১. আমার এক বন্ধু ছোট একটা কোম্পানীর ম্যানেজার। পুরো কোম্পানী তার হাতের মুঠোয়। মালিকও তার উপর নির্ভরশীল। বন্ধু আমার পারিবারিক জীবনে অসুখী। স্ত্রীর সাথে বনিবনা হয় না। ঝগড়া তো নিত্যদিনের সঙ্গী। এই অবস্থায় সে তার সুন্দরী সেক্রেটারির সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। সেক্রেটারিও চাকুরির স্বার্থে বস(আমার বন্ধু)-কে সময় দেয়, সঙ্গ দেয়। ভুল বুঝবেন না। so far they are just friend! কোম্পানীর সবাই সহ এলাকাতেও সবাই কানাঘুষা করে ওদের নিয়ে...
২. ঘটনাচক্রে সেক্রেটারিও পারিবারিক জীবনে স্বামীর সাথে অসুখী ছিল এবং ডিভোর্সী। তাই তাদের বন্ধুত্ব ক্রমেই বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করে। যদিও বন্ধু সেক্রেটারিকে বিয়ের চিন্তা করে বন্ধুত্ব করেনি। আমি বললাম, বিয়ে করলে করতে পার। সে বলল, "তাকে(সেক্রেটারি) বিয়ে করলে মান ইজ্জত কিছু থাকবে না, চাকুরি ছাড়তে হবে, এলাকা ছাড়তে হবে। সম্ভব না।" আমি বললাম, "অথচ তার সাথে ঘোরাঘুরি, টাইম পাস করা যাবে, কিন্তু বিয়ে করা যাবে না!...
৩. কথার শেষে বন্ধুকে বললাম, "যাই হোক বন্ধু রমজান আসছে। এখন এসব বন্ধ কর।" বন্ধু ধমক দিয়ে বলল, " রমজানে বন্ধ করতে হবে কেন বলছ? এসব(পরকীয়া) তো সবসময়ের জন্যই বন্ধ করা উচিত। রমজানের পরে কী হারাম কাজ করার বৈধতা আছে?" আমি বললাম, "তুমি ঠিকই বলেছ। আমরাই এসব বানিয়েছি নিজেদের মত করে।"
৪. বর্তমান মুসলমানদের অবস্থা হচ্ছে এরকমই। আল্লাহর ভয়ও আছে আবার সুযোগ পেলে খারাপ কাজ করার লোভও সামলাতে পারে না। আর আমরা খালি বলি, "আমার সাথেই কেন এমন হয়?" সবার রমজান ভালো কাটুক, সুস্থ ভাবে কাটুক - এই কামনায়...
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫২