ময়মনসিংহে দিন দিন বেড়েই চলেছে পর্যটকদের আনাগোনা । ঈদ এলে বাড়ে ভিড় বহগুণে । পর্যটক বাড়লেও উন্নতি হয়নি ময়মনসিংহ জাদুঘরের।
রাজা জমিদারদের উত্তরাধিকার ও তাদের জীবন প্রণালী সম্পর্কে দর্শনার্থীদের ধারনা দেওয়ার নিমিত্তে প্রতিষ্ঠিত দীর্ঘ ১ যুগ ধরে ময়মনসিংহ জাদুঘরটি স্থানান্তরের জন্য বিভাগ কেবল চিঠিই দিয়ে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাবে এই ব্যত্যয় ঘটেছে ।
দ্বন্দ নিরসণ কল্পে সম্প্রতি শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে ।
জানা যায় , জাদুঘরে সংরক্ষিত উল্লেখযোগ্য নিদর্শনগুলি মধ্যে রয়েছে , হাতির মাথা , মহিষের সিং, কাঠের সোকেজ, হাতির দাতের নকশি করা সোফা সেট, মার্বেল পাথরের গোল টেবিল, শ্বেত পাথরের টেবিল , মোমবাতি ঝাড়, হুকা, শ্বেত পাথর , কালো পাথরের ৫টি মূর্তি, লোহার সিন্ধুক, গন্ডারের চামড়া, বল্লম, খড়গ, রামদা প্রভৃতি ।
প্রতিদিনি দেশ বিদেশ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের পর্যটকগণ এখানে আসেন ।
জাদুঘরে সংরক্ষিত নিদর্শনের ৮০ ভাগ মুক্তাগাছার জমিদারদের বাকী ২০ ভাগ গৌরীপুর ও আঠারবাড়ির জমিদারদের
। আগে জাদুঘর পরিদর্শনের জন্য টিকিটের মূল্য ছিল ২ টাকা । এখন ৫ টাকা করা হয়েছে ।
প্রতিমাসে টিকিট বিক্রি হতে রাজস্ব আসে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত । ময়মনসিংহ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানায় , রাজস্ব বিভাগে ৪ জন এবং মাস্টার রোলে ৪ জন স্টাফ এই জাদুঘর পরিচালনা করে থাকেন ।