বাংলাদেশ।
আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। মাতৃভূমি।
রচনায় সবার আগে যে লাইনগুলো আগে চলে আসত- বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নদী। সুজলা সুফলা শস্য শ্যমলা আমাদের এই মাতৃভূমি।
এখন বুঝি সেই দিন শেষের পথে। যে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার ভয়াল রুপ দেখে বহু বহু বীর- বাঙলা মুলুক জয়ের স্বপ্ন শিকেয় তুলে পালাত, যেই পদ্মা ছিল রাক্ষুসে পদ্মা, যেই পদ্মা ছিল হৃদয় শূন্য করা পদ্মা-
পদ্মার ঢেউরে
মোর শূন্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যা রে..
আজ সেই পদ্মা, মেঘনা যমুনারা কেমন আছে?
কোথাও ধূধূ মরুভূমি! কোথাও হেটে চলাচল আর কোথাও চলছে চাষাবাদ!
চলুন এক নজরে দেখে নেই বাংলাদেশের নদী গুলোর অবস্থা কেমন?
বাংলাদেশে ছোট বড় নদী রয়েছে ২৩০টি৷ এর মধ্যে ৫৭টি নদী আর্ন্তজাতিক৷ এই নদীগুলোর মধ্যে ৫৪টির উৎসস্থল ভারত এবং বাকি ৩টি মিয়ানমার৷
তারা প্রত্যেকটি অভিন্ন নদীতে বাঁধ, পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প, রিজার্ভারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে পানির প্রবাহ আটকে রেখেছে। ফলে শুষ্ক মওসুমে বাংলাদেশের নদ-নদীতে পরিমাণমতো পানির প্রবাহ থাকছে না। আবার বর্ষা মওসুমে অতিরিক্ত পানিতে বন্যায় ভাসছে এ দেশের মানুষ।
বাংলাদেশে প্রবাহিত আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা ৫৭টি। এর মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশকারী নদী গুলো হচ্ছে : গঙ্গা, ইছামতি-কালিন্দী, রায়মঙ্গল, বেতনা-কোদালিয়া, ভৈরব-কপোতাক্ষ, মাথাভাঙ্গা, পাগলা, আত্রাই, পুনর্ভবা, গোমতি, কাকরাই-ডাকাতিয়া, সিলোনিয়া, মুহরী, ফেনী ও কর্ণফুলী প্রভৃতি।
শুধু পদ্মা আর তিস্তায় নয় অভিন্ন ৫৪টি নদীই বাঁধের কবলে পড়ে হাসফাস করছে। ভাবলেও অবাক হতে হয়, বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে ১৩টি নদী৷ আরও সাতটি নদী এখন মৃত প্রায়৷ যে কোন দিন এগুলোয় আর পানি থাকবে না৷ শুকিয়ে তা হয়ে যাবে পায়ে চলা পথ৷ বড় নদীগুলোর থেকে ছোট নদীগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়া, প্রতিকুল পরিবেশ, ভারত থেকে পানির প্রবাহ কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলো প্রচন্ড হুমকির মুখোমুখি৷ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে এই তথ্য পাওয়া গেছে ৷
ঐ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মৃত নদীগুলোর তালিকায় রয়েছে নরসুন্দ্রা, বিবিয়ানা, শাখা ররাক, পালাং, ভূবেনেস্বর, বুড়িনদী, বামনী, হামকুরা, হরিহর, চিত্রা, মুসা খান, বরালের শাখা নদী এবং হিসনা৷ এ ছাড়া করতোয়া, ইছামতি, ভৈরব, কালীগঙ্গা, কুমার, চিত্রা এবং ভদ্রা নদী এখন মৃতপ্রায়৷
বাংলাদেশের দূর্ভাগ্য তার জন্ম লগ্ন থেকেই ভারতের সাথে বিভিন্ন সময় পানি সমস্যা নিয়ে বিরোধে জড়িত। বিষয়টি সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে রাজনীিতবিদ, আমলা, প্রশাসন সহ বাংলাদেশের সাধারণ জনগন পর্যন্ত সকলেই অবগত। ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা ইস্যুেত মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক লং মার্চ ছিল বাংলাদেশের নদী সমস্যা নিয়ে স্বাধীনতার পর প্রথম শক্তিশালী প্রতিবাদ। এরপরও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সরাসরি আলোচনা ও কূটনৈতিকভাবে সমাধানের প্রচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোন প্রচেষ্টাই কাজে আসেনি। বরং ফারাক্কা সমস্যার সমাধান করতে গেলে ভারত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের দাবী করে। স্বাভাবিক কারণেই বাংলাদেশ জোর করে কোন কিছু বলতে পারে না। আন্তর্জাতিক নদী সংক্রান্ত আইনের দাবি বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও ভারত তাতে কোন গুরুত্ব দেয়নি। অসমভাবে ৩০ বছরের জন্য নদীর পানি বন্টন চুক্তি হলেও ভারত বাংলাদেশের প্রাপ্য অংশ কখনোই দেয়নি । অপরদিকে শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহ যখন সবচেয়ে কম থাকে তখন ভারত প্রায় সম্পূর্ন পানি প্রত্যাহার করে নেয়। এই নীতি শুধু ফারাক্কা নয় বরং ভারত যে ৫৪ টি নদীতে বাঁধ দিয়েছে তার সবগুলোর ক্ষেত্রেই করে থাকে।
সমস্যার কারণে এখন এই দেশের বিভিন্ন নদীতে সঠিক প্রবাহে পানি আসছে না৷ বড় বড় নদীগুলো থেকে সৃষ্ট ছোট নদীগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ পরিকল্পনাহীন ভাবে রাস্তাঘাট নির্মানের ফলে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে৷ প্রতি বছর যে হারে বাংলাদেশের উপর দিয়ে নদীবাহিত পলি পড়তো তাও এখন প্রবাহের অভাবে সাগরে যেতে না পেরে ভরে যাচ্ছে নদীর তলদেশ৷ অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তাঘাট এবং বাঁধ নির্মানের ফলেও নদী হয়ে যাচ্ছে মৃত৷
বাংলাদেশের পানি সমস্যার কারণে হিসাবে সকলেই বলছেন পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়া! ব্যবহারের অধিক্যেরই নাকি তা ঘটছে। অথচ পানির যে মূল প্রবাহ যে প্রবাহের স্বাভাবিকতাই বিগত দীর্ঘ শত শত বছর পানির স্তরকে স্থিতিশীল রেখেছিল তা কেন যেন উহ্য রেখে যাচ্ছেন সবাই। তাকি কেবলই ভারতকে খুশি করতে নাকি নারাজ না করতে। কিন্তু সত্য বলতে গেলেতো এর বাইরে কোন সত্য নেই। পূর্বে পদ্মায় যে ৪০-৫০ হাজার বা ততোধিক কিউসেক পানি প্রচন্ড গতিতে প্রবহমান ছিল তার ফলে পানির স্তরের ব্যালেন্স যা ছিল এখন সেই প্রবাহ ১০-১২ হাজার কিউসেকেও কি তাই থাকবে? পানির স্তর নেমে যাবে না? শুকিয়ে যাবে না?
শুধু পদ্মা বা ফারাক্কায় আমাদের ন্যায্য পানি প্রাপ্তি নিয়ে চলুন এ পর্যন্ত যা হয়েছে তার দিকে একটু চোখ বুলাই..
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই ফারাক্কা ইস্যু দেশ দুটির আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব পায়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী শেখ মুজিব কলকাতায় মিসেস গান্ধির সাথে সাক্ষাত করেন। ৭২ সাল ফেব্রুয়ারী মাসেও সাক্ষাৎ করেন এবং বিভিন্ন বিষয় সমঝোতার জন্য অলোচনা করেন। অলোচনার ধারাবাহিকতায়
@ ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ উভয়দেশ ২৫ বছর মেয়াদী মৈত্রি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৯৭৫ সালে১৮ ই এপ্রিল বাংলাদেশে ও ভারতের মধ্য ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে ৪১ দিনের একটি স্বল্প মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর হয় যাতে করে
@ ভারতকে ১১ হাজার থেকে ১৬ হাজার কিউসেক পানি প্রত্যাহারের সুযোগ দেয়া হয় এবং বাংলাদেশের জন্য ৪৪ থেকে ৪৯ হাজার হাজার কিউসেক পনি। কিন্তু এ চুক্তি ছিল অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী।
১৯৭৫ সালে ৩১ মে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ভারত একতরফা ভাবে প্রায় সম্পূর্ন পানি ( ৪মি হাজার কিউসেক) প্রত্যাহার করতে থাকে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর এক মারাত্বক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ট হয়। ফলে অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ ধংসের মুখে পতিত হয়।
১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের পক্ষে গঙ্গার পানি নিয়ে ভারতকে আলোচনায় বসানো অসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত সমস্যা সমাধানের পথ খুজে না পেয়ে
@ বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ওআইসির পররাষ্ট্র মন্ত্রিদের বৈঠকে, ১৯৭৬ এর আগষ্টে কলোম্বতে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে এবং ১৯৭৬ সালে নভেম্বর মাসে জাতিষংঘের সাধারণ পরিষদে আলোচ্য সূচিতে বিষয়টি পেশ করে। ১৯৭৭ সালে ভারতে নির্বাচনে মিসেস গান্ধির পরাজয় এবং মোরাজি দেশাই ক্ষমতা গ্রহন করলে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রি দেশাই এর নেতৃত্বে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। এই সুযোগে
@ ১৯৭৭ সালে নভেম্বর মাসে দু’দেশের মধ্য গঙ্গার পানি বন্টন একটি পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী ফারাক্কার মোট প্রবাহের ৫৫ হাজার কিউসেক পানির মধ্যে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ করা হয় ৩৪ হাজার ৫ শত কিউসেক এবং ভারতের জন্য ২০ হাজার কিউসেক বরাদ্দ করা হয়।
এই সরবরাহ ছিল শুষ্ক মৌসুমের জন্য ২১ এপ্রিল থেকে ৩০ মে। যদিও এখানে পানির পরিমান পূর্বের তুলনায় কম ছিল,
@ তথাপি এই চুক্তিতে একটি গ্যারান্টি ক্লজ ছিল যাতে স্পষ্ট বলা ছিল যে, শুষ্ক মৌসুমের যে দশ দিনে পানির প্রবাহ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায় সে দশ দিন মোট প্রবাহের ৮০ শতাংশ পানি বাংলাদেশ পাবে। এই গ্যারিন্টি ক্লজ ছিল এই চুক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
দৃশ্যত এবং বাস্তবিক পক্ষে এই চুক্তি ছিল প্রেসিডেন্ট জিয়ার অন্যতম সাফল্য। মোরাজি দেশাই সরকারের পর মিসেস গান্ধি পুনরায় ক্ষমতা গ্রহন এবং বাংলাদেশে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করলে ১৯৭৭ সালের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার অগেই ১৯৮২ সালের ৭ অক্টোবর জেনারেল এরশাদ সরকার মিসেস গান্ধির সাথে চুক্তির পরিবর্তে ১৮ মাস দীর্ঘ একটি সমঝোতা স্বারকে স্বাক্ষর করে । চুক্তির পরিবর্তে সমঝোতা স্বরের কারণ ছিল এইযে, এখানে গ্যারান্টি ক্লজের কোন উল্লেখ ছিল না। ফলে ভারত একতরফাভাবে পানি নিয়ন্ত্রন করত। ১৮ মাসের সমঝোতা সমাপ্তি ঘটে ১৯৮৪ সালের মে মাসে । একই শর্ত অনুয়ায়ী পরবর্তি ৩ বছরের জন্য এই সমঝোতার জন্য ৩ বছর বাড়ানো হয়। পরবর্তি ১৯৮৫ সালে নভেম্বর মাসের এর মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছরে উত্তীর্ন করা হয। এর পর থেকে ১৯৯৬ সালের ১২ ই ডিসেম্বর নয়া পানি বন্টন পর্যন্ত ভারতের সাথে আর কোন চুক্তি হয়নি।
১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সময় গঙ্গার পানি সমস্যা সমাধানের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহন করা হলেও ভারতের গড়িমসির জন্য কোন স্বারক বা চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। দ্বিপাক্ষিক ভাবে পানি সমস্যার সমাধানকল্পে ভারত এগিয়ে না এসে আধিপাত্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করলে ১৯৯৫ সালের সেপ্টেমবর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিষয়টি বাংলাদেশ উত্থাপন করে। তবে এই প্রস্তাব জাতিসংঘে উত্থাপনের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র রাষ্ট্র সমূহের উপর প্রয়োজনীয় গ্রাউন্ড ওয়ার্কের অভাবে বিষয়টি ব্যাপক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভে ব্যর্থ হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পানি সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করে। ভারতের সাথে ভাল সম্পর্কের কারণে ভারত সরকার পানি সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করে।
৩০ বছর মেয়াদী পানি চুক্তিঃ ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ও ভারত পানি চুক্তি হলেও ভারত বাংলাদেশকে তার প্রাপ্য কখনোই দিচ্ছে না। বিশেষ করে এ চুক্তিতে গ্যারান্টি ক্লজ না থাকায় ভারত শুষ্ক মওসূমে যখন পানি সর্বনিম্ন প্রবাহ তাকে তখন ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নেয়।
সবচে দু:খ লাগে কিছু দালাল, বাংলাদেশের কুলাঙ্গার বলে বেড়ায় ভারতের পানি প্রত্যাহার নয় পলিমাটি পড়ে আমাদের নদী ভরে যাওয়ার ফলেই নাকি বন্যা হয়!!!!!!!! কিন্তু দিনকানারা এটা ভুলে যায়- পলি জমছে কেন? যে ফ্লো পলিকে নিয়ে সাগরে ফেলত সেই ফ্লো বন্ধ হবার কমে যাবার ফলেই যে তা ঘটছে তা কাকান্ধ হয়ে অস্বীকার করতে চায়!
ফারাক্কার ভারত অংশ
ফাক্কার ফলাফল
আর এখনকার তিস্তার সাম্প্রতিক খবরতো সবাই জানেন। গেল ক' বছর টিপাইমূখ বাঁধ নিয়ে বেশ সরগরম ছিল সামাজিক সাইট ব্লগ সহ সকলেই। কিস্তু এখন আবার যেন সবাই সব ভুলেই গেছে। ভারত কিন্তু ভোলেনি। সে তার কাজ করেই যাচ্ছে। আর আমরা শুধু অনাগত দিনে ক্ষতির অপেক্ষায় যেন বসে আছি।
টিপাই নিয়ে সামু ব্লগের সংকলন : টিপাইমূখ বাধ সংকলিত লিংক সমূহ
আরও দেখুন: "ফারাক্কা বাধ" - সামুতে লেখা পোস্ট সংকলন
শুধূ শিরোনাম গুলো লক্ষ্য করুন-
ফারাক্কা বাধ:
■ ইন্দিরা গান্ধী প্রথম যে উপহার বাংলাদেশকে দিয়েছিলেন
■ ফারাক্কার ফাঁসির দড়িতে ঝুলছে মা গঙ্গা
■ ভারত মাতার পদতলে আজ বঙ্গ পিতার বাংলাদেশ - ১
■ ভারত মাতার পদতলে আজ বঙ্গ পিতার বাংলাদেশ---- (২) ফারাক্কা
■ ফারাক্কা টিপাইমুখ বাঁধ এবং বাংলাদেশ।
■ ফারাক্কা বাধঁ: আজও কাঁদছে বাংলাদেশ
■ মওলানা ভাসানীর জীবনের শেষ সংগ্রামঃ ফারাক্কা লংমার্
■ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ : দীর্ঘ ৩৭ বছরেও পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি বাংলাদেশ
■ আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবসঃ পদ্মার বুকে এখন মরুর হাহাকার
■ স্বাধীনতার চার দশক পর ফারাক্কা দিবসে যে কারণে বাংলাদেশের সাথে ভারতের বন্ধুত্ব আজ প্রশ্নবিদ্ধ
■ একটি বাঁধের ছবি এবং আরো কিছু কথা
■ এবার কি পানিতে মরবার ষোলকলা পুর্ণ হবে?
■ বাংলাদেশ : পানি শূন্য ভয়ঙ্কর অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে - ১
■ বাংলাদেশ : পানি শূন্য ভয়ঙ্কর অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে - ২
■ ফারাক্কার হিংস্র ছোবলে আজ এ ৫টি নদী নাব্য হারিয়ে ধূ-ধূ বালুচরে পরিণত হয়েছে।
■ পদ্মা শুকিয়ে মরা খাল : দুই কোটি মানুষ হুমকির মুখে
■ ফারাক্কার করাল গ্রাস: বিপর্যস্ত উত্তর জনপদ
■ জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পদ্মা নদী : বুকজুড়ে ধুধু বালুচর
■ মরে যাচ্ছে প্রিয় মেঘনা, সুরমা, কুশিয়ারা
আমাদের চেতনা জাগাতে এওকি যথেষ্ট নয়?
আমাদের ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে সুজলা সুফলা এবং সোনার বাংলা হিসাবে দেখতে চাইলে ভাষার জন্য যেমন ঐক্যবদ্ধ বাঙালী লড়েছিল, রক্ত দিয়ে হলেও আদায় করেছিল ভাষার দাবী;
পানি সংকটে আজ বাংলা মায়ের গলা শুকিয়ে গেছে.. পানির তেষ্টায় কাঁদছে পদ্মার বুক! কাঁদছে প্রকৃতি, প্রাণী, পাখি, আর কাঁদছে ভবিষ্যত প্রজন্ম!
তাই যে যার স্থান থেকে যেভাবে সম্ভব পানির অধিকার নিয়ে নদীর অধিকার নিয়ে আমাদের ন্যায্যতার লড়াইয়ে সোচ্চ্চার হোন। কারণ একদিনেইতো ফল ফলবে না। ধারাবাহিক আইনি, জাতীয় আন্তর্জাতিক সকল প্রযোজ্য ন্যায় সংগত মাধ্যমেই আমাদেরকে আমাদের দাবী আদায় করতে হবে।
তবেই কাটবে পানির শংকা। কাটবে আগামী সোনার বাংলার শস্মান হবার শংকা।
পদ্মায় পালতুলে মাঝি আবারো গাইবে পদ্মার ঢেউরে..
কিংবা ভয়াল ঝড়ের রাত্রে চিৎকার করে উঠবে বদর বদর বদর মাঝি সামাল সামাল হেইয়ো!!!!!!!
পানি নদী এবং সংশ্লিষ্ট পোষ্ট সমূহের লিংক : তথ্য সূত্র হিসাবে যদি কাজে লাগে। কিংবা মরু চেতনায় জল দিতে যদি কোন একটা তথ্য বা লাইন যদি জেগে উঠে:
“এখানে এক নদী ছিলো” আহমেদ জী এস
কষ্টে শুকিয়ে যাওয়া এক সাগর
ভারতের আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্প ও বাংলাদেশের নদী লুট -দিনমজুর
বাংলাদেশের নদ-নদী ( অবস্থা খুব খারাপ ) - রাজীব নুর
বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আনেক নদী-৩ -মোহাম্মদ আলী আকন্দ
আন্তজার্তিক নদী আইনঃ বাংলাদেশের আশার আলো -আশিক হাসান
নদী ভাঙ্গন, জলাদ্ধতা, বন্যা এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে বাংলাদেশ -স্বাধিকার
নদীমাতৃক দেশে মরা নদী -নাহুয়াল মিথ
(গল্প)বাংলাদেশের নদী-ইন্ডিয়া তার তুলতুলে সব জল গিলে নেয়-ভাবে না সে-দুর্গামায়ের প্রতিমা বিনির্মাণেও পদ্মা-মেঘনা-যমুনার জল লাগে - জসীম অসীম
ভারত বাংলাদেশ পানির ইতিহাস। পানি শোষনের যত তথ্য -সংকলন। সহজ পৃথিবী
অভিন্ন নদী ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক - KAMRUL25007
আন্তর্জাতিক পানি আইনের আলোকে ভারত বাংলাদেশের পানি বণ্টন বিরোধের ইতিহাস-মাহমুদুর রহমান -নির্ভীক বিপ্লবী
আমাদের সবার শ্লোগান হওয়া উচিত ‘নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও, বাঁচাও বাংলাদেশ’। -মোঃ মাকসুদুর রহমান
শুকিয়ে যাবে বাংলাদেশ -ঘন্টুর ডায়েরী
অভিন্ন নদীতে ভারতের ৩ হাজার ৬০০টি বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন, তৈরীর অপেক্ষার আরো ১ হাজার। -ত্রিকালদর্শী
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত পুরোপুরিভাবে পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের মানুষ এই যুদ্ধে শুধু হেরে যাচ্ছে না, কোটি কোটি মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।- আমি বিডি
বাংলাবান্ধা (তেঁতুলিয়া) ভ্রমণ : বাংলাদেশের নদীগুলোকে হত্যা করেছে ওরা।। দুর্ভিক্ষের আশংকা -জামিলা শফী সিদ্দীকি
খরা ও মরুময়তার হুমকিতে বাংলাদেশ - আমনুল ইসলাম সুজন
বাংলাদেশের ন্যায্য পানি লুণ্ঠন করে বাঁধ দিয়ে তৈরি বিদ্যুৎ ভারত নিয়ে যাবে বাংলাদেশের উপর দিয়েই! -বিবাগী বাউল
এ সম্পর্কিত যে কোন লেখার লিংক মন্তব্যের ঘরে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
কৃতজ্ঞতা:
লেখাটিতে তথ্য সহায়তায়
ডয়েছে ভেলে
বিডি ব্লগার হাসান
যুগান্তর
কিরিটি রায়
কবির চৌধূরী