বি:দ্র: লিখাটা গতকাল দিয়েছিলাম সামু মামার ব্লগে কিন্তু কোন এক অজানা রহস্যে লিখাটা ব্লগে আসেনি । তারপর মডুদের কাছে ধরনা দিয়ে আজ লিখাটা বেক ডেটে (এপ্রিল ১০) খুজেঁ পেলাম.... সেটা ও এক বিশাল রহস্য । তাই আজ আবার শেয়ার করলাম শুধুমাত্র বিষয়টির গুরুত্বের কারনে........
যাদের চাচা/মামা নাই নিদেন পক্ষে রাজনৈতিক মামু ও নাই তাদের জন্যই শুধুমাত্র আমার পর্বগুলি। অন্যদের পড়ার দরকার নাই..............।
আগের পর্বগুলোতে সিভি রাইটিং এর ক্ষেত্রে বেসিক কিছু দিকনির্দেশনা ও সিভি তৈরীর প্রয়োজনীয় টিপস্ ছিল...... এ পর্বে ইন্টারভিউ ফেইস করার পূর্ব এবং পরবর্তী টিপস্ নিয়ে আসলাম... যা হয়তো তোমাদের কাজে লাগলে ও লাগতে পারে।
তো যা বলছিলাম.... তোমার চমৎকার সিভি দেখে বা তোমার অসাধারন রিটেনে রেজাল্টের পর তোমাকে ইন্টারভিউতে ডাকলো তারপর তোমার করনীয় কি হবে??? তুমি কি খুব নার্ভাস হয়ে যাবে :-*:-*:-*???? বা মনে মনে ভাববে যে, তোমার যেহেতু কোন চাচা/মামা নাই নিদেন পক্ষে রাজনৈতিক মামু ও নাই অত:পর তোমার চাকরী হবার কোন চান্সই নাই (((!!!!!!!
অবশ্যই তুমি ভুল ...... কারন ভাগ্না ভাইস্তাদের দিয়ে যে কোন কাজ হয় না তা চাচা/মামারা ও জানে। অত:পর তোমাদের মতো কিছু উদ্যোমী, সিনসিয়ার, কোয়ালিফাইড ছেলে মেয়ে তাদের ও দরকার। তোমরা সেই সুযোগটাই কাজে লাগাবে। আর ইন্টারন্যাশানাল অর্গানিজাইশনে সত্যিকারের কোয়ালিফাইড ছেলে মেয়েকেই চায় তারা ভাগ্না ভাইস্তা না।
অনেক বক বক হলো... কিন্তু আমার বকবক গুলো তোমাদের জাগিয়ে তোলার জন্য অবশ্যই.. হতাশ হবার জন্য নয় কিছুতেই। মনে রেখ হতাশ হয়েছতো মরেছো......
এবার আসি আসল কথায়.... কি করবে তুমি ইন্টারভিউ নিয়ে। সাধারনত: একেকটি ইন্টারভিউ ২০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত হয়। অনেক্ষন তোমাকে রাখলে হতাশ হবে না কিছুতেই কারন বেশিক্ষন রাখা মানে তোমাকে তাদের পছন্দ হয়েছে এবং আরো ভালোভাবে তোমাকে জাজ করতে চায়। এ ২০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ন কারন এ কয় মিনিটেই তোমাকে যাচাই বাছাই করা হবে।
তবে মনে রাখবা তোমার সিভিই কিন্তু প্রাথমিক স্টেপ তারপর রিটেইন এক্সাম এবং ফাইনাল হলো ইন্টারভিউ । যদি তুমি সবগুলোতে ভালো করো তবেই তো কাঙ্খিত ফল..... চাকরী। কাজেই প্রতিটিরই সমান প্রস্তুতি দরকার।
এপর্যায়ে তোমার প্রস্তুতিকে আমি দু'ভাগে ভাগ করি। ইন্টারভিউ ফেইস করার আগের প্রস্তুতি ও ইন্টারভিউ চলাকালীন তোমার ভূমিকা।
ইন্টারভিউ ফেইস করার আগের প্রস্তুতি :
১) যে প্রতিস্ঠান থেকে তুমি ডাক পেয়েছে তার সম্পর্কে খোঁজ নিবে। এখন ইন্টারনেটে সব প্রতিস্ঠান এরই ওয়েবসাইট আছে তাই ভালোভাবে তাদের সম্পর্কে জেনে নিবা ও নিজেকে প্রস্তুত করবা।
২) যে পজিশানের জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছ তার জেডি বা কাজের বর্ননা যদি থাকে তা ভালো ভাবে পড়ে যাবা আর এ কাজ সম্পর্কে তোমার পূর্ব অভিঙ্গতা যদি থাকে তাহলে সম্ভাব্য উত্তর রেডি করে যাবা। নিজেকে প্রস্তুত না করে গেলে তোমার সম্পর্কে পজিটিভ ইম্প্রেশান তৈরী হবে না কিছুতেই।
৩) ইন্টারভিউতে সময় মতো হাজির হওয়া অত্যন্ত জরুরী। প্রয়োজন হলে লোকেশান আগেই জেনে নিবা। ইন্টারভিউর দিন লোকেশান খুঁজতে যেনো পাগল হতে না হয়। আর সময়ের অনেক আগেই পৈাছাবা..... কোন মতেই দেরী করবা না।
৪) যদি কোন কাগজপত্র নিতে বলে তা অবশ্যই নিবা .... কোন কিছুই মিস করবা না তবে আগে থেকেই রেডি করে রাখবা সবকিছু। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কখনই ভালো হয় না।
৫) ইন্টারভিউতে ড্রেসকোড একটা বিশাল ফেক্টর। যতই আমেরিকান কালচার ফলো করো না কেন কবি শেখ সাদীই কিন্তু সত্য। খুব চমৎকার ড্রেসই পড়তে হবে তা নয় তবে পরিস্কার, ফিটফাট, খুব কালারফুল নয় এমন ড্রেসই বেছে নিবা। অনেককে দেখি হাফ প্যান্ট পড়ে ইদানিং অফিসেও আসে .... তারা ভাবে তাদেরকে খুব স্মার্ট লাগে কিন্তু সত্যিকারে তাদের ময়ুরের পাখায় কাকের মত লাগে... যা আমার খুবই অপছন্দ...। যাউগ্গা......
আজ থাক এটুকুই......... বাকি অংশ পরের পর্বে ...........!!!!!!
আগের পর্ব যদি পড়তে চাও....
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮