somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি ধৃষ্টতা! কাহলিল জীবরান অনুবাদের ছোট্ট প্রয়াস।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যখন আমার দুঃখের জন্ম হলো।
_____ কাহলিল জিবরান।

যখন আমার দুঃখের জন্ম হলো
সদ্য ভুমিষ্ট সন্তানের মত
জড়িয়ে নিল অধির মায়ের আঙ্গুল।
কিংবা মায়াবাদী স্নিগ্ধতায় ছুঁয়ে দিলাম দুঃখের শরীর;
আমার প্রার্থনা আমার বিষাদ সন্তান।

তারপর একে একে মাঝদুপুর,
শতাব্দীর অপসৃয়মান কাজলের বিপরীতে
বাড়ন্ত আমার দুঃখের শরীর
চেতনার কালপুরুষ এক ধাবমান তীরন্দাজ।

অতঃপর বিষাদ এবং আমি,
আমরা একে অপরকে ভালবাসলাম;
যেমন পলাতক ছায়াপথ ছুঁয়ে থাকে রাতের ওড়নায়।
এবং ভালবাসলাম নীরবতা, একাকিত্ব
কিংবা ফেরারী চোখের দৃষ্টিহীনতায়
যতটুকু শুন্যতা আমাদের পৃথিবী বলে বিবেচিত।
কারণ দুঃখের ছিল বিষন্ন চোখ
আর আমার বিষাদগ্রস্থ হৃদয়।

অতঃপর বিষাদ এবং আমি,
আমাদের কন্ঠস্বর অবমুক্ত হলো,
যেমন জীবনের মুক্তি ঘটে মৃত্যুতে।
আমাদের আলোকিত শতাব্দী উড়ে গেলো
দূরাগত ফেরেস্তার ছায়া ঘেঁষে,
আর রাত্রির কোমরে পরিয়ে নিলাম
স্বপ্নের কোমর বন্ধনী।
কারণ দুঃখের ছিল অনর্গল জিহবা
আর আমার ছিল বিষাদ্গ্রস্থ কন্ঠস্বর।

তারপর বিষাদ এবং আমি,
দু’চোখে ঘোর ভ্রান্তি নিয়ে বাতাসের
কানে গাইলাম শুন্যতার গান,
যেমন প্রাগঐতিহাসিক রজনীগন্ধার সুবাস মেখে
বুড়ো কাকতাড়ুয়া গেয়ে চলে জোছনার মাঠে।
আমাদের প্রতিবেশীরা বসে গেল আকাশের জানালায়
এবং শুনে গেল
যেমন নদীর গান শুনে চলে পরিত্যাক্ত খেয়াঘাট।
যেহেতু আমাদের গানে ছিল গভীরতা
যেমন গভীর যেখানে সাগরের গায়ে
চাঁদের ছায়া পড়ে,
আর আমাদের সুরে ছিল অতীতের
আগন্তুক উপাখ্যান
যেমন জল কুমারীর কাজলে লেগে থাকে
সহস্র জীবন।

এবং যখন বিষাদ এবং আমি,
হেটে চললাম বাউন্ডুলে রাস্তায়
যেমন হেটে চলে অঘোর নিনাদ
শহরের ফুটপাতে।
অজস্র নির্ণিমেষ নয়নে লেগে ছিল
নাক্ষত্রিক তন্দ্রা জড়ানো মুগ্ধতা
আর বাতাসের পথে ঘর বুনে গেল
অবগুন্ঠিত মায়াবী হাস।
এবং কিছু ঈর্ষার ইস্তেহার বিলি হল
নগরীর দেয়ালে দেয়ালে
যেহেতু বিষাদ মহান আর আমি
বিষাদগ্রস্থ মহাপুরুষ।

অতঃপর সকল জীবনের মত
যেভাবে সকল ঘাসফুল মরে যায়
যেভাবে পুরুষের মৃত্যু লেখা হয়
নারীর চোখে,
মরে গেল আমার বিষন্নতা।
আর আমি বিষাদগ্রস্থহীন ডুবে গেলাম
আরেক নিঃসঙ্গতায়।

এবং এখন যখন আমি কথা বলি
সকল উচ্চারণ আমার কানকে প্রতারিত করে।
এবং যখন আমি গাই
প্রতিবেশীরা হারিয়ে যায় ঝাপসা কুয়াশায়।
এবং যখন আমি হাটি
সকল রাস্তা গৃহত্যাগী হয় সুমুদ্রের পথে।
শুধু ঘুমন্ত চোখে জলাভূমির কান্না শুনি,
“দেখ, এখানে ঘুমিয়ে আছে একজন
যার দুঃখ মরে গেছে”।

When my sorrow was born

When my sorrow was born I nursed it with care, and watched over it with loving tenderness.
And my Sorrow grew like all living things, strong and beautiful and full of wondrous delights.

And we loved one another, my Sorrow and I, and we loved the world about us; for Sorrow had a kindly heart and mine was kindly with Sorrow.

And when we conversed, my Sorrow and I, our days were winged and our nights were girdled with dreams; for Sorrow had an eloquent tongue, and mine was eloquent with Sorrow.

And when we sang together, my Sorrow and I, our neighbors sat at their windows and listened; for our songs were deep as the sea and our melodies were full of strange memories.

And when we walked together, my Sorrow and I, people gazed at us with gentle eyes and whispered in words of exceeding sweetness. And there were those who looked with envy upon us, for Sorrow was a noble thing and I was proud with Sorrow.

But my Sorrow died, like all living things, and alone I am left to muse and ponder.
And now when I speak my words fall heavily upon my ears.
And when I sing my songs my neighbours come not to listen.
And when I walk the streets no one looks at me.
Only in my sleep I hear voices saying in pity, "See, there lies the man whose Sorrow is dead."

মূল কবিতাটি দিয়ে দিলাম,
:)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২২
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা শহর ইতিমধ্যে পচে গেছে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



স্থান: গুলিস্থান, ঢাকা।

ঢাকার মধ্যে গুলিস্থান কোন লেভেলের নোংড়া সেটার বিবরন আপনাদের দেয়া লাগবে না। সেটা আপনারা জানেন। যেখানে সেখানে প্রসাবের গন্ধ। কোথাও কোথাও গু/পায়খানার গন্ধ। ড্রেন থেকে আসছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×