সরকারি সব ডিপার্টমেন্টই দুর্নীতিবাজ তা সবাই জানে কিন্তুু প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতি আর অবহেলা যেনো সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে!বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই এমনকি অনেক বিদ্যালয় চলছে প্রধানশিক্ষক ছাড়াই!থানা শিক্ষা অফিসারেরও কোনো তদারকি নেই!শিক্ষকদের চরম অবহেলা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে!এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো পড়াশোনাই হয়না!শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি তো ওপেন সিক্রেট!এসব বিদ্যালয় এখন শুধু শিক্ষক নামের কিছু অযোগ্য লোকের বেতন তুলে পেট চালানোর মাধ্যম!পাঁচ থেকে আট লক্ষ টাকা দিয়ে চাকুরী নাও আর মাসে মাসে বেতনের টাকাটা তুলে পেট ভরাও,পড়ালেখা সব রসাতলে যাক শুধু স্কুলের সময়টা টাইম পাস করলেই হয়ে গেলো! এই হলো বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বাস্তব অবস্থা!তবে হ্যাঁ এই সুযোগে বউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করে মাসে মাসে নগদ টাকাটা তুলে আনতে পারায় প্রাইমারী শিক্ষিকা বউ থাকাটা একটা সামাজিক স্ট্যাটাসে দাঁড়িয়ে গেছে!এমনকি টাকা পয়সা ঘুস টুস দিয়ে মেয়েকে একটা প্রাইমারি স্কুলে চাকুরী নিয়ে দিতে পারলে বিয়েতে বেশ মোটা অঙ্কের যৌতুক দেয়া বেঁচে যান কন্যার পিতা!বাজারে এখন প্রাইমারি চাকুরে বৌয়ের বেশ কদর!আমিও ভাবছি আমারো এমন মাসে মাসে সোনার ডিম পাড়া একটা রাজহাঁস চাই!বেতন তো আর কম নয়! পনেরো হাজার তো হবেই কমপক্ষে!অনেকে তো আরো এককাঠি বাড়া!শোনা যায় নিজে বাড়িতে বসে থেকে চার পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়াটে লোক দিয়ে চাকুরী করিয়ে নেয়!ভালো না?এদিকে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক শিক্ষিকাই নিজের সন্তানকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ায় না!সবাই বাচ্চাদের ভর্তি করায় কিন্ডার গার্টেন স্কুলে!এই অবহেলার সুযোগে যত্র তত্র ব্যাঙের ছাতার মতোই গজিয়ে উঠছে কিন্ডার গার্টেন স্কুল!এভাবে চলতে থাকলেই দেশটা চমৎকার এগিয়ে যাবে,তাই না?বেশ ভালোই তো চলছে..
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২১