মানুুষের শ্রেষ্ঠত্ব তার বিচার বুদ্ধি বিবেচনা আর বিবেকের কারণেই অতি উচ্চ।
নয়তো জীব শ্রেণীর সাথে বহু বিষয়েই ষ্টাইল, রীতি নীতিতে দু-পেয়ে জীবের আর অন্য জীবের পার্থক্য খৃব একটা থাকে না এমন বহু উপমা রয়েছে।
সেই মানুষ পদবাচ্যের দু পেয়েরা মাঝে মাঝৈ এমন উদ্ভট আচরন করে যা জীব শ্রেণীকেও লজ্জ্বায় ফেলে দেয়।
ক্রম ধারাবাহিকতায় ইসলামের নামে চুলকানী বা ইসলামের যে কোন বিষয়ের বিরোধীতা করতেই হবে এমন মানসিকফোবিয়াক্রান্তের তালিকায় সাম্প্রতিক সংযোজন আগাচৌ! আবদুল গাফফার চৌধূরী!
মুসলমানদের বিশ্বাস তাদের মহান প্রভু আল্লাহর দাস হিসাবে যার নামের শুরু- আবদুল - আবদ= দাস, আল- গাফফার = অত্যাধিক ক্ষমাকারী! আবদুল গাফফার মানে অত্যাধিক ক্ষমাকারীর দাস.।
যিনি নিজের এই পরিচয়ের ভারকে সারাজীবন বহন করলেন- আল্লাহর পবিত্র নামকে দিয়েই নিজের জীবনের সায়াহ্নে উপনীত- হঠাৎ কি এমন হল আল্লাহর নাম নিয়ে এমন উদ্ভট আজগুবি দাবী করতে হল!!!!
ইসলাম কি কখনো বলেছে- এই নাম গুলা ইসলামী নাম অন্যগুলা নয়!!!!! কখনোই বলেনি। তাহলে তার যে ধারনা তা তার নিজের- নিজের ভূলের জন্য তিনি আল্লাহর নাম নিয়ে যা খুশি তাই বললেন?
আল্লাহতো বলেছেন - সকল পবিত্র নাম সমূহের অধিপতি আমি আল্লাহ!
সেখানে ইসলামাইজড নেম কনসেপ্টটাতো এলাকা ভিত্তিক গড়ে ওঠা মানুষের ধারনামাত্র! আরব দেশে প্রতি ভালবাসা এবং বোধ থেকেই সে অনুপাতে নাম রাখা ট্রাডিশনে পরিণত হল।
এবার আসুন ইসলামের যুগে। ইসলাম যখন এল- তারা কি আহবান করল? বলল -প্রচলিত যে মূর্তি পূজা, বস্তুবাদ, ভোগবাদ, সামন্তবাদ, সকল কিছু বাদ দিয়ে মৌলিক মানবতাবাদ, ইলাহী মতবাদ বা আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের আহবান জানালেন।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহা- আল্লাহ ব্যাতিত কোন উপাস্য নাই (দেব-দেবী মূর্তি পূজা- যার অন্তরালে বস্তুবাদ, ভোগবাদ, সামন্তবাদী চেতনা) তা ভেঙ্গে দিলেন) মোহাম্মদ রাসুলল্লাহ! এবং মুহাম্মদ সা: তিনি আল্লাহর রাসুল এই বাক্যকে স্বীকৃতি দেয়া।
এই স্বাক্ষ্য দিলে এবং এই চেতনাকে ধারণ করলেই সে মুসলিম বলে গন্য হতেন। সেখানে নামের কোন শর্ত ছিল না। আর সবচে বড় সত্য যা তিনি জানেন না বা জেনেও কুফুরি করেছেন- তা হল আরব ভূমিতে এর আগেই ইব্রাহিম আ: এসে গেছিলেন। এবং তিনি ইসলাম প্রচার করে গেছেন। তারপরে তাঁর ছেলে ইসমাইল আ: , ইসহাক আ: ধারাবাহিকতায় ইসলামের উপরই স্থিত ছিলেন। এই ধারাবাহিকতায় আরব ভুমিতে প্রচলিত নাম সমূহ মূলত ইসলামের ছায়াচ্ছন্ন নামই বটে। মহানবীর পিতার নাম ছিল আবদুল্লাহ! কিভাবে? কারণ ঐ ইব্রাহিমীয়/ইসমাইলিয়/ ইসহাকীয় অনুসরন।
তাই প্রচলিত আরবের নামও ইসলামী নামই ছিল কিন্তু ব্যবহারিক জীবনে তারা ইসলামী চেতনা বিশ্বাস থেকে দূরে সরে গিয়েছিল মূর্তি পূজায় লিপ্ত হয়েছিল ইব্রাহিম আ: এর সত্যকে জেনেও অস্বীকার করেছিল শয়তানের প্ররোচনায়। কুফুরীতে লিপ্ত হয়েছিল।
কাফির কারা?
আরবি ক্বাফ হা র দিয়ে ক্বাফির শব্দটি গঠিত। এটি বহুবচন বাচক শব্দ। এক বচনে কুফর, নারী বাচকতায় ক্বাফিরা্...
এ নিয়ে বিস্তারিত জানতেউইকিতে ঘূরে আসতে পারেন। এটি বিশাল এক অধ্যায়। সংক্ষেপে যারা সত্যকে জেনেশুনে অস্বীকার করতে, মানত না এবং এর বিরোধীতা করত.. তারাই ক্বাফির। যার উপমা কোরআনেও পাই- আল্লাহ বলছেন তারা কি করে অস্বীকার করে অথচ পূর্ববর্তী গ্রন্তে এ বিষয় বর্ণিত আছে. অথচ তারা অস্বীকার করছে।..
তাদের জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা কর, তারা তা জানে অথচন মানেনা।
তারাও অপেক্ষায় ছিল এই সত্য বানীর অথচ যখন তা সম্মূখে তখন তারা মূখ ফিরিয়ে নিচ্ছে!
ইসলাম সম্পর্কে যে জানেনা সে ক্বাফির নয়। ক্বাফির সেই যে জেনে শুনে বুঝেও তা অস্বীকার করে।
এখন আল্লাহর নিরানব্বই নাম উনার গুনবাচকতার পরিচায়ক। কোন ব্যাক্তির বা গোষ্ঠির নয়। ইসলামের প্রচারের পর মানুষ নামের প্রভাব ব্যক্তির জীবনে প্রতিফলিত হয় বা নামের গুনে মানুষ সেই গুনে গুনান্বিত হয় এই সাধারন বোধ ও চেতনা থেকেই নামকরণের সময় গুনবাচক নাম সমূহকে নামের সাথে যুক্ত করা শুরু করে। যা ইসরামিক নাম হিসাবেই ব্রান্ডেড হয়ে যায়।
এখন আল্লাহর গুনবাচক সেই সকল নামকে ক্বাফিরদের দেবতার নাম বলে যে বালখীল্যতার পরিচয়, যে মূর্খতার পরিচয় গাফফার চৌধূরী দিলেন তাকে কি বলবেন?
রাসুল আর রসুল্লাহ শব্দটি এক নয় দাবি করে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘রসুল মানে দূত, অ্যাম্বাসেডর। রসুলে সালাম মানে শান্তির দূত। রসুল বললেই আপনারা মনে করেন হযরত মুহম্মদ (সা.), তা কিন্তু নয়। যখন রসুল্লাহ বলবেন তখন মনে করবেন আল্লাহর প্রতিনিধি। এখন মোমেন ভাই আমেরিকায় থেকে যদি বলেন কিংবা আমি নিজেকে রসুল দাবি করলে কল্লা যাবে।’
যার মনে যা আসে তাই বলা শুরু কললে যা হয় আরকি? তাসলিমা অনুবাদ করেছিল- ওয়াহাজাল বালাদিল আমিন অর্থ এই বলদ আমিনের!!! এদের পাগল উন্মাদ আখ্যা দেয়া ছাড়া আর কি বলার থাকতে পারে।!!!!!
একি স্রেফ লাইম লাইটে আসার কু-চেষ্টা?
নাকি কোন এন্টিইসলামিক গ্রুপের খাওয়া টাকার বৈধতা দিতেই এমন কু-কথা!
অথবা কোন জটিল মস্তিকের রোগে আক্রান্ত হয়েই এমন অস্বাভাবিকতা!!!
কারণ কোন সুস্থ স্বাভাবিক লোকের পক্ষে মতের বিরুদ্ধে হলেও এমন অর্বাচিন কথা বলা সাজে না, সম্ভব নয় বা বলে না। যারা করে তারা স্বাভাবিক নয়। হয় উন্মাদ! নয় বিকারগ্রস্থ!
আল্লাহ তাদের হেদায়েত যোগ্য হলে হেদায়েত নসীব করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০১