খৈইয়াছড়া, সিতাকুন্ড/ khoiya chora waterfal
ফেইসবুক পেইজ: https://www.facebook.com/khoiyachora
আকার আকৃতি ও গঠনশৈলির দিক দিয়ে এটাই নিঃসন্দেহে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঝর্ণা। এর মোট ৯ টি মুল ধাপ এবং অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ধাপ প্রমান করে যে এমন আর একটা ঝর্ণাও বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি।খৈইয়াছড়াতে সব সময় জ্বলে (এমন কি বৃষ্টিতেও) এমন একটি পাহাড় আছে।সেখানে আগুন কখনও নিভে না।
কিভাবে যাবেন এ ঝরনায় ?
আপনি যদি ঢাকার দিক থেকে যান তাহলে চট্টগ্রামের মিরসরাই পার হয়ে বারতাকিয়া বাজারের আগে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে ঢাকা চট্টগ্রাম রোডে নামবেন । স্কুলের প্রায় ত্রিশ গজ আগে একটি রাস্তা ঢাকা চট্টগ্রাম রোড হতে ডান দিকে ঢুকেছে ঐ রাস্তায় ঢুকবেন না । ঐখান থেকে হাতের বাম দিকে গ্রামের রাস্তা ধরে দশ মিনিট হাঁটলে পথে রেললাইন পরবে, রেললাইন পার হয়ে আরো দশ মিনিট হাঁটলে ঝিরি পাবেন । ইচ্ছে করলে ঢাকা চট্টগ্রাম রোড থেকে ঝিরি পর্যন্ত আপনি সি.এন.জি নিয়েও (৫০-৬০টাকা লাগবে) যেতে পারবেন । ঐখান থেকে আপনাকে খৈয়াছড়া ঝর্ণার মূল ট্র্যাকিং শুরু করতে হবে । ঝিরি থেকে শেষ স্টেপ পর্যন্ত সোয়া দুই ঘন্টার মত সময় লাগবে । বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢল সমস্যার কারণ হতে পারে সেজন্য অবশ্যই দড়ি সাথে নিবেন, প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে । খৈয়াছড়া ঝর্ণা ট্র্যাকিং বাংলাদেশের অন্য ঝর্ণাগুলো থেকে একটু আলাদা । তাই সবসময় সতর্কতার সাথে পা ফেলবেন । লবন নিয়ে যাবেন জোক আছে।
মনে রাখবেন সীতাকুন্ড থেকে বাসে বড়তাকিয়া ১৫-২০ মিনিট এর বেশি লাগেনা। সিএনজিতে আরেকটু বেশি সময় নেয়। আপনি সিতাকুন্ড থেকে সরাসরি সিএনজিতে “বড় তাকিয়া” বাজার বা লোকাল এ “বড় দরগার” হাট এসে , সেখান থেকে আবার “বড়তাকিয়া” বাজার যেতে পারেন। সকাল সকাল রওনা দিলে দুপরের মধ্যেই আবার সিতাকুন্ড ফেরত আসতে পারবেন।তবে আমার উপদেশ আপনি মিরশ্বরাই নামাই বুদ্ধিমানের কাজ,যদি শুধুমাত্র খৈইয়াছড়া ঝর্ণাই দেখতে চান।
ঝিরির শুরুতে হাতের ডানে সোহেল নামে একজন গাইডের বাড়ি আছে, যার মোবাইল নাম্বার – ০১৮৫২৪৮৩৯৯০।
আপনি ইচ্ছা করলে তার সাথে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে বাজার করার টাকা পাঠিয়ে দিলে ওর বাসায় খাওয়া দাওয়া ও বিশ্রাম করতে পারবেন । । আমি ওর মাধ্যমে খৈয়াছড়া ঝর্ণায় যাই, ওকে আমার অনেক হেল্পফুল মনে হয়েছে ।এছাড়াও মোটামুটি শিক্ষিত।যা সেখানে বিরল।
খইয়াছড়া আর সহস্রধারা (ছোট দারোগা হাটের টা ) একই দিনে দেখা সম্ভব। খইয়াছড়ায় ঔঠার সময় দড়ি থাকলে নামতে এবং উঠতে অনেক সুবিধে হবে। তবে না থাকলেও সমস্যা নেই , একটু কষ্ট হলেও মজা বাড়বে বই কমবেনা।
যাওয়ার পথ
খৈইয়াছড়া ঝর্ণা পর্যন্ত বর্ষা কালে যাওয়া যথেষ্ট দূর্গম সাধারণ মানুষের জন্য।যদিও যে কেউ এই দূর্গম পথ খুব সহজেই পাড়ি দিতে পারবে,এক জোকের সমস্যা ছাড়া।এই দূর্গম পথই আপনার আনন্দ বাড়িয়ে দিবে।অবশ্য বর্ষা কাল ছাড়া গেলে ঝর্ণার মধুর রূপটুকু মিস করবেন।কিন্তু বৃষ্টি না হলে পথ খুবই সহজ।
কোথায় থাকবেন?
বড়তাকিয়া বাজারে থাকার কোন হোটেল নেই।কিন্তু আপনি চাইলে চেয়ারম্যানের বাংলোয় উঠতে পারেন।সোহেলের বাসায়ও কষ্ট করে থাকতে পারেন।এছাড়াও আপনি ক্যাম্প করতে পারেন অথবা চট্টগ্রাম যেতে পারেন আবার সিতাকুন্ডে যেতে পারেন।
কি খাবেন?
সোহেলকে বলল,সে তার বাসায়ই খাওয়ার বন্দোবস্ত করবে।এছাড়াও সেখানে ২টি ভাতের হোটেল আছে এবং চায়ের দোকান আছে।ভাতের হোটেলে ভাত, মাছ এবং মুরগী প্রতিদিনই পাবেন।
কি কি নিতে হবে-
এখন খৈইয়াছড়ায়ই সব কিছু পাওয়া যায়।যেহেতু নিয়মিত টুরিষ্ট যাচ্ছে।এমন কি ব্যানসন সিগেরেটও সেখানে সহজলাভ্য এবং সাধারণ দামে পাওয়া যায়।তারপরও যা যা সাথে নেওয়া ভাল:
১) ব্যাগ- Bag
২) গামছা- Gamsa
৩) ছাতা- Umbrella
৪) রেইন কোর্ট- Raincoat
৫) অতিরিক্ত ০১(এক) সেট কাপড়- Extra One Set Cloth
৬) পানির বোতল- Water Bottle
৮) কেডস/ সেন্ডেল (Shocks )
৯) ক্যামেরা+ব্যাটারী+চার্জার (Camera + Films + Battery + Mamore Card + Charger
১০) পলিথিন (Polythene)
১৪) টিস্যু (Tissue/Toilet Paper )
১৫) ব্যক্তিগত ঔষধ (Personal Emergency Medicine )
১৬)একটা দড়ি নিয়ে গেলে অনেক কাজ দিবে মূল ঝরনার উপরে স্টেপ গুলা টপকাতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০০