somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৫তম সংশোধনী - প্রধানমন্ত্রীর মনগড়া সিদ্ধান্ত - সূজনের সম্পাদক বদিউল আলম

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকল অঘটনের গোড়া উদঘাটনে সুশাসনের জন্য নাগরিক সূজনের সম্পাদক বদিউল আলমের এক্সক্লুসিভ লেখা.....

২৬ অক্টোবর ২০১৩, শনিবার

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও অস্থিতিশীলতার জন্য সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীকে দায়ী করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিলউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, “১৫তম সংশোধনী সংসদীয় বিশেষ কমিটির সুপারিশে হয়নি। এটি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মনগড়া সিদ্ধান্তে। তাই এই সংশোধনী অসাংবিধানিক ও অবৈধ।”

শনিবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘উদ্ভূত সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে করণীয়’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

সংলাপ সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমরা সম্মিলিকভাবে আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের গণতন্ত্র খাদে পড়তে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদি এর কারণ খুঁজতে চাই তাহলে পাবো, এর জন্য দায়ী নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই দলের অনড় অবস্থান। এই অনড় অবস্থানে জন্য দায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।”

তিনি ১৫ তম সংশোধনীর বিভিন্ন পর্যায় তুলে ধরে বলেন, “২০১০ সালের ২১ জুলাই প্রথম ১৫ জন সদস্য নিয়ে সংবিধান সংশোধনী কমিটি গঠন করা হয়। তারা ২৭ টি মিটিং করে। মিটিং শেষে ২০১১ সালের ২৯ মার্চ বিদ্যমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ করা হয়।”

তিনি সংবিধান সংশোধনী কমিটির বিভিন্ন সদস্যদের বক্তক্য উদ্ধৃত করে বলেন, “তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, এটা সেটল ইস্যু, এটা পরিবর্তন করার দরকার নেই। আমির হোসেন আমু বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেভাবে আছে সেভাবেই রাখা উচিত। ব্যানিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছিলেন, সংবিধানে তিন মাস নির্দিষ্ট করে দেয়া যেতে পারে। অ্যাডভোকেট আমীর খসরু বলেছিলেন, এমন কিছু করা ঠিক হবে না যা বিতর্ক সৃষ্টি করে। রাশেদ খান মেনন বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক পরিবর্তনের দরকার নেই। বর্তমান স্পিকার শিরীনি শারমিন বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সংশোধনের দরকার নেই। কমিটির কো-চেয়ারম্যান প্রস্তাব করে বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার দরকার নেই।”

তিনি বলেন, “কিন্তু ২৭ এপ্রিল, ২০১১ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংবিধান সংশোধন কমিটি দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন,“ জনগণ আর অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায় না।”১০ মে কমিটি আবার বলে, শর্ত সাপেক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। ২৯ মে সংবিধান সংশোধনী কমিটি সর্বম্মতিক্রমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার পক্ষে সুপারিশ করে। ৩০ মে, কমিটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে সবকিছু উল্টে যায়, সবকিছু বদলে যায়। ২০ জুন কমিটি নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সুপারিশ করে। ২৫ জুন,২০১১ তা কেবিনেটে ও ৩০ জুন সংশোধনীতে তোলা হয়।”

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “ এটা আমার বক্তব্য নয়। এটা সংকটের ধারাবাহিক সৃষ্টির প্রক্রিয়া। এটা স্পষ্ট সংকট এক ব্যক্তির মনগড়া সিদ্ধান্তে হয়েছে। তাই এই সংশোধনী অবৈধ।”

তিনি আরো বলেন, সংবিধানের ৭(খ) অনুচ্ছেদ যা অপরিবর্তিত রাখার বিধান করা হয়েছে এটাও অসাংবিধানিক।”

আলোচনায় আরো অংশ নেন সমকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জাফর আহমেদ প্রমুখ

সুত্র: প্রধানমন্ত্রীর মনগড়া সিদ্ধান্ত

আমরা আশাবাদি হতেই পারি। রাজা তুই ন্যাংটো বলার কেউ এখনো আছে। আশা করি সকলেই দুর্মতিকে সুমতিতে বদলে দেশ ও জনতার দাবীর প্রতি সম্মান রেখে গ্রহনযোগ্য সমাধানে যাবেন। কোন ইগো যেন দেশের কোন বড় ক্ষতির কারণ না হয়ে দাড়ায়। কারো স্বেচ্ছাচারিতার মূল্য যেন ১৬ কোটি জনতাকে দিতে না হয়। আদালত এবং প্রসাশনকে দলীয় বৃত্তে আবদ্ধ না থেকে বৃহত্তর জাতিগত স্বার্থে কাজ করতে হবে। নইলে কালের কাঠগড়ায় ইতিহাসের আদালতে সত্য যখণ প্রকাশিত হবে তখন তা ঘৃনার বৈ অন্য কিছু হবার সুযোগ কম।

দেশ মুক্তি পাক । জনতা মুক্তির শ্বাস নিক।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০০
১৩টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×