কবিতাটি সামহয়্যারইনব্লগডটনেট এর ব্লগার খায়রুল আহসান সাহেবের পরামর্শের প্রতিফলন হিসেবে লেখা। আজ সকালে দুটো অনুকাব্য পোস্ট করেছিলাম; উনি মন্তব্যে বলেছিলেন যে দুটো অনুকাব্যকেই বাড়িয়ে একটি করে কবিতাই লেখা যেতো। তাঁর মূল্যবান পরামর্শের মর্যাদা স্বরূপই এখনকার কবিতাটি।
কথা ছিলো, দূর ছায়াপথ পাড়ি দেবো খালি পায়ে হেঁটে
দুজনের গায়ে পরা সাদা জামা ধূলো মেখে হবে মেটে।
কথা ছিলো, কাটবো সাঁতার তুমি আর আমি ঐ আকাশ গঙ্গায়।
বৃষ্টি শেষে রামধনুকের নাও সাজিয়ে, চড়ে দুজনে সে ডিঙায়,
ভেসে বেড়াবো ভাবনাবিহীন আনমনে, অচেনা-মেঘের দেশে।
মন পবনের উদাস-গানে, অদেখা-স্রোতের টানে, হেসে হেসে
ভেসে ভেসে। কথা ছিলো, তারাদের খই শাড়ীর আঁচলে লুকিয়ে
লয়ে তুমি আসবে আমার অভিসারে, জননীর চোখ ফাঁকি দিয়ে।
পূর্ণিমা তিথির চাঁদটাকে পেড়ে, গোধূলিবেলার আবিরের-রঙ মেখে,
মেঘেদের রঙে আলতা লাগিয়ে, কনক-রঙা তোমার ললাটে এঁকে
দেবো। এতোসব দেখে ঈর্ষায় কাতর প্রভাকর পুড়ে পুড়ে শেষ হবে।
আমাদের প্রেমের ইতিহাস সে আকাশের দেবতারে নবিস্তারে কবে।
শুনে সে কাহিনী সূর্যের কাছে, মুচকি হাসিয়া, কহিবেন আকাশের নৃপ,
‘শোনো দুঃখ করোনা বৎস, আজি হতে তুমি মহাবিশ্বে আলোর প্রদীপ”।।