লা-মাযহাবী ভাইদের (আহলে হাদীস ভাইদের) কাছে প্রশ্ন (১) ???
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের উস্তাদ, হাদীসের জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বজন স্বীকৃত ইমাম বিশেষত হাদীস যাচাই-বাছাই বা ইল্মুল্ জারহ্ অ-তা’দীলের অতুলনীয় ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্যাসাগর ইয়াহ্ইয়া ইবনে মঈন (রহঃ)।
কিন্তু অসীম জ্ঞানের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি বল্গাহীন পথ পরিহার করে ইমাম আবু হানীফার তাক্বলীদ করে চলতেন।
এ সম্পর্কে তাঁর নিজের মত দেখুনঃ
“ আমার নিকট গ্রহণযোগ্য ক্বিরাআত হামযার ক্বিরাআত এবং গ্রহণযোগ্য ফিক্বহ ইমাম আবু হানিফার ফিক্বহ। সকল মানুষকেও আমি এর উপর ঐক্যবদ্ধ পেয়েছি। ”
( তারিখে বাগদাদঃ পৃ – ১৩/৩৪৭ )
ইমাম ইবনে মঈন (রহঃ) এর মায্হাব সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বর্ণনা করেনঃ
“ ইয়াহইয়া ইবনে মঈন জারহ অ-তা’দীলের ইমাম এবং শীর্ষস্থানীয় হানাফীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ”
-মা’রিফাতুল্ মুতাকাল্লাম ফীহিম…যাহাবীঃ পৃ – ৭, ছাপা, মিশর ১৩২৪ হিঃ
ইবনে মঈনের প্রশংসা করতে গিয়ে ইমাম আহ্মাদ (রহঃ) বলেনঃ
“ ইমাম ইবনে মঈন যে হাদীস সম্পর্কে জানেন না সেটি হাদীস নয়। ”
বস্তুত ইমাম ইবনে মঈন হাদীসের বর্ণনাকারীর সত্যায়ন ও হাদীসের যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সত্যিই অতুলনীয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রতীয়মান হয় যে, অবশ্যই যাচাই-বাছাই করতঃ হাদীসের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ও বিশুদ্ধ মায্হাব হিসেবেই তিনি হানাফী মায্হাবকে মনোনীত করেছেন। অতএব, যারা বলে, হানাফী মায্হাব বিশুদ্ধ হাদীস পরিপন্থী, তাদেরকে ন্যায়পরায়ণতা ও আল্লাহর ভয় নিয়ে পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রশ্নঃ
যদি মাযহাব মানা শিরক হয়ে থাকে, তাহলে ইমাম ইবনে মঈন শিরক করেছেন, ফলে তিনি কাফির হয়ে গিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)। এখন, ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম তাদের হাদীসগ্রন্থে তাদের এই উস্তাদ থেকে অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন। প্রশ্ন হল,
১। একজন কাফের (!!) থেকে হাদীস নেওয়া জায়েয কি না ?? জায়েয হলে, কোরআনের কোন আয়াত বা কোন হাদীস দ্বারা তা জায়েয, প্রমাণ করুন।
২। আর যদি জায়েয না হয়, তাহলে তো এই উস্তাদ থেকে বর্ণিত বুখারী মুসলিমের অনেক হাদীসই সহীহ থেকে সরে এসে দুর্বল এমনকি জালই হয়ে যাবে !! তাহলে ঐসব ব্যক্তিগণ যারা মাযহাব মানাকে শিরক বলেন, তারা কি কখনো বুখারী মুসলিমের হাদীসকে জাল বলেছেন বা মানেন কি না যে বুখারী মুসলিমের সব হাদীস সহীহ না ??
৩। তাহলে বুখারী মুসলিম সিহাহ সিত্তার প্রধান ২টি কিতাব হল কি করে ??
৪। ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম একজন কাফেরের (!!) কাছ থেকে হাদীস শিখেছেন। এরকম ব্যক্তির সংকলিত হাদীসগ্রন্থ মানা যাবে কি না ?? মানা গেলে, তা কেন মানা যাবে ??
বি:দ্র:- যদি উত্তর জানা থাকে তবে প্রশ্নের জবাব দিন। অযথা অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা শুরু করবেন না।
মূল কথা বাদ দিয়ে অন্য আলোচনা শুরু করলে কমেন্ট ডিলেট করা হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭