ৪ - ইউরোপের বিখ্যাত ‘সোনালী শহর’ - প্রাগ ভ্রমন-১
১. ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৬ ০