![]()
অর্থাৎ এই অংশটি অপরাধীদের অপকর্মের সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করছেন এবং নাশকতাকারীদেরকে এ সকল অন্যায় কাজে উৎসাহিত করছেন। এমনি একটি ঘটনাস্থল থেকে দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতঃপর আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করা হয় অতঃপর সর্বশেষ রিমান্ড বাতিলও করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা অবরোধকারীদেরকে ককটেল ফোটানোর ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও অনেক নাশকতার বিষয়ে সাংবাদিকদের আগে থেকে জানতে পারার ঘটনাটি কেউই অস্বীকার করতে পারবে না। সাংবাদিকদের জটলা দেখলে আগে থেকেই অনুমান করা যায় যে আশপাশে কোন বড় ধরনের কিছু ঘটতে যাচ্ছে। এই ভীড় দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নাশকতার গন্ধ খুঁজে পান। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকতায় সুস্থতা কামনাকারী বেশ কয়েকজন সাংবাদিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এসকল কাজে সাড়া দেওয়ার একটি উদ্যোগও নিয়েছিলেন। তাই এ বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ার মত নৈতিক সাহস সংবাদ মাধ্যমের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তিরই নেই।
এ সকল ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের কারণে সংবাদ মাধ্যমের মত এমন একটি মহৎ পেশায় নিজেদেরকে জড়িত করে আমরা নিজেরাও আজ লজ্জিত। কারণ এর দায় আমাদের উপরও পড়ে। আমরা যদি এ সকল কাজকে নিরুৎসাহিত করি তাহলে এগুলো হ্রাস পাওয়ার কথা। প্রকৃতপক্ষে আমাদেরকে চাঞ্চল্যকর সংবাদ নয়, সংবাদের সঠিক চিত্রটি তুলে ধরাই প্রধান কাজ হওয়া উচিত। মিথ্যা সংবাদ লিখে কিংবা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ঘটনার সাথে কল্পনা যোগ করে সংবাদপত্রের কাটতি বাড়ানো যায় বটে, কিন্তু তা সততার পথ নয়, কোনমতে উচিতও নয়। এটা সাংবাদিকতার পর্যায়ে পড়ে না। সাংবাদিকতায় বর্তমানে যে ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে তা চলতে থাকলে একসময় মানুষ সংবাদপত্র কিংবা সাংবাদিকদের প্রচারিত খবরের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে। এমতবস্থায় আমাদের নীতি হওয়া প্রয়োজন- সাংবাদিকতায় থেকে হয় সত্য বলবো নয় এই মহান পেশাটিকে ছেড়ে দেব। কারণ, মুখে সততার কথা বলে প্রকারান্তরে মিথ্যার সাথে আপস করে একে কলঙ্কিত করার কোন অর্থ থাকতে পারে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



