গত কয়েকদিন ধরে বেশ ঘটনাবহুল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। বিরোধীদলের হরতালে বিপর্যস্ত হওয়ার পর সবেমাত্র মানুষ একটু স্বস্তির মধ্যে পড়েছে। হঠাৎ তারেক রহমানের রায় ঘোষণার সংবাদে ১৬ তারিখ থেকেই মানুষের মনে আবারও আতঙ্কের ঘনঘটা শুরু হলো। বিরোধী দলীয় নেতাদের কথাবর্তায় মানুষ বুঝে গেল আবারও একটি লাগাতার হরতালের মধ্যে আমরা পড়তে যাচ্ছি। ১৭ তারিখ সকাল পর্যন্তও রাজধানী ঢাকাসহ, বগুড়া ও দেশের বেশকিছু স্থানে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নী-সংযোগ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা জানান দিল সামনে আরেকটি ভায়বহ দিনের। রায় ঘোষণার পর ম্যাজিকের মত সব পাল্টে গেল, শুরু হলো মিষ্টি খাওয়া-খাওয়ির পালা। যদিও ইতোমধ্যে যাদের ক্ষতি হওয়ার কথা তাদের ক্ষতি হয়েই গেছে যা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ছাড়া আর কারো মনেও নেই। এমতাবস্থায় স্বল্প ক্ষতির বিনিময়ে মানুষ একটু স্বস্তি ফিরে পেল এই ভেবে যাক, সহসাই হয়তো আর হরতালের নৈরাজ্যের মধ্যে পড়তে হচ্ছে না, কয়েকদিনের জন্য আগুনে পুড়ে মরার আতঙ্ক থেকে বাঁচা গেল। এরই মধ্যে বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ এরশাদ হাটহাজারীতে ধর্ণা দিয়ে ব্যর্থ মনোরথে ফিরে এলেন। যদিও তাকে নিয়ে মানুষ খুব বেশি আশাবাদীও নয় আবার চিন্তিতও নয়।
এরই মধ্যে সাত সাগরের ওপার থেকে আগত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিশা দেশাই বিসওয়াল সরকার, বিরোধীদল, সুশীল সমাজ, গার্মেন্ট মালিকসহ বিভিন্ন সেক্টরের নেতানেত্রীদের সাথে একদিনের মধ্যে যেভাবে দৌঁড়-ঝাঁপ করে বেড়ালেন; যেভাবে সকল দলের নেতানেত্রীবর্গ ঐ মার্কিন মুল্লুকের কৃপা দৃষ্টির জন্য তার কাছে ছুটে গেল, তাতে জনমনে স্বস্তির আরেকটু সুবাতাস বইতে লাগলÑ হয়তো একটা নিশার মাধ্যমে সমাধানের দিশা শেষ পর্যন্ত আসছে। কিন্তু এই স্বস্তি আর বেশিক্ষণ টিকল নাÑ রাতে যখন প্রকাশ হল ১৮ তারিখ বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রীরা শপথ গ্রহণ করবেন এবং তার মধ্যে বিএনপি নেই, তখন জনমনে একটা জল্পনা কল্পনার একটা নতুন আবহের সাথে স্তিমিত হরতালের সম্ভাবনা আবার জেগে উঠল। এসব দেখে চিকিসকদের সেই অমরগাঁথা কীর্তির কথাই মনে পড়ে; অপারেশন সাকসেসফুল তবে, শুধু গজ-ব্যান্ডেজ রয়ে গেল ভিতরে।
এবার এই গজব্যান্ডেজ বের করতে কাটার উপর আবারও কাটার প্রয়োজনীতা দেখা দিতে পারে। ওদিকে রোগীর অবস্থা কিন্তু ভাল নয়। তাছাড়া অপারেশনটি এদেশীয় ডাক্তারের হাতে হচ্ছে না বলে ডাক্তার যতœসহকারে অপারেশন করবে নাকি নির্দয়ভাবে কাটাকুটি করবে তা নিয়েও সন্দেহ রয়েই গেল।
অপারেশন সাকসেফুল, শুধু গজ ব্যান্ডেজ ভিতরে
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।
কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।
ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।
কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।