আর এই মুসলমানদের ছেলেরা আজ পরিনত হয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ী আর আর ধর্মহীনদের শিকারে।
প্রথমেই আসি ধর্ম ব্যবসায়ীদের কথায়। আর তাদের প্রথম সারীতে আছেন ছাত্র শিবির।যা মূলত জামাতি ইসলামদের মূল শক্তি।এরা না হলে জামায়াতের অস্তিত্ব হয়ত হারিয়ে যেত।
ছাত্র জীবন শেষ করার পরে ছাত্র শিবির শেষ,তার পর যোগ দেওয়া হয় জামায়াতি ইসলামিতে।
স্কুল কলেজের কিছু মেধাবী ছেলেরা প্রথমে এদের টার্গেটে পরিনত হয়।ঐসব ছাত্রদের দেখবেন তারা ইসলম ধর্মকে ভালবাসে কিন্তু দ্বীন ইসলমের জ্ঞান তুলনা মূলক ভাবে কম।
আল কোরানের দুই একটা আয়াত তাদের সামনে পেশ করা হলে বা আল্লাহর রাসূলের হাদীস তাদের সামনে পেশ করা তারা তা মেনে নেয়।আর ছাত্র শিবিরের কর্মীরা বা সাথীরা তাদের সাথে আন্তরিক ব্যবহার করে।যা তারা অন্যান্য দল থেকে পায়না।তখন তারা এই দলটিকে ভাল মনে করে ধীরে ধীরে তাদের দলভুক্ত হয়ে যায়।তারপর চলতে থাকে মগজ ধোলাই।
এবার আসি ধর্মহীন নাস্তিক কথায়।
এদের প্রভাব তুলনা মূলক ভাবে স্কুলের চাইতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েই বেশী।এদের টার্গেটে যারা পরিনত হয় তারাও দ্বীন ইসলামের জ্ঞান তুলনা মূলক ভাবে কম ।হয়ত দেখবেন সেই ছেলেটি নামাজ পড়ত।রোযা রাখত।অনেক সূরা ও মুখস্ত আছে।তাকে তারা বলবে আল্লাহকে তো বিশ্বাস কর কিন্তু আল্লাহ কই।তাকে তো দেখা যায়না।তার কথা শোনা যায়না।তাকে স্পর্শ করা যায়না।ধর্ম বলে খোদার হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়েনা।তো আমি তোমাকে একটা থাপ্পড় দিলাম বল তো এটা কে দিল।এরে এটাতো আমি দিলাম।তাছাড়া দেখ এখন একুশ শতাব্দি।বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির যুগ।ধর্মের আর কি দরকার আছে।পশ্চিমার উন্নত দেশগুলোকে দেখ ধর্ম ছেড়ে দিয়ে তারা কত উন্নত হয়েছে।আর মোল্লা মৌলভিদের দেখ কত পেছনে আছে।তারপর মোল্লা মৌলভিদের কিছু খারাপ কার্যকলাপ তার সামনে তুলে ধরা হয়।তা কিন্তু বাস্তব সত্য।তারপর ঐ ছেলেটি হারিয়ে যায় ধর্মহীনতার মাঝে।চলতে থাকে তার মগজ ধোলাই।
যাই ছেলেটি আগে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করত সেই ছেলেটিই তারপর বলে মসজিদের এই দাড়িওয়ালা লোকগুলোই সকল রাষ্ট্রদ্রোহী কর্ম কান্ডের হোতা।
আমরা মুসলমানরা যদি এইসব ষড়যন্ত্র থেকে বাচতে চাই,আমাদের আগে জানতে হবে আমাদের দ্বীন ইসলামের পরিপূর্ণ জ্ঞানকে।অল্প জানলে আমরা এই ধর্ম ব্যবসায়ী ও ধর্মহীনদের শিকারে পরিনত হব।
সর্বশেষ একটা কথা বলতে চাই।
মোল্লা মৌলভিদের বা হুজুরদের দিয়ে আপনারা ইসলামকে বিচার করবেন না।ইসলাম বিচার করতে হলে দেখুন রাসূলুল্লাহ (স) ও তার সাহাবাদেরকে,সহীহ কোরআন ও হাদীসের ভিত্তিতে।
কারো মনগড়া লিখার মাধ্যমে নয়।বা জাল দলীলের মাধ্যমে নয়।
একবার এক পশ্চিমা লেখক শাইখ আবদুল্লাহকে জিজ্ঞেস করল ,
জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলমানরা কেন আমাদের চেয়ে অনেক পিছনে।
শাইখ আবদুল্লহ মাত্র দুটো কথা বললেন যে,তোমরা ও ছেড়ে দিয়েছো আর আমরা ও ছেড়ে দিয়েছি।
তার মানে তোমরা তোমাদের ধর্মকে ছেড়ে দিয়েছো যা বিজ্ঞান চর্চায় বাধা দেয়।আর আমরা মুসলমানরাও আমাদের ধর্ম ছেড়ে দিয়েছি যা আমাদের বিজ্ঞান চর্চায় উত্তসাহিত করে।
বিঃদ্রঃ -কাউকে আঘাত করে নয় আমার এই পোষ্টি।
আর এটা ব্লগ অল্প কথায় লিখে দিলাম তাই কেউ দোষ খুজবেন না দয়া করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৫০