যেখানে রাতগাড়ী মন খারাপ করে থামে
যেখানে সমুদ্র ফেলে দীর্ঘঃশ্বাসের ফেনা
আমারও গন্তব্য আজ সেই মঞ্জিলে
বিষাদ ছড়িয়ে সুখের ঢেউ গোনা
মনের বিকারে পুড়ছে ক্ষোভ-তাপ
ষ্টেশনের ঘড়িটা বেজায় লেট
আমার বুকের উপসম উধাও
প্রেমকি ভরায় উপবাসী বুকপেট
কালো আগুনে আত্মহুতি দিল যে
সুখসাগরে এ কার বসতী আজ
কোথায় লুকিয়ে সেই পুড়ামুখখানী
বিরহে প্রাচীরে জংলালাবনী সাজ
আর কতকাল খুঁজবো তোমায় মেয়ে
কোথায় পাবো দেখা তোমার বলো
তারায় ফেরারী মনান্তরে দেখো
আত্মত্যাগের ওপাশে ভীষন আলো
কষ্টপাহাড় ঠেলেঠেলে হয়রান
সাগরমাতাল বিচ্ছেদে অবসান
রাতগাড়ীও ফিরবে নিশ্চয়
তুমি যদি আসো
কন্ঠে নিয়ে গান
যে গান পোড়াবে হতাশা আশিদাঁগ
যে গানে উষ্ণ বিষুবরেখা ঘোরে
আমার সিথানের রঙচঙা শয়তান
অথর্ব সেই প্রেমাগুনে পোড়ে
সুখশান্তি কুলুঙ্গীতে তুলে রাখো
হয়তো ফিরে আমিষ খাবো আজ
শুদ্ধদানব মনের গহীনে জ্বালে
বিতৃষ্ণার কল্পিত কারাগার
আগুনে আগুন শোকের পরিধি শেষ
প্রেমিকা তুমি চলে যেত পারো আজ
আমার হৃদয়ে নেই আর অধিকার।।
অলগেট, লন্ডন
২৮।১০।২০১৩
(কৃতজ্ঞতা - কবিত্রয়ী)