১. আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন ব্যবসায়ী। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব । রেসলিং - এ গিয়ে মজাও করতেন অনেক সময়। নারীদের সাথে মজা, মশকরা সবই করেছেন।। এখনও করেন। সেদিনও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট - এর স্ত্রীর গড়ন নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার হয়েছেন। এই লোক প্রেসিডেন্ট হতে পারেন কেউ ৫ বছর আগেও ভাবেনি। অথচ এটাই এখন বাস্তবতা। কারণ, গণতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ উনাকে পছন্দ করেছেন।
২. তুরস্ক আধা ইউরোপ, আধা এশিয়ান সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত। মুসলিম দেশ হলেও যারা সেখানে যান অথবা যারা তুর্কি কোম্পানীতে চাকুরি করেন তারা জানেন এরা ইসলাম কতটুকু মানে। এদের চলাফেরা পুরোপুরি ইউরোপীয়ানদের মত। মেয়েরা ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরে অফিস করে। ধর্ম কর্ম করতে তেমন দেখা যায় না এদের। কিছু রক্ষণশীল বাদে বাকীরা মদ, নারীতে অভ্যস্ত ।এরকম একটা দেশে তাইপ এরদোয়ান প্রেসিডেন্ট এখন। যিনি ইসলামপন্থী হিসেবে পরিচিত। ইসলাম বিশ্বে এখন তিনিই অঘোষিত নেতা। তুরস্কর মত দেশে ইসলামপন্থী লোক প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণ হলো গণতন্ত্র।মাত্র সামান্য ব্যবধানে তিনি ক্ষমতা পেয়েছেন।
৩. আর আমাদের দেশের গণতন্ত্র! সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ চাওয়ার পরও নির্বাচিত মেয়রদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ চাইলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেয়া হচ্ছে না। কারো কাছে ইসলামী বই পাওয়া গেলে মৌলবাদী, জঙ্গি ট্যাগ দেয়া হচ্ছে। বিরোধী মতের সভা সেমিনারে বাধা দেয়া হচ্ছে। গুম, খুনের কোন ব্যাখ্যা নেই কারো কাছে।
৪. কয়েকদিন আগে গণতান্ত্রিক ভাবে খালতমা বাতুলগা মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ছিলেন সাবেক মার্শাল আর্ট চ্যাম্পিয়ন। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। অভিনেতা, খেলোয়াড়, ব্যবসায়ী যে কেউ নির্বাচিত হতে পারে যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তাকে ভোট দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৫