বিজ্ঞাপনের গুষ্টি উদ্ধার (পর্বঃ ১০) ...বিজ্ঞাপনী নিতীমালা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বিজ্ঞাপনের গুষ্টি উধ্যার করেই ছাড়বে তথ্য মন্ত্রনালয়। আসুন, টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার নিয়ে কিছু ফানি নিতীমালা নিয়ে গল্প করি আজকে। দেখুন কতটুকু অসামাঞ্জস্য।
বলা হয়েছে, দর্শক শ্রোতাকে কেবল ক্রেতা নয়, তাকে জ্ঞানী, চিন্তাশীল, সৎ, দূরদর্শী ও মুক্তমনা করতে হবে। দর্শকদের দার্শনিক বানাতে হবে নাকি ভাই ! তারমানে টি শার্টের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ধরেন আসাদুজ্জামান নূর সাহেব গম্ভীরভাবে বানী দিচ্ছে, এই টাইপের বিজ্ঞাপন দেখাতে হবে মনে হয়। শিশুদের সরাসরি প্রলুদ্ধ করে এমন বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবেনা। তাহলে খেলনা, চিপস, চকোলেট এইগুলার বিজ্ঞাপন কেমন করে দেখানো হবে, সেইটা তথ্য মন্ত্রনালয় ডেমো বানিয়ে দেখাতে পারতো। বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনে পেশাগত পরামর্শ পরিহার করতে হবে। তাহলে একজন আবুল হায়াৎ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আমাদের যে পরামর্শগুলো দিয়েছিলেন টিন, ট্যাঙ্ক কেনার বিষয়ে, সেগুলা কি ব্যান করা হবে ? তারপর ধরেন বিজ্ঞাপনে বিদেশি ভাষা ব্যাবহার করলে সাবটাইটেল দিতে হবে। তাহলে কি সকল ইংরেজী ভাষার সাবটাইটেল দিবে এখন ? মানুষ কি এড দেখবে নাকি ভাষা শিখবে ? আরেকটা মজার ব্যাপার হচ্ছে পুরুষ বা মহিলার অন্তরবাসের বিজ্ঞাপন দেখানো যাবেনা। তবে কন্ডমের বা স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে !
বলা হয়েছে বিজ্ঞাপন নিয়ে কোন কনফিউশন দেখা দিলে সেটা তথ্য মন্ত্রনালয়ে আবেদন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গড নোজ সেই ফাইল কয়দিনে ঘুরে আসবে। কত জন কত টাকা গুনবে। বলা হয়েছে সংসদ, জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ, এইগুলান বিজ্ঞাপনে দেখানো যাবেনা। লও ঠ্যালা, তাইলে টেলিকমের সব অকেশন বেজড বিজ্ঞাপনের বারোটা বেজে যাবে। সেই সাথে চলতি শাহবাগ মুভমেন্ট নিয়ে কিছু দেখাতে হলেও মহা ঝামেলা।
সবচাইতে ভয়ংকর কথাটি হচ্ছে, ১৯৬৩ সালের সেন্সরশিপ অফ ফিল্ম এক্টস এর পরিপন্থি কোন কিছু প্রচার করা যাবেনা। এই আইনটি স্বৈরশাষক আয়ুব খানের করে যাওয়া। মার্শাল ল। ফিল্ম, এডভার্টাইজিং বা ব্রডকাস্ট মিডিয়ার মত একটা ক্রিয়েটিভ যায়গায় কাচি চালানো কতটুকু ক্ষতি বয়ে আনছে সেইটা আমাদের চিন্তার বাইরে। আশার কথা, এইবার মনে হয় সেন্সর আইন বাদ গিয়ে গ্রেডিং সিস্টেম আসছে।
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ
গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন