somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খালেদা জিয়ার আজকের বক্তব্যে "ছোট পেশার" প্রতি তার অবজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে:রাগ এবং আনন্দের মধ্যেই মানুষের প্রকৃত রূপ ফুটে উঠে!!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খালেদা জিয়া রাগের স্বরে প্রেসের সামনে যে কথা গুলো বললেন তা শুনে বেশ অবাক হলাম। আমি স্বীকার করছি তার রাগার যথেষ্ট কারণ আছে। রাগের মধ্যে এবং হাসির মধ্যেই একজন মানুষকে ভালোভাবে জানা যায়। তখনই একজন মানুষের ভেতরের রূপ ফুটে উঠে। খালেদা জিয়ার ভেতরেও যে প্রতিহিংসা গুমরে কেঁদে উঠছে তাই আমরা প্রত্যক্ষ করলাম। মানে এটাই: উনিও তাদেরকে চোখের পানি আর নাকের পানি এক করবেন। আমার কাছে উনার যে জিনিসটাকে খুব খারাপ লাগলো তাহলো: পেশাকে ছোট করে দেখা। পরিচিত জনের কাছ থেকে আগে জানলেও খুব একটা বিশ্বাস করতাম না উনি অহংকারী। উনি খুব একটা খেয়াল করেন না বাড়িতে কে কাজ করছে: তার নাম কি: বা গেইটে কে দায়িত্ব পালন করছে: সে খেয়েছে কিনা এসব। বিপরীতে শেখ হাসিনা নাকি বাসায় ঢুকতে এবং বের হতে গার্ডদের নাম ধরে ডাকেন: খেয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন।

মেজরের বউ থেকে রাজনীতিতে এসেছেন তাও কম দিনের নয়। কিন্তু তিনি এখনো মনে হয় "ব্লাডি সিভিলিয়ান" থিওরী থেকে খুব একটা বের হতে পারেন নি। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে যে ভাষায় কথা বলেছেন সেটা খুবই বেদনাদায়ক। পুলিশ কনষ্টেবলরা না হয় ছোট চাকুরী করে তাই বলে তাদেরকে এমন ধমক? যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল হক এই রকম ভাবে কর্মচারিদের প্রেসের সামনে নাজেহাল করতেন তখনো আমি কষ্ট পেয়েছি। মানুষের ব্যবহার কতটা ভালো সেটার মাপকাঠি হলো -তিনি তার সিনিয়রদের সাথে বা ধনীদের সাথে কি রকম ব্যবহার করেন সেটার উপরে নয় , তিনি তার অধস্তন অথবা গরীবের সাথে কেমন ব্যবহার করেন তার উপর। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন পুলিশরা আসলে ভিক্টিম। তাদের চাকুরী বাঁচাতেই তারা উপরের নির্দেশ পালন করে। তার দুই আমলেই একই কাজ করতে হয়েছে পুলিশকে।

খালেদা জিয়াও জানেন কেউ বুঁকের পাঠা দেখাতে তার বিরুদ্ধে যায়নি। বাংলাদেশে কেউ এতটা বুকের পাঠা তৈরী করে নাই যে খালেদা হাসিনার বিরুদ্ধে সরাসরি কোন কিছু করবে। উনারাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দায়াময়ী উনারাই সবচেয়ে গড় মাদার। পুলিশের মেয়েটিও জানেন কয়েকদিন পরেই উনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তাই তিনি চরম অপমান সহ্য করেছেন এমনকি নিজ জেলা তথা মাতৃ জেলার নামে কেউ কিছু বললে সেও প্রভুকড হতে পারেন। দ্বিতীয় বারের মত তিনি উচ্চারণ করলেন বেয়াদব শব্দটি। আরেকবার সংসদে উচ্চারণ করে সমালোচনার মধ্যে পড়েছিলেন। এর আগে শেখ হাসিনার সাথে ফোনালাপেও আমরা বুঝতে পেরেছিলাম হাসিনার থেকে খালেদা জিয়া মোঠেই কম নন। আরেকটা ব্যাপার হলো শেখ হাসিনা অপ্রস্তুত অবস্থায় বেশী বার প্রেস ফেস করেন ।আনুপাতিক হারে খালেদা জিয়া খুব কম প্রেস ফেস করেন যার কারণে মনে হওয়া স্বাভাবিক হাসিনা বেশী মুখরা অথবা বেশী বেফাঁস কথা বলেন। কিন্তু আপনারা দেখুন যতবারই খালেদা জিয়া লিখিত বক্তব্যের বাইরে বক্তব্য রেখেছেন তত বারই বেঁফাস কথা এবং দম্ভ এবং অহংকার প্রকাশ করেছেন। তারপরে আমি মানুষের যে পারসেপশন সেটাকে শ্রদ্ধা করে বলবো শেখ হাসিনার থেকে উনি কম বলেন। শেখ হাসিনার সাথে খালেদার তফাৎ আকাশ পাতাল নয় উনিশ বিশ হতে পারে।

আমার অবাক হবার অন্য কারণ গুলা হলো- একটি জেলা সম্পর্কে উনি যে ভাষায় কথা (গোপালী)বলেছেন সেটা আগামীর একজন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেশ আশংকার। বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের জন্য যেখানে আমরা শেখ হাসিনার সমালোচনা করছি সেখানে তিনি একটি জেলার নাম পরিবর্তন কর ফেলবে ? আমি ধরে নিলাম সেটা তার রাগের কারণে বলা সেটা তিনি কখনো করবেন বলে মনে হয় না। কিন্তু এটা না করলেও আমরা যে আগামী বছর গুলাতে প্রতিহিংসার আগুনের বলি হবো সেটাতে কোন সন্দেহ নাই।
আমি একজন আওয়ামী সমর্থক বলেই কিনা জানিনা আমার কাছে তার ভাষণটি বেশ পীড়া দায়ক হয়েছে । আমি মাইনাস টু ফর্মুলা তথা বিরাজনীতির পক্ষে নই। কিন্তু মনে মনে বলি দু নেত্রীর ক্ষোভের আগুনেই কি জ্বলছে বাংলাদেশ তার মানুষ তার গরু মহিষ?
১৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×