somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সোহানী
হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

বান্দরের খাঁচার সামনে একদিন ;).;);););) ...... ঢাকা চিড়িয়াখানার /:)/:)/:)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সেই ছোটবেলায় গেছিলাম আর যাওয়া হয়নি। তাই অনেকদিন থেকেই ঢাকা চিড়িয়াখানার যাওয়ার ইচ্ছা। যাক্ সময় করে করে শেষ পর্যন্ত গেলাম। দেখার আগে মনে করেছিলাম দারুন একটা ছবি ব্লগ পোস্ট করবো কিন্তু একরাশ হতাশা আর দু:খ নিয়ে লিখতে বসলাম। যাক্ আসি আসল কথায়....

যা যা আমার চোখে পড়লো তা হলো:

১) প্রতিটি প্রাণীর এমন রুগ্ন চেহারা যে খাবার পায় না ঠিকভাবে কনফার্ম। যেমন বাঘ মামারে বা সিংহ রাজাকে দেখেতো এমনি হতাশ.. বেচারাদের নড়ার ও ক্ষমতা নেই। যাক্ আশার কথা কয়েকটি বাঘ নাকি সাফারি পার্কে থেকে শীঘ্রই যোগ হবে।



২) অনেক প্রকার বানর আগে দেখেছিলাম বাট এখন সংখ্যা ও অনেক কম। তারপরও তাদের চঞ্চল পদচারনায় আমার বাচ্চারা মুগ্ধ। তবে চিড়িয়াখানার অনেক সতর্কবানী পোস্টারের পরে ও আমাদের মুগ্ধ দর্শনার্থীরা ব্যাপক ঢিল ও খোচাঁখুচিতে ব্যস্ত ছিল। আমি বুঝি না এরা ঢিল ছুড়ে কি মজা পাচ্ছে ???? তারা কি বুঝে না তাদের ছোড়া ঢিল ওই বানর আর তাদের বাচ্চাদের একটু ও ভালো লাগে না।



৩) আগে হাতি ও ঘোড়া রাইডিং একটা চমৎকার ইভেন্ট ছিল যা এখন বন্ধ। কিন্তু কেন আমরা সামনের দিকে না এগিয়ে পিছনের দিকে যাচ্ছি?? এ ধরনের ইভেন্ট বাচ্চারা খুব এনজয় করে যা বিদেশে খুবই কমন। এতো লোকবল এতো টাকা বরাদ্দ বাট কোথাও কোন উন্নয়নের ছোয়া নেই।

৪) পুরো চিড়িয়াখানায় চারপাশ ময়লা আবর্জনা ছড়ানো ছিটানো... কতদিন যে পরিস্কার হয়নি জানি না। আর পাবলিক ও যথারীতি যেখানে সেখানে চিপস্ এর প্যাকেট, ক্যানের বোতল..... এটা সেটার সমাহার করেছে। অবশ্য এটা সমগ্র বাংলাদেশেরই চিত্র :P:P:P:P:P। অবশ্য ফেলবে না কেন.... ডাস্টবিন যে একটা প্রয়োজনীয় বস্তু যা কিছু দূর পরপর রাখা প্রয়োজন তা মনে হয় কর্তৃপক্ষ জানে না।

৫) এবার আসি আসল কথায়... পুরো চিড়িয়াখানা জুড়ে অসংখ্য চা/চিপস্ বিক্রির স্টল। আর পাবলিকের আকর্ষনের জন্য ফুল ভলিউমে হিন্দী গান বাজছে সব জায়গা থেকে। ভয়াবহ এক পরিস্থিতি। এতোটা ন্যুইসেন্স আমরা যে এতোগুলো পশু পাখিদের যে একটু শান্ত পরিবেশ এর প্রয়োজন আছে তা মনে হয় কর্তৃপক্ষ জানেই না। আমি কিছু বলার চেস্টা করেছিলাম বাট আমার উনি আমাকে জোর করে সরিয়ে দিয়েছেন.... ওর কথা কর্তৃপক্ষ যেখানে কানে তুলা দিয়ে আছে তুমি কেন সেখানে ঝামেলায় যাও।



৬) আর চা/চিপস্/আইসক্রিমের দোকান তো প্রতিটি স্টেপ পরপর। যেহেতু অনেক টুকু পথ আর বাচ্চারাই প্রধান দর্শক তাই তা থাকতেই পারে... তাই বলে লাগাম ছাড়া দোকান পাট!!!! অবশ্য সারা দেশকেইতো আমরা ডাস্টবিন আর চা/চিপস্/আইসক্রিমের দোকান মনে করি। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বলে যে একটা শব্দ আছে তা অবশ্য বাচ্চারাতো দূরে আমরা নিজেরাই জানি না।

৭) সবচেয়ে বেশী মন খারাপ হয়েছে ময়ুরের খাচাঁর সামনে যেয়ে কারন একটা ময়ুরের ও পাখা নেই। অথচ সারা চিড়িয়াখানা জুড়ে ১০/১৫ টাকায় প্রতিটি ময়ুরের পাখা বিক্রি হচ্ছে।




৮)আর কুমিরকে জীবিত মনে হয়নি কোনক্রমেই..... বেচারার ঢাকা চিড়িয়াখানায় এসে ধরা খেয়েছে আর কি...... তার উপর ্মন নোংরা পানি... কেমনে বেচারারা আছে !!!!



৯) পাখিগুলো এমন জীর্ন শীর্ণ... আহারে.... বন্দী থাকা যে এতোটা কঠিন কে জানতো...



১০) চিড়িয়াখানার ভীতরে আবার মিনি চিড়িয়াখানা.. মানে ৫টাকা দিয়ে টিকেট কাটলে কিছু মরা প্রানী আর একুরিয়ামের দেখা পাবেন। যা দেখলে আপনার মেজাজই খারাপ হয়ে যাবে।





-
-
-
-
-
যাহোক শুধু বদনাম করলেই তো হবে না কিছু ভালো জিনিস ও আছে... যেমন..... অসাধারন প্রাকৃতিক ভিউ। এতো বড় এবং সুন্দর শাপলা ফুল অামি কখনই দেখিনি। আর পাশের জলাভুমি সাথে হিজল বা অন্যান্য গাছ... অসাধারন!!!! গেছি বান্দরের ছবি তুলতে বাট এতো সুন্দর প্রকৃতি দেখে শুধু প্রকৃতির ছবিই তুলেছি.... কিছু ছবি শেয়ার করলাম........




আর জিরাফ আর হরিণগুলোকেই একমাত্র প্রানবন্ত মনে হয়েছে......



আমার স্বজাতীর ছবি...... গাধা আর কি....



আর সবার শেষে আমার বাসার জানালায় দাড়িয়ে ড্রেনে চলা সাপের ছবিটা শেয়ার করলাম /:)/:)/:)/:)/:)... সন্ধা আর তাড়াহুড়া করাতে স্পষ্ট আসেনি....



আজ আপাতত: এটুকু... আবার আসবো নতুন কিছু নিয়ে.......
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২২
৪৪টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিচারের জায়গা না পেলে মানুষ প্রেত হয়ে ওঠে

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯


(সামাজিক অবিচার, রাষ্ট্রীয় অনুপস্থিতি এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঠামোর মধ্যে সাধারণ মানুষ কীভাবে হারিয়ে যায়।)

মানুষ যখন বারবার অবিচারের শিকার হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একদিন এসো সন্ধ্যে ফুরোলেই=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫



ভালোবাসা ছড়ানো পাতায় পাতায়, সবুজাভ স্নিগ্ধ প্রহর আমার
এখানে উঁকি দিলেই মুগ্ধতারা চুয়ে পড়ে টুপটাপ;
ধূসর রঙ প্রজাপতিরাও এখানে রঙিন ডানায় উড়ে,
কেবল অনুভূতির দোর দিতে হয় খুলে, চোখগুলো রাখতে হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমান কোনো চকচকে ল্যাব বা বিলাসবহুল ফ্যাক্টরিতে জন্মায়নি

লিখেছেন নাঈম আহমেদ, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

চীনের জে-১০ এর পেছনেও রয়েছে সেই ত্যাগ আর সংকল্পের গল্প—
১: গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) দলের অক্লান্ত পরিশ্রম।
২: বাইসাইকেলে চেপে কাজে যাচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী সু চিশৌ।
৩: প্রথম উড্ডয়নের পর কেঁদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Bangladesh bans ousted PM's Awami League under terrorism law

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১২ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬





হায়রে এরেই বলে কর্মফল। ১৭ টা বছর গুম , খুনের মাধ্যমে এক ভয়ের রাজ্য তৈরী করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল মানুষের বাকশক্তি। চোখ, কান, মুখ থাকতেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিন গেলে আর দিন আসে না ভাটা যদি লয় যৌবন

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১২ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:২৬


এমন কোনো ইস্যু আছে, যা নিয়ে জাতি পুরোপুরি একমত? ৫০%ও একমত এমন কোনো বিষয় চোখে পড়ে না। একপক্ষ রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মনেপ্রাণে ধারণ করে, আরেক পক্ষ বদলাতে চায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×