somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"তত্বাবধায়ক" যে কারণে সমাধানও নয় -আর সম্ভব ও নয় ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক দেশে ছিল এক রাজা । তার ছিল এক বয়স্ক উজির। বয়স্ক উজিরের হয়েছে আবার ভীমরতি। যতই বয়স বাড়ছে ততই টাকার লোভ পেয়ে বসেছে উজিরের। রাজা অনেক চেষ্টা করে কাজ বদলিয়েও দেখেছেন কিন্তু কোন কাজ হয় না। চাকুরী থেকে বাদ দিতেও পারছেন না । তাই রাজা বললেন উনাকে সমুদ্রের ঢেউ গুনতে পাঠিয়ে দাও। সেখানে সে নিশ্চয় টাকা কামানোর কোন সুযোগ পাবে না। কিন্তু উজির ঠিকই বের করে ফেললেন কেমনে টাকা কামানো যায়! উপকুল গামী জাহাজ গুলাকে তিনি নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করলেন । বললেন দিনের বেলা কোন জাহাজ চলতে পারবে না ,ঢেউ গুনতে সমস্যা হয়। জাহাজ মালিকরা উপায় না দেখে উজির কে খুশি করে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখলেন। সে কথা যখন রাজার কানে যায় তখন রাজা এবার তাকে কাজ দিলেন রাতের তারা গুনার। কিন্তু সেখানেও তিনি বিমানওয়ালাদের থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা কামাই শুরু করলেন—
গল্পের সারমর্ম হলো -অসৎ মানসিকতা ভালো সিস্টেমেও পরিবর্তন আনে না । কয়লা পরিস্কার সেটা বাংলাওয়াশেও সম্ভব না ।

যখন তত্বাবধায়ক ব্যবস্থার কথা প্রথম উচ্ছারিত হয় তখন আমরা খুব উৎসাহ নিয়ে বলেছিলাম- ভালো সিস্টেমতো!! সাংবিধানিক আইগত গভীর দিকটাকে উপেক্ষা করেও আমরা মনে করেছিলাম এটা বাংলাদেশের ইউনিক আবিস্কার।

কিন্তু দিন যায় মাস যায় আমাদের ক্ষমতাসীন উজিরেরা কিন্তু বসে নাই । শুধু মাত্র 5 বছরের শাসনে তারা সন্তুষ্ট নয় । পরের 5 বছরের জন্যও তাদের চাই জিতে আসার। জনতাকে বিশ্বাস করা আর ফুটো বালতিতে পানি ঢালা এক কথা । জনতা ভোট দিলেতো ভালো -না দিলেও যেন ক্ষমতা,এস এস এফ, শুল্ক মুক্ত গাড়ি এবং সম্ভাব্য হামলা-মামলা ঠেকানো যায় তার চিন্তা করলেন। বের করলো তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা কোন জায়গা থেকে হয় । নির্বাচন পরিচালনা কারা করে। বিজ্ঞ ব্যারিষ্টারেরা কাগজ কলম এবং ক্যালেন্ডারের পাতা ধরে অংক করতে বসে গেলেন। কোন বিচারপতির বয়স কতো? কোন বিচারপতি আমাদের হয়ে কাজ করতে পারে? যেই ভাবা সেই কাজ ! বাড়িয়ে দিলো আস্থাভাজন বিচারপতির চাকুরীর বয়স। শুরু হয়ে গেলো বিচারালয়ে দলীয় করণ। প্রধান উপদেষ্টা নিজেদের -এটা ভেবেই আমাদের উজিরেরা বসে থাকে তা কিন্তু নয় । চিফ ইলেকশন কমিশনার ,সারা দেশের 300 জন রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতিও তাদের সুনজর থাকে । কোন জায়গাতেই ফাঁক রাখা চলবে না। বাড়িয়ে দাও এম এ হাসানের চাকুরীর বয়স 3 বছর, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দাও 300 জন দলীয় কর্মী। প্রশাসন সাজাও তিন স্তরে। সচিব -সহকারী সচিব, যুগ্ন সচিব সব আমাদের মার্কা চাই। রাজা প্রজারা আবারো ভাবনায় পড়লেন এত কষ্ট করে বুদ্ধি বের করেও উজিরের বুদ্ধিতে এবং করিৎকর্মায় প্রজাদের কপালে সুখ সইলো না বেশীদিন।

রাজার আর বয়স্ক উজিরের এই ইঁদুর বিড়াল খেলার ফাঁকে টম উদ্দিন এবং জেরী উদ্দীন এসে হাজির। বললেন বয়স্ক উজির বরখাস্ত এবং সেই সাথে রাজাকেও মাইনাস করা হলো। টম উদ্দিনের গায়ে ছিল ডাবল কালার সার্ট- সামনেরটা সাদা। পিছনেরটা জলপাই রঙের। কোনটা আসল কালার সেটা বুঝতে বুঝতে প্রজাদের কেটে গেলো পাক্কা দুই বছর।

আবার শুরু হলো তত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে নিয়ে নতুন করে ভাবার। ভাববেন আর মৌকা খুঁজে পাওয়া যাবে না এমনতো না! আদালতের বারান্দায় এখন তত্বাবধায়ক। নিয়োগ হলো এমিকাস কিউরী – কেউ একজন বেশ স্পষ্ট করেই বললেন – তত্ববধায়ক হলো রাজনৈতিক দল সমুহের অসততার চুড়ান্ত দলিল। অন্য এমিকাস কিউরী গুলার বক্তব্যও গুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা তবে শেষে শুনালেন অমর কবিতাখানি। কবিতার শিরোণাম -“ডকটিন অব নেসেসিটি”। সব এমিকাস কিউরীদের বক্তব্য একজায়গায় করলে মোটা দাগে যেটা বলা যাবে সেটা হলো- তত্বাবধায়ক ব্যবস্থাটা সংবিধানের মুল কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক হলেও বাস্তব প্রেক্ষপটে সেটার দরকার আছে।

প্রথম দিকের সংক্ষিপ্ত রায়ের অবজারভেশনে বলা হয়েছিল – সাংসদ মনে করলে আরো দুই টার্ম রাখা যেতে পারে।
এই খানে আমার একটা শিশু সুলভ প্রশ্ন রেখে যেতে চাই – যেটা খারাপ,সেটা আবার রাখবে কেন? আর দুই টার্ম পরে আবারো লগি বৈঠা দা কুড়াল কাস্তে নিয়ে বের হয়ে যাবো? অনেকটা এই রকম- খুন করা খারাপ ;কিন্তু খুনিকে বাঁচাতে হলে তাকে আরো দুইটা খুন করতে দিতে হবে। এই দুইটার পরে খুনিকে কোন রিহেভিলেশন সেন্টারে রাখা হবে সেটা অজানা। আবার অনিশ্চয়তা : আবারা টেউ গুনা অথবা তারা গুনা।

যে অনিবার্ষ কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল হলো:
তত্বাবধায়ক সরকারের কথা আসলেই যে কোন আইনবিধ যেই কথাটা বলেন সেটা হলো ব্যবস্থাটা গণতন্ত্রের সাথে না গেলেও ডকটিন অব নেসেসিটির কারণে বাংলাদেশে দরকার আছে। কিন্তু গণতন্ত্র চর্চার 40 বছর পরও কেন ডকটিন অব নেসেসিটির কথা আসবে? কারা তৈরী করলো ডকটিন অব নেসেসিটি? কেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চলমান প্রক্রিয়ায় মধ্যে একটা অগনতান্ত্রিক ব্যবস্থা ঢুকিয়ে দেয়া হলো? যে কোন সিস্টেমে বিচ্যুতি মানেই অসংগতি। সেই অসংগতিকেই কেন আবার আইনের দোহাই দিয়ে বৈধ করণ?

যেহেতু রায়টি অনেক বড় এবং ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে তাই আমি খুব সংক্ষেপে কিছু লিখা কোড করছি আশরাফ -উল-আলমের (কালের কন্ঠের রাজকুটে লিখিত)

1) ত্রয়োদশ সংশোধনী রাষ্টের ভিত্তি ও সংবিধানের মুল কাঠামো খর্ব করেছিল বিধায় তা বাতিল করা হয়। ত্রয়োদশ সংশোধনী কিভাবে রাষ্ট্রপতির কার্যক্রমে আমুল পরিবর্তন এনেছিল সেটা রায়ে দেখানো হয়েছে। সংবিধানে রাষ্ট্রপতি হলো বাংলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান(অলংকারিক)। তিনি রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান নন। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ ও পদত্যাগ পত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে অন্য সব দায়িত্ব পালনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নেবেন। এটাই সাংবিধানিক পরিকল্পনা। কিন্তু ত্রয়োদশ সংশোধনী কার্যকর হলে তাঁর ভুমিকায় আমুল পরিবর্তন হয়। সাধারণ ভাবে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগুলোর সর্বাধিনায়ক হলেও আইন দ্বারা তাঁর প্রয়োগ নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রকৃত নির্বাহী ক্ষমতা রাজনৈতিক সরকারের উপরই ন্যস্ত থাকে কিন্তু ত্রয়োদশ সংশোধনী কার্যকর থাকা কালে তিনি সরকারের নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। অথচ সাধারণ সময় দায়িত্ব পালনরত প্রতিরক্ষামন্ত্রী একজন জনপ্রতিনিধি। রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ পদের অধিকারী হলেও তিনি সরাসরি প্রজাতন্ত্রের নির্বাচিত প্রতিনিধি নন। মুল সংবিধান প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত করেনি।কাজেই ত্রয়োদশ সংশোধনী এ ক্ষেত্রে সংবিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপুর্ণ।

2) সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের কার্যকালে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী বা তার প্রতি স্বাক্ষর গ্রহণান্তে কাজ করার বিধান গুলো অকার্যকর করেছিল। কাজেই ত্রয়োদশ সংশোধনী এ ক্ষেত্রে সংবিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপুর্ণ।

3)ত্রয়োদশ সংশোধনীর 58খ অনুচ্ছেদের (2) দফা অনুযায়ী নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার যৌথভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে দায়ী থাকবেন। কিন্তু সাধারণ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীসভার সদস্য তাঁদের কাজের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দায়ী থাকেন না। তারা দায়ী থাকেন সংসদের কাছে। অর্থ্যাৎ জনগনের কাছে দায়ী থাকেন। এটিই গণতান্ত্রিক রীতি ও নীতি। এ অবস্থায় নির্দলীয় সরকার আমলে মুল সংবিধানের শর্তে বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌমত্ব খর্ব হয় এবং জনগণের সার্বভৌমত্বের পরিবর্তে রাজার ন্যায় রাস্ট্রপতি সার্বভৌম হন এটা সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থী ও সাংঘর্ষিক।

তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সংবিধানের 58 খ(4) অনুচ্ছেদের আওতায় নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর তথা জনগণের ভুমিকা অনুপস্থিত থাকে। এটা মুল সংবিধানের মৌলিক আদর্শ ও নীতির সঙ্গে সম্পুর্ণ সাংঘর্ষিক। গণতন্ত্রকে অনুপস্থিত রেখে তা যত স্বল্প সময়ের জন্যই হোক না কেন, কোন ব্যবস্থাই সংবিধানিক হবে না ।

4)এ ছাড়াও সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হবে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে। ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয় সেই সরকার জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। উপরোক্ত আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে অনির্বাচিতদের নিয়ে গঠিত তত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানের মুল কাঠামোকেই ভেঙ্গে ফেলে। সুতরাং এটা আমার মনে হয় না আর একবারের জন্যও সংবিধানের সাথে যুক্ত হবে। বর্তমান সরকার যদি চাপে পড়ে পুনরায় এই ধরণের সরকার গঠনের আইন পাশ ও করে ফেলে সে ক্ষেত্রে যে কেউ আদালতে চেলেন্জ করলে সেই আইনটি বাতিল হয়ে আবারো জটিলতা সৃষ্টি করবে। এই দেশটার মালিক জনগন আর তাই এই দেশটার নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। সব জনগণের পক্ষে রাষ্ট্র চালানো সম্ভব নয় বলে তারা 300 আসনে ভাগ হয়ে নিজেদের কিছু প্রতিনিধি পাঠায়। এক এক জন প্রতিনিধি মানে এক একটি এলাকার সামষ্টিক জনগণ। জনগণের মালিকানা প্রতিষ্টিত হয় অথবা জনগণের শাসন প্রতিষ্টিত হয় সাংসদ কার্যক্রমের দ্বারা । জনগণের এই মালিকানা চলমান (কনটিনিউটি) রাখতে হলে সব সময় জনগণের প্রতিনিধিদের শাসন কার্যকর থাকতে হয়। একটা নির্বাচিত সংসদ আরেকটা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিলেই জনগনের শাসন বিরামহীন থাকে মাঝ খানে কোন উদ্দিনীয় শাসন আসে না।

লিখাটা অনেক দীর্ঘ হয়ে গেলো । আর বাড়াতে চাই না। আমার লিখায় আমি দেখাতে চেয়েছি- তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা যখন ছিল তখনও এটাকে কলুশিত করার সব রকম প্রচেষ্টা ছিল এবং এর ভালো দিক গুলা কিভাবে অকার্যকর থাকে সেটা নির্বাচিত সরকার গুলা বেশ কার্যকর ভাবেই চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তত্বাবধয়ক সরকারের আরো দুটি দুর্বল দিক হলো- বাংলাদেশে কখনোই তারা লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরী করতে পারেনি সব দলের জন্য। তত্বাবধায়ক যেদিন শপথ গ্রহণ করে সে দিন মাঠে থাকে বিরোধী দল। আর সরকারী দল হয়ে যায় বাপ -মা মরা এতিম। শপথের দিন থেকেই নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত বিরোধীদলই মাঠ কাঁপায় এবং অঘোষিত ভাবে বিরোধী সিন্ডিকেটই নির্বাচনে জিতে আসে এবং আসবে। আরেকটা হলো নির্বাচিত সরকারের শেষ বছরে তারা প্রশাসনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। কারণটা স্বাভাবিক – এ দেশে পরপর একই দল ক্ষমতায় আসে না। সারা বছর কোরমা পোলাও খাওয়ালেও মনে হয় সম্ভব না। তাই শেষ বছরে প্রশাসন হয়ে যায় গা ছাড়া।

মোটা দাগে বলতে চাই আমাদের নির্বাচিত শাসকদের তথা রাজনৈতিক দল গুলার মধ্যে যতদিন না জেন্টেলমেন্ট এটিচুড় অথবা চুড়ান্ত গণতান্ত্রিক মানসিকতা আসবে না ততদিন কোন ব্যবস্থাই কার্যকর হবে না। টেউ গুনতে দিলেও টাকা কামাই করবে, আকাশের তারা গুনতে দিলেও টাকা কামাই করবে। একটা নির্বাচিত সরকারকে আমরা 5 বছরের জন্য নির্বাচিত করি ,বিশ্বাস করি এবং সংবিধানিক ভাবে একটা নির্বাচিত সরকারে নৈতিক দায়িত্ব একটা ক্রেডিবল ইলেকশন করা। চুড়ান্ত এই নৈতিক জায়গাটা আসলে কোন আইন দিয়ে হয় না। হয় কেবল জেন্টেলমেন্ট এটিচুড় তথা বিহেবিয়ার দিয়ে। যেমনটা হয় যুক্তরাষ্ট যুক্তরাজ্যে । নির্বাচনকে প্রভাবিত হতে না দেয়াটা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সেই দায়িত্বশীলতা 10 মাত্রার ভুমিকম্পের আগে আমরা পাবো কিনা জানিনা। সে লক্ষণ ও দেখছিনা আপাতত।

ডকটিন অব নেসেসিটি তৈরী হয়েছে – নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী না হওয়ার কারণে অথবা হতে না দেওয়ার কারণে। আর নির্বাচনকালীন নির্বাচিত সরকারের অবৈধ এবং অরুচিকর হস্তক্ষেপের কারণে। কিন্তু আমরা কেন সেই জায়গায় চিকিৎসা না করে তত্বাবধায়ক নামক বটিকার সন্ধান করছি? কেন আমরা সোচ্চার নই দল গুলার আভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই বলে? যার কারণে আমরা এত আইনগত সমস্যার মুখোমুখি। ফুটপাতে মোটর সাইকেল না চালানোর জন্য আলাদা আইনের দরকার হয় না। দরকার হয় বিবেকের। দরকার হয় ন্যায় নিষ্ট মানসিকতার। আমার আর একটি লিখা তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়েপড়তে পারেন। http://www.shobdoneer.com/arshad/54437

উপরের আলোচনায় মোটামোটি স্পষ্ট যে নির্দলীয় তত্বাবধায়ক আর হবার নয়। সুতরাং আমার মনে হয় বিরোধী দলের উচিত নির্বাচিত সংসদদের নিয়ে গঠিত সর্বদলীয় সরকারের দিকে অগ্রসর হওয়া। সেটা নিয়ে দরকাষাকষি হতে পারে। প্রধান নির্বাহী কে হবে সেটা নিয়ে কথা হতে পারে । স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে কথা হতে পারে। আমার মতে স্বতন্ত্র সংসদ ফওজুল আজীমকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়টা দেয়া যেতে পারে। সর্বশেষ ভবিষ্যতে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের ধারণা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। যেখানে সাংবিধানিক অনেক সমস্যার মিমাংসা হতে পারে। সহিংস হরতাল আমরা চাই না -মানুষ পোড়া গন্ধে বুক ভারী হয়ে আসছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

Testimony of Sixty- By Edward Kennedy বাংলাদেশের রক্তাক্ত সত্যের এক আন্তর্জাতিক স্বীকারোক্তি

লিখেছেন কিরকুট, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩




১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর বৈপরীত্যের বছর। এটি যেমন ছিল অন্ধকার ও রক্তাক্ত, তেমনি ছিল সত্যের প্রতি অবিচল এক সময়কাল। এই বছরের গণহত্যা, শরণার্থী স্রোত ও মানবিক বিপর্যয়ের বিবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×