তবে ই-জেনারেশনের উন্নতির ফলে আমাদের অনলাইন রিটেইলারদের বেশ সুদিন। বইমেলা শুরু হবার সাথে সাথেই দেখলাম সাইটের ট্র্যাফিক আপনা আপনিই প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আগে প্রতিদিন দু-আড়াইশোর মত দর্শক পাওয়া গেলেও বইমেলা শুরুর পরে থেকেই তা নিয়মিত সাড়ে চারশো ছাড়াচ্ছে। প্রবাসে থাকার এক বিরক্তিকর যন্ত্রণা হল বইমেলার সময় দেশে থাকতে না পারা। আর তাই মেলার সময় কোন আপডেটও করা যায়না। এইবছর মনে হয় সেই মহাসমস্যার এক সমাধান না হলেও সমাধানের খুব কাছাকাছি যাওয়া গেছে।
বাংলা একাডেমী প্রতিদিন সেদিনের বের হওয়া বইগুলোর নাম সংরক্ষণ করে। তাই সেটার প্রিন্টাউট পাওয়া যায় বর্ধমান ভবনের বারান্দায় যেসব তরুণরা তথ্যকেন্দ্রে বসে থাকেন তাদের কাছে। এবছর বাংলা একাডেমীর থেকে সেই লিস্ট ইমেইল করে বেশকিছু সাংবাদিকের কাছে দেয়া হচ্ছে। কিছু খোঁজখবর করার পরে এক সাংবাদিক নিজেই যেচে পড়ে সেই লিস্ট নিয়মিত আমাদেরকে সরবরাহ করতে রাজী হয়ে গেলেন। তাই সব তথ্য একসাথে গোছানোর জন্য বইমেলায় এক পাতা করে ফেললাম।
পরে দেখি অবাক কান্ড, boi mela 2009 লিখে সার্চ দিলেই দুই তিন নম্বরে চলে আসে আমার বানানো বইমেলার পাতা। আর সেটা আমি লাইভ করার চব্বিশ ঘন্টা পার হবার আগেই।



পরে অনেক চিন্তাভাবনা করে প্রতিদিনের বই প্রতিদিনই আপডেট করা শুরু করলাম। আর সেই বইমেলার বইগুলো খুঁজে বের করার জন্যও একটা পাতা বানিয়ে ফেললাম। দেখি ভালই জনগণের কাজে লাগছে।

আপনারাও ঘুরে আসতে পারেন অনলাইনে বইমেলার আপডেট। এখানে কিছু জিনিষ এখনো মিসিং। বইমেলার লেয়াউট প্ল্যানটা হাতে পেলে ভাল হত। সাধারণত বইমেলার চত্বরের কোথাও বোর্ডে লাগানো থাকে। কেউ কি ছবি তুলে পাঠাতে পারেন? একই সাথে বইমেলার নতুন বইগুলোর প্রচ্ছদ এখনো যোগাড় হয়নি। সেটাও আস্তেধীরে যোগাড় করতে হবে। আর আপনাদের কোন পরামর্শ থাকলে তাও জানাতে পারেন। সম্ভব হলে যোগ করা হবে।
ব্লগারদের কারো Digg এ একাউন্ট থাকলে বুকমার্ক করে রাখতে পারেন। আর ফেসবুকেও শেয়ার করতে পারেন।

বইমেলা ২০০৯ এর নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য ঘুরে আসুন বইমেলার বইমেলা ২০০৯ ।