সরাসরি দুইস্তর বিশিস্ট ভোটে নির্বাচিত
একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন: ভবিষ্যত স্থিতিশীল বাংলাদেশের পাথেয়
একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনই হতে পারে সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান। যে আস্থা ও বিশ্বাসের অভাবে তত্বাবধায়ক বা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের দাবী বা আন্দোলন সেই আস্থা বা বিশ্বাসের শূন্যতাটুকু পূরণ করলেই - তা সমস্যার সমাধান এনে দেবে বলেই সকলের বিশ্বাস। নিরপেক্ষ যেমন কারো পক্ষে হ্ওয়া সম্ভব নয়, তেমনি সরাসরি দলীয় পক্ষপাত পূর্ণ লোকদের মাধ্যমেও একটি অবাধ সুস্ঠু নির্বাচন করা অসম্ভব।
সেজন্যে চাই মধ্যমপন্থী সমাধান। যেখানে থাকবে ব্যালেন্স অভ পা্ওয়ার। কারো কোন নির্দিষ্ট এক দিকে ঝুকে যাওয়ার কোন পথ থাকবে না। কোন একক দলীয় পছন্দের নিয়োগকৃত ব্যক্তি নয়- বরং সরাসরি দুইস্তর বিশিস্ট ভোটে নির্বাচিত একটি কমিশনার প্যানেল পরিচালনা করবে কমিশনকে। যাতে উভয় পক্ষের কারোই আর অভিযোগ করার কোন অবসর থাকবে না। আর কমিশন পরিচালনায় প্যানেল নির্ভর সিস্টেম ডেভেলপ করে দিলে, চাইলেও কেউ পক্ষপাত করতে সক্ষম হবেনা।
এমন একটি সর্বজনগ্রাহ্য নিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রস্তাবনাঃ
নির্বাচন কমিশনার প্যানেল - কমিশনার - ৩ জন
সহকারী কমিশনার - প্রতি বিভাগে ৩ জন করে। ২১জন।
বাকী জনবল প্রচলিত অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী। প্রাথমিক পর্যায়ে আগ্রহী কমিশনার প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা জমা দেবেন। পরবর্তীতে সেপ এবং পেপ পর্বে মিলে যারা বিজয়ী হবেন তারাই নির্ধারীত মেয়াদে কমিশন পরিচালনা করবেন।
তবে এই মূল প্যানেল হবে সরাসরি দুইস্তর বিশিস্ট ভোটে নির্বাচিত।
১ম স্তরঃ
নির্ধারিত নির্বাচক প্যানেল।(Selected Electoral Panel – SEP)
২য় স্তরঃ
পাবলিক ইলেক্টোরাল প্যানেল। (Public Electoral Panel – PEP)
১ম স্তরঃ
নির্ধারিত নির্বাচক প্যানেল।(Selected Electoral Panel – SEP) :
মোট ১৮ ক্যাটগরিতে মোট ৫৭৯০০ ভোটারের সমন্বয়ে নির্ধারিত নির্বাচক প্যানেল।(Selected Electoral Panel – SEP) গঠিত হবে। যাদের মেয়াদ হবে ২ টার্ম । পরবর্তীতে পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় নতুন প্রজন্মের সমন্বয়ে নতুন নির্ধারিত নির্বাচক প্যানেল।(Selected Electoral Panel – SEP) গঠিত হবে।
ক্যাটগরি সমূহ:
১। নির্বাচিত সংসদ সদস্য ৩০০ জন
২। রাজনীতিবিদ ( মাঠপর্যায়ে) **(প্রতি ক্যাটাগরিতে ৫০ জন জেলায়ারী)
৩। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি
৪। শিক্ষক প্রতিনিধি
৫। ছাত্র প্রতিনিধি
৬। চাকুরীজীবি প্রতিনিধি
৭। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি
৮। সাংবাদিক প্রতিনিধি
৯। নারী প্রতিনিধি
১০। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রতিনিধি
১১। কৃষক প্রতিনিধি
১২। শ্রমিক প্রতিনিধি
১৩। বিচারক প্রতিনিধি
১৪। প্রকৌশলী প্রতিনিধি
১৫। ডাক্তার প্রতিনিধি
১৬। যুব প্রতিনিধি
১৭। মিডিয়া প্রতিনিধি
১৮। প্রবীন প্রতিনিধি**
** ২ থেকে ১৮ পযর্ন্ত নির্ধারিত নির্বাচক প্যানেল(Selected Electoral Panel – SEP) প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে জেলা ভিত্তিক। প্রতি ক্যাটাগরিতে ঐ শ্রেণীর মোট ৫০ জন নির্বাচক ভোটার থাকবেন।যারা প্রত্যক্ষ ভোটে কমিশনার প্যানেল নির্বাচনে ভোট দেবেন।
# প্রতি জেলা থেকে পেশাভিত্তিক প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা আবেদন করবেন। সচেতন, সুস্থ, শিক্ষিত সাংবিধানিক ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগে সক্ষম প্রার্থী থেকে লটারী/ বা বাছাই পর্বের মাধ্যমে ৫০ জন র্নিধারন করা হবে।
# আবেদনকারী নির্ধারীত সংখ্যার চেয়ে বেশি হলে ধারাবহিক শিক্ষার মানক্রমানুসারে নির্বাচন করা হবে।
# তাতে সমানুপাতিক হলে গ্রেডিং ক্যাটাগরি বিবেচ্য হবে।
# তাতেও সমানুপাতিক হলে অভজ্ঞিতা, কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, সামাজিক অবদান বিবচ্যে হবে।
# স্ব-শিক্ষিত হলে বিশেষ ক্ষেত্রে সাফল্যের রেকর্ডধারীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। তবে রেকর্ডের যথাযথ প্রত্যায়ন পত্র দাখিল করতে হবে।
ভোট গ্রহন এসএমএস বা ইভিএম বা ব্যালট প্রযোজ্য যে কোন মাধ্যমে হতে পারে।
মোট ভোটার = ১৮ * ৫০ * ৬৪ = ৫৭৯০০ জন।
১ম স্তরের নির্বাচনের ফলাফলের সাথে ২য় স্তরের ফলাফল যুক্ত হয়ে সমন্বিত ফলাফলে বিজয়ী ব্যক্তিই চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত বলে ঘোষিত হবেন।
২য় স্তরঃ
পাবলিক ইলেক্টোরাল প্যানেল। (Public Electoral Panel – PEP)
# পেপ সদস্যগণ প্রতি গ্রাম ভিত্তিক নির্বাচিত হবেন। সাধারন, অরাজনৈতিক, শিক্ষিত, সচেতন, কোন মামলা মোকদ্দমা, দূর্নীতি, ব্যাংকঋণ খেলাপী নন এমন মানুষদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত ক্রসে চেক করে তা চূড়ান্ত করা হবে।
# তাদের মোবাইল থেকেও তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
# সেপ (১ম স্তরের নির্ধারিত ভোটার) সদস্য নন এমন সচেতন, সুস্থ, শিক্ষিত সাংবিধানিক ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগে সক্ষম নূন্যতম এইচ এসসি/ এস এসসি পাস নাগরিক গণ আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
# আবেদনকারী নির্ধারীত সংখ্যার চেয়ে বেশি হলে ধারাবহিক শিক্ষার মানক্রমানুসারে নির্বাচন করা হবে।
# তাতে সমানুপাতিক হলে গ্রেডিং ক্যাটাগরি বিবেচ্য হবে।
# তাতেও সমানুপাতিক হলে অভজ্ঞিতা, কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, সামাজিক অবদান বিবচ্যে হবে।
# স্ব-শিক্ষিত হলে বিশেষ ক্ষেত্রে সাফল্যের রেকর্ডধারীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল যোগ্য। তবে রেকর্ডের যথাযথ প্রত্যায়ন পত্র দাখিল করতে হবে।
২য় স্তরে (পিইপি / পেপ) মোট ভোটার সংখ্যা হবে প্রতি গ্রাম থেকে অনধিক ৫০ জন।
সর্ব মোট ভোটার : ৫০ * ৬৮০০০ (গ্রাম) = ৩৪,০০,০০০ জন।
২য় স্তরেও ভোট গ্রহন এসএমএস বা ইভিএম বা ব্যালট প্রযোজ্য যে কোন মাধ্যমে হতে পারে।
১ম স্তরের নির্বাচনের ফলাফলের সাথে ২য় স্তরের ফলাফল যুক্ত হয়ে সমন্বিত ফলাফলে বিজয়ী ব্যক্তিই চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত বলে ঘোষিত হবেন।
আমার বিশ্বাস এর ফলে রাজনৈতিক দলসমূহের পরস্পরের প্রতি যে অনাস্থা তা দূর হবে। গণ মানুষরে ব্যাপক অংশগ্রহনের মাধ্যমে দুই স্তরের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত ইলেকশন কমিশন স্বায়ত্বশাসিত এবং স্বাধীন ভাব তার কর্ম নির্বাহ করবে।যা অবশ্যই পক্ষপাত বিহীন হবে বলে বিশ্বাস। কারণ চেক এন্ড ব্যালেন্সর জন্য কমিশন পরিচালনায় প্যানেল নির্ভর সিস্টেম ডেভেলপ করায় কেউ একক ভাবে কোন অন্যায় দূর্নীত কেরতে সক্ষম হবে না।এবং গণ মানুষের মা্ধ্যমে নির্বাচিত বিধায় তারা্ও দেশ ও জনতার প্রতি সাংবিধানিক কমিটমেন্ট যথাযথ বজায় রেখে কাজ করবে।
কারো বিরুদ্ধে সুনিদর্ষ্টি অভিযোগ পাওয়া গেলে কমিশন সর্বসম্মত ভাবে গ্রহনযোগ্য তদন্ত কমিটি গঠন করে তা সত্যাসত্য নিশ্চিত করবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
আপনাদের কার কি অভিমত? শেয়ার করুন। আঁধারে টিমটিমে বাতিও আশার পথ দেখায়। আমাদের ছোট ছোট ভাবনাতেই জাতির বড় সমস্যার সমাধান হয়েও যেতে পারে!
নাগরিক দায়বোধ উত্তরণে সকলেই সচেষ্ট হই।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১