সন্ধ্যা ৭টা। এক বয়স্ক ভদ্রলোক ঢাকা ইউনিভার্সিটির মধ্য দিয়ে হেটে যাচ্ছে। সাথে একটা ব্যাগ। চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ। সম্ভাবত অনেক দূর থেকে এসেছেন। তাকে দেখেই পুলিশ ডাক দিল। পুলিশের ডাকে সাড়া নিয়ে নিশ্চংকোচে পুলিশের কাছে আসল। কাছে আসা মাত্র এক পুলিশ সদষ্য তার হাত ধরল। আর একজন বলল, “ কই যাইতেছিলি? তোরেইতো আমরা খুজি। ধর সালারে। গাড়িতে তোল। ” পুলিশের কথা শুনে লোকটা আর বুঝতে বাকি থাকলো না পুলিশ কেন তাকে ধরেছে আর কেনই বা গাড়িতে তুলতে চাচ্ছে। জামাতের লোক মনে করেছে। আর মনে করবেইনা কেন তার যে মুখে খুব সুন্দর দাড়ি আছে। লোকটার রাগান্বিত হয়ে পুলিশের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, “আরে আমাকে ধরছেন কেন? আমি বার্ডেম থেকে বাসায় যাচ্ছি। সাথে ব্যাগে রুগির কাপড় চোপড়।”
অন্য এক পুলিশ বলল, “তুই বার্ডেম থেকে যাচ্ছিস না কোথা থেকে যাচ্ছিস আমরা ভালই জানি। ঐ ওরে গাড়িতে তোল। দাড়ি থাকলেই হইল।”
এবার লোকটা খেপে গিয়ে বলল, “এই হারামির বাচ্চারা তোদেরকি এমন কারো বাপ নাই যার মুখে দাড়ি আছে? দাড়ির লেবাস দেখলেই তোরা জামাত ভাবিস কেন। তোদের মন থেকে কি খোদার ভয় উঠে গেছে। আমি আরমির রিটায়ের্ড পার্সন। তোদের মত কুলংগারদের জন্য আর ইসলাম ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের জন্য মুসলমান আজ তাদের ধর্ম পালন করতে পারছে না। দাড়ি রাখতে ভয় পাচ্ছে।”
লোকটা তার পরিচয় পত্র বের করে দেখাল। পুলিশগুলো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। কারো মুখ থেকে কোন কথা বের হল না। অবশেষে এক পুলিশ অফিসার কাছে এসে বলল, “স্যার সরি! আসলে আমরা সবাই খুব এত চাপের মধ্যে আছি যে নিজেদের বোধ বালাই নষ্ট হয়ে গেছে।”
লোকটা চলে গেল।
চলবে...