somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের রাস্ট্র প্রধানের একটি স্পষ্ট রূপরেখার খসরা প্রস্তাব:: প্রিয় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত!!!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একজন মুক্ত মনের মানুষই স্বাধীন। যিনি নিজের মনে নিজে পরাধীন তিনি কিভাবে একটি স্বাধীন দেশ কল্পনা করতে পারেন? যে নেত্রীত্বদাতা তার নীতি কে শক্ত দূর্নীতির ইট বানিয়ে, সেই ইটের সাথে হিংস্রতার সিমেন্ট, অংহকারের বালি, লোভের রড, সহিংসতার ডিস্টেম্বর ও সাধারণ মানুষের রক্তের মোজাইক করে বিশাল অট্টালিকা তৈরি করেছেন। তারা কি করে বুঝবে সত্য ও সুন্দরকে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়?
নেতার মধ্যে যদি সত্যিকারের নীতি ও মানব মুক্তির বসনা না থাকে তাহলে তিনি কিভাবে অন্যদের প্রভাবিত করবেন? মানুষকে বেধে রাখার জন্য ভালোবাসা ও মায়ার বাধন অনেক বেশী শক্ত। এক জন সত্যিকারের মানুষ অন্য মানুষের স্বার্থ ও অধীকার রক্ষার জন্য চিন্তা করবেন।

দম্ভ, মিথ্যে বংশের দোহাই, অতীতের কোনো সুখ স্মৃতি হয়তো চায়ের দোকানে বা বাসায় কোনো মেহমানের কাছে প্রকাশ করা যায় তা দিয়ে তো একটি রাষ্ট্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হয় না। সাময়ীক লোভ, অর্থ এবং টাকাপয়শা, সম্পত্তির মায়া দিয়ে হয়তো কিছু মানুষ নামের জানোয়ারকে সাময়িক বেঁধে ফেলা যায়। কিন্তু বেশীরভাগ মানুষই তার নিজের মধ্যের জানোয়ারকে সারাজীবন ধরে পুষতে পারে না। একজন মানুষের মধ্যে জানোয়ারের নীতিকে লালন পালক করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যে অনেক বেশী কষ্টের হয়ে দাঁড়ায়। মানুষের মনের মধ্যে যখন জানোয়ারের নীতি জাগ্রত হয়, তখনও সে পুরোপুরি জানোয়ার হয়ে যেতে পারে না। জানোয়ার মনের ভিতরে যে মানুষটি বাস করে সে সুপ্ত অবস্থায় হলেও থাকে। যখন পশুমানবটি তার দাঁতকে সিংহের মতো তিক্ষ্ণ মনে করে কাউকে তেরে কামড়াবার জন্য উদগ্রি হয়ে ওঠে নিজের হুঙ্কারকে হিংস্র ও আক্রমনের চিৎকার করে ওঠে ঠিক সেই মূহুর্তেই নিজের ভিতরের সেই মানুষ মনটি তাকে স্পষ্ট ভাবে মনে করিয়ে দেয়। “আরে বোকা তুই যে মানুষ, তোর দাঁত যে অনেক আগেই পরে গেছে, এখন যা আছে তা বাঁধানো দাঁত আর তোর চিৎকার যে আত্মগ্লাণী ছাড়া কিছু না।” যখন এই সব শয়তানর নেতা-নেত্রীরা নিজেকে ভালোজাতের সাপ মনে করে ছোবল ফেনা তোলার চেষ্টা করে কাউকে কামড়ে ওঠার জন্য উদগ্রিব ও ব্যাকুল হয়ে ওঠে। ঠিক ঐ মূহুর্তেই টেলিভিশনে ডিসকভারি বা ন্যাশনাল জিওগ্রাফী চ্যানেলের সাপগুলো নিজের বিবেকের গভীর থেকে উপহাস করে বলে, “আরে বোকা তোর যে বিষ নেই, তুই যে একটি মেছো সাপের মতোও শক্তিশালী
নয়, তার চেয়ে তুই তোর সীমাবদ্ধতাকে সবার সামনে তুলে ধর!!!”

নীতি বিক্রয় করে হয়তো রাজণীতি ও অবৈধ সম্পদ কামাবার মাঠে সাময়িক সফলতা লাভ করা যায়। কিন্তু নিজেই সেই রাজণীতি ও অবৈধ সম্পদের কাছে জিম্মি হয়ে পরে। পাপের লেফট হ্যান্ডের থাপ্পরেরও যে অনেক বেশী জোড়। আর পাপের ডান হাতের ঘুশি যার পেটে একবার পড়েছে, তার আর বুঝতে বাকি নেই সারাজীবন ধরে কামাই করা ঘুষ যে পেটে ইসব-গোলের-ভুশির মতো ঢুকিয়ে ফুলে ফেঁপে বড় করা হয়েছিলো তার সব নারিভুরি, চর্বি বেড় হয়ে গেছে।

বন্ধু!!! পাপ তো পাপই। পাপের মধ্যে ডুবে থাকা মানুষ যে পাপী। পাপীদের কখনও ডাপ পন্থি, বাম পন্থি বা মধ্য পন্হি রূপে ভাগ করতে যেও না। মনে রাখবে পাপীরা যে চিরকালই সত্য ও মানবতার পরীপন্থী রূপ।

নেতাদের নীতি বিক্রি করে দেয়ার ফল কোনো ইতিহাসে, বিজ্ঞানে, অর্থণীতি, সমাজণীতি, গণিত, কম্পিউটার সহ যে সাবজেক্ট এর সাথে মিলিয়েই চিন্তা করো না কেনো কোনো ভালো রেজাল্ট আসবে না। ভালো ফল পাবে না। তারচেয়ে বরং ম্যাডিক্যাল সায়েন্স এর একটি সুন্দর রোগের নাম ক্যান্সার। ক্যান্সার রোগের গঠন প্রণালী ও ব্যাপ্তির সাথে সমাজে দুঃশাসন ও দূর্ণীতির প্রভাব ভালো করে উদাহরণ আকারে পেশ করা যায়। একটি জাতিকে যখন দীর্ঘদিন ধরে দুঃশাসন ও সমাজব্যবস্থার নাম করে অসমাজ প্রতিষ্ঠিত করা চেষ্টা করা হয়। তখোন পুরো জাতিকে একটি মানব শরীর হিসেবে কল্পনা করলে এই সব শয়তান ও বহুরূপী রাজণীতিকদের ক্যানসারের কোষের সাথে তুলনা করা যায়। আর তার আশেপাশের সুবিধাভুগী মানুষরা যে ঐ ক্যান্সারেরই সংক্রামন। আর ছাত্র বিহীন ছাত্র রাজণীতির নামে যে সন্ত্রাস ও

চাঁদাবাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাকে তুলনা করা যায় নতুন সক্রামিত হতে যাচ্ছে এমন ক্যাসারের কোষের সাথে। এবার এই ক্যান্সার কে তাড়াবার উপায় সম্পর্কে আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয় প্রিয়া ইফফাত জামান মুন (বরিশাল শের-এ-বাংলা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ণী ডাক্তার হয়ে বিশার মাপেল চোর হবার পথে নিজের মেধাকে বিকাশিত করতে যাচ্ছে) এর কাছেও ঝকঝকে পরিষ্কার। ও নিজের প্রেমিকের কাছে কিভাবে ছুটে আসতে হয় তা বুঝতে না পারলেও এটুকু অন্তত বুঝবে যে, আসল ক্যানসারের সংক্রামন স্থল সুন্দর করে কেটে ঐ বঙ্গপসাগরে ফেলে দিতে হবে।

আর ছাত্র বা শ্রমিক রাজনৈতিক নামের নতুন সংক্রামিত ক্যানসারের কোষ সমূহকে অপারেশন থিয়েটারে বিশাল বড় লাইটের আলো দিয়ে নয় বরং সত্যের আলো জ্বালিয়ে ঠিক করা সম্ভব। তাহলে যে ছাত্র, শ্রমিকের মধ্যে সত্যিকারের নীতিবোধ নিজে বেঁচে থাকার তিব্র ইচ্ছা জাগ্রত হয়ে সমস্ত জাতির মঙ্গল প্রদীপ রূপে প্রতিয়মান হবে।
মনে রাখতে হবে অনেক ক্যান্সারের চিকিৎসা খুব দীর্ঘ মেয়াদী আবার হঠাৎ খুব বড় ধরনের ক্যান্সারের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গেলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা যত দ্রত করা যায় ততো ভালো। প্রয়োজনে বার বার কোমোথ্রাপী দিতে হবে। অনেক বেশী কষ্ট হয় হোক। শরীরের প্রতিটি জায়গায় ভিষন রকম ব্যাথা অনুভূত হওয়ার চেয়ে অনেক ভালো।
আমি এতো উপমার ব্যবহার না করে একদম সোজা সাপ্টা ও স্পষ্ট অক্ষরে বাংলাদেশে সকল “গর্বীত বাংলাদেশী” সেনা সদস্য, সামরিক, আধা-সামরিক বাহিনীকে এই মুহূর্তে আদেশ দিচ্ছি যে, তোমরা আর ওই শয়তানদের হাতের পুতুল না হয়ে সোজাসুজি ক্যান্সারের আসল কোষ গুলোর উপর আক্রমন চালাও।

এতে করে যদি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তোমাদের সাময়িক ভুল বুঝলে বুঝক গিয়ে। তাতে কোনো অসুবিধা নেই। বরং এই জাতির মুক্তির ইতিহাসে তোমরা জীবিত বিরশ্রেষ্ঠ রূপে পাঠ্যবইয়ে স্থান পাবে। যাতে করে ক্লাস ওয়ানের ছাত্রটি পাকিস্তান থেকে উড়োজাহাজ নিয়ে পালিয়ে আসতে গিয়ে শহিদ হওয়া “বিরশ্রষ্ট মতিউর রহমান” নামের একজন বিরশ্রেষ্ঠর জন্ম তারিখ মনে না রাখতে পাড়ার দায়ে শিক্ষকের বেতের বাড়ি না খেয়ে বরং বুঝতে শিখবে দেশপ্রেম কাকে বলে! সকল ছাত্ররা বুঝতে শিখবে আজও কেনো বাংলার আকাশে “Made in Bangladesh” লেখা পোশাক পড়া মানুষ প্লেনে করে উড়তে পারে কিন্তু সেই প্লেনের গায়ে কেনো “Made in Bangladesh” লেখা নেই!

আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি বিশ্বের আকাশে বাংলাদেশের তৈরি করা উড়োজাহাজে উড়বে। বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী ক্ষেনপ অস্ত্রের নাম হল “বাঙালী চেতনা”।
যে চেতনাকে গোলাপের মতো করে প্রষ্পুষ্ঠিত করে ফুঁটাতে গিয়ে হাজার বছরে শত সহস্র ত্যাগী মানুষের জীবন দিতে হয়েছে। আর এই জীবন দেয়ার প্রতিক যে একটি রাঙা রবির মধ্যে প্রতিদিন প্রতিফলিত হবে। এ আমার হৃদয়ের সত্য বিশ্বাস।


বন্ধু এই সহজ-সরল, নিরিহ, অবুঝ বাঙালীর রক্ত নেয়ার খেলাকে যে আর সইতে পারছি না। এতো এতো রক্ত দেবার পরও কেনো আমাদের এই করুন পরিনতি হবে? বিশ্বে একই মুসলীম জাতিকে এতগুলো ভাগ করে কারা রেখেছেন? সিয়া সুন্নীর আকিদাগত পার্থক্য কি তা স্পষ্ট অক্ষরে ব্যাখ্যা না করে বরং সব মুসলিম এক তাওহিদের নিচে অবস্থান নিরে দেখবে ইসলাম যে এক পরম শান্তির আত্মপ্রকাশ। একজন সত্যিকারের মুসলিম কখনও অন্য ধর্মের লোক বলে মানুষকে অবহেলা করতে পারে না। মানুষ যে মানুষই। আর মানুষের সবচেয়ে বড় গুন মানবতা, ক্ষমা ও সত্যের স্পষ্ট প্রকাশ।
বন্ধু!!! মানবতার এই করুন আর্তনাদ যে আর সইতে পারি না। বিশ্বাস করুন যখন জালেম তার জুলুমের সীমা অতিক্রম করে তখন যে অসীম এসে সত্যকে জাগ্রত করবেই। যারা এখনও মনে করেন সত্যকে মুক্ত করা যায় তারা ভুল করেন। সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। সত্যের গুনগান গাওয়া যায়। সত্যকে সত্যজ্ঞানে ডাকা যায়। হৃদয়ের কোনো মহল্লার একদম কোনায় হলেও সত্য থাকে তাকে বেড় করে খুঁজে বেড় করা যায়। কিন্তু সত্য যে আপন শক্তিতেই বলিয়ান। সত্যকে বল দেয়ার মতো কোনো শক্তি যে কোনোদিন জন্মেও নি, আবার মৃত্যুও হয় নি। জন্ম ও মৃত্যু যেমন সত্য ঠিক তেমনী সত্য মানবতার অপমান যা শুধু সত্যের প্রকাশ দিয়েই মোকাবেলা করা সম্ভব।


যাই হোক, হাজার বছরের বাংলাদেশের স্বর্ণালী ঐতিহ্য, বিশ্বেস সেরা শিল্প সাহিত্যের বাংলাদেশে, বিশ্ব শান্তির জন্য বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করণ করা, মৌলিক ও স্বধীনতার চেনতার বাংলাদেশকে আরও সুন্দর ও পরিপূর্ণ করার লক্ষ্যে, বাংলাদেশের মানুষের স্থায়ী শান্তির জন্য একজন দুরদর্শী ও স্বাধীনচেতা সরকার প্রধানের অত্যান্ত বেশী প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। যার নেত্রীত্বে বাংলাদেশ তার আসল রূপ বিশ্বে প্রকাশ করবে। এবং বাংলাদেশ হয়ে উঠছে বিশ্ব শান্তির। আমি নিজেকে একজন গর্বিত বাংলাদেশী চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ মনে করে আমার চোখে যোগ্য এমন একজন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা পরিচালনায় প্রধান মানুষের কিছু নমুনা ও গুনাবলী আপনাদের উদ্দ্যেশে পেশ করলামঃ




১। অবশ্যই জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। (১৯৭১ইং সালে সংগঠিত মহান মুক্তিযুদ্ধে তার বাবা বা দাদা ঘাতক, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, দালাল বা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কোনো অভিযোগ থাকতে পারবে না।)
২। তিনি হবেন সবার আগে সত্যের পূজারী। মিথ্যা কথা কখনও বলতে পারবেন না। কোনো মিথ্যার প্রকাশ তার মধ্যে থাকবে না। জনগনের জন্য সেনসেটিভ ও অমঙ্গল হতে পারে এমন কোনো সত্য তার জানা থাকলে প্রয়োজনে কৌশলে এরিয়ে যাবেন তবুও মিথ্যা বলবেন না। রাষ্ট্রের অনেক গোপন রিপোর্ট ও কৌশল থাকতে পারে যা জনসাধারণের কখনও জানতে নেই।


৩। দেশে বা বিদেশে কোনো প্রকার নিজের নামে বা নিজের একদম কাছের ওয়ারিশগণের নামে কোনো প্রকার সম্পত্তি থাকতে পারবে না। দেশে বা বিদেশে নিজের কোনো প্রকার ব্যবসা-বানিজ্য বা কোন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকতে পারবে না। দেশে বা বিদেশে কোনো প্রকার ব্যাংক একাউন্ট থাকতে পারবে না। রাস্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহনের আগেই তার যাবতীয় স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সমূহ ওয়াক্‌ফা স্টেট করে বাংলাদেশের জনগনের কল্যানে দান করার অধীকার থাকবে। মেয়াদ শেষে কিবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনের পর বাকী জীবন রাস্ট্রীয় ব্যাবস্থাপনায় সবেক রাস্ট্রপ্রধান হিসেবে তার যাবতীয় যৌক্তিক ব্যায়ভার ও নিরাপত্তা বাংলাদেশ সরকার বহন করবেন।


৪। নিজ দেশের কোনো স্থাপনায় নিজের নাম ব্যবহার করা যাবে না।


৫। সবার আগে নিজের জাতিস্বত্তাকে ও “বাঙালী চেতনা”কে গুরুত্ব দিতে হবে। শান্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠা পরিপন্থি কোনো কিছু করা যাবে না।


৬। দেশের কাজ করার জন্য তার কোনো নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা হিসাব বলে বিবেচিত হবে না। তবে প্রতিদিন কমপক্ষে ১২ ঘন্টা রাষ্ট্রীয় কাজে নিজেকে ব্যাস্ত রাখতে বাধ্য হবে।


৭। নিজের ও পরিবারের শরীরের প্রটেকশনের জন্য রাষ্টের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তিনি ব্যবহার করার ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু তিনি নিজের বাড়তি নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে কোনো প্রকার রাষ্ট্রের অতিরিক্ত অর্থ খরচ করার প্রয়োজন হলে তার জবাবদিহীতা দিতে বাধ্য থাকবেন।


৮। তিনি দেশের ১ নম্বর নাগরিক বলে গণ্য হবেন। তারপরও তিনি একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে গণ্য হবেন। রাষ্ট্র তার এবং তার পরিবারবর্গের খাদ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসা সহ যাবতীয় আপ্যায়ন ব্যায় নির্বাহ করবেন। তবে তা অবশ্যই যৌক্তিক হতে হবে।


৯। দেশের বাইরের কোনো অতিথী এলে উক্ত অতিথীর পছন্দের খাবার মেনুর পাশাপাশি দেশীয় খাবারও পরিবেশন করতে হবে। যাতে করে ঐ অতিথী বাংলাদেশের মেহমান আপ্যায়নের রীতি সম্পর্কে অবগত হন।


১০। ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে দেশের সকল সাবেক রাস্ট্রপতি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলের প্রধানগণ, সাবেক সেনাপ্রধান, গর্ভর্ণরসহ একসাথে জাতীয় প্যাডেট স্কয়ার কিংবা জাতীয় স্মৃতি সৌধ এ উপস্থিত হয়ে একসাথে একই সময় ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি সম্মান জানাবেন।


১১। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান তার সর্বময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সেনাবাহিনীতে চাকুরীর মেয়াদ আছে এমন একজন চাকুরীজিবির বয়স হিসেবে বয়জষ্ঠ জেনারেলকে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করবেন। সেনাবাহিনীর প্রধান তার পদাধীকার বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রধান থাকবেন। এর ফলে রাস্ট্রপ্রধান সেনাবাহিনীকে তার অনুগত রাখবেন ঠিকই কিন্তু মেয়াদ শেষে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার জটিলতা দুর হবে।


১২। সরকারের মেয়াদ হবে ক্ষমতা গ্রহনের দিন থেকে পরবর্তি হবে ৪ বছর। ৪ বছর মেয়াদ শেষ হবার আগেই রাস্ট্রপ্রধান তার সরকারের সকল ক্ষমতা থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাবেন। সরকার ক্ষমতা ছাড়ার ৭ দিন আগে থেকেই পরবর্তী ২ মাসের জন্য নির্বাচন কালীন সরকার প্রধান নিয়োগ করবেন। রাস্ট্রপ্রধান তার ক্ষমতা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মারফত দেশের একজন সাধারণ মানুষ (তিনি অবশ্যই নির্দলীয়, সরকারের বেতনভুক্ত কেউ হতে পারবে না। দেশের বিখ্যাত সাহিত্যিক, অভিনেতা, সম্পাদক, শীল্পি, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, এই তালিকার প্রথম দিকে থাকবেন) এর হাতে নির্বাচন কালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।


যদি ৪ বছর অতিক্রান্ত হবার পরেও রাষ্ট্রপ্রধান ক্ষমতা না ছাড়েন তাহলে সরকার অবৈধ বলে বিবেচিত হবে এবং সকল ক্ষমতা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর হাতে যাবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা যাবার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ (তিনি অবশ্যই নির্দলীয়, সরকারের বেতনভুক্ত কেউ হতে পারবে না। দেশের বিখ্যাত সাহিত্যিক, অভিনেতা, সম্পাদক, শীল্পি, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, এই তালিকার প্রথম দিকে থাকবেন) এর হাতে ২ মাসের জন্য নির্বাচন কালীন সরকার গঠন করবেন। রাস্ট্রপ্রধান মারা গেলে উক্ত সরকারের বাকী মেয়াদ পূর্ণ করার প্রয়োজন মনে না করে পরবর্তি ৩ মাসের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মারফত দেশের একজন সাধারণ মানুষ (তিনি অবশ্যই নির্দলীয়, সরকারের বেতনভুক্ত কেউ হতে পারবে না। দেশের বিখ্যাত সাহিত্যিক, অভিনেতা, সম্পাদক, শীল্পি, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, এই তালিকার প্রথম দিকে থাকবেন) এর হাতে নির্বাচন কালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।


১৩। একজন ব্যক্তি দুই বারের বেশী রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারবেন না। তার বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ৩০বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬৩বছর। ৪ বছর মেয়াদ কালীন সময়ের মধ্য যদি রাস্ট্রপ্রধানের বয়সসীমা ৬৩বছর অতিক্রম করে তাহলে তার বয়স ৬৩বছর পূর্ণ হবার আগেই পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে। বর্তমান সময়ের বাংলাদেশ অন্য যে কোনো যুগের বা যে কোনো সময়ের চেয়ে আলাদা। তাই এই ব্যবস্থার প্রথমদিকে এমন একজনকে রাস্ট্রপ্রধান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে যিনি এই জেনারেশন গ্যাপটাকে সুন্দর ভাবে ট্যাকেল দিতে পারেন। সমসাময়িক সময়ে বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে এমন এক ব্যাক্তিত্বের অধিকারী হতে হবে যাতে করে তরুন ও বৃদ্ধ প্রজন্মের মধ্যে প্রযুক্তির হঠাৎ বিকাশ লাভের কারণে যেন জেনারেশন গ্যাপটি সুন্দর সম্মন্বয় করতে সক্ষম হয়। যাতে করে নতুন প্রজন্ম এবং আগের প্রজন্ম তাকে সমান ভাবে মন থেকে মেনে নিতে পারেন। এবং তিনি যেনো সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হবার মতো ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন হন।


১৪। সমসাময়ীক বাংলাদেশের এই সংকটময় বিপর্যয়ের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা রেখে দুরদর্শী পদক্ষেপ হিসেবে রাস্ট্রপতি হিসেবে এমন একজন গ্রহনযোগ্য ব্যক্তির হাতে জনগনের ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। যিনি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, দেশপ্রেমে ও সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে, সব শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে চলাচলে অভ্যস্ত, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের মানুষের সমস্যা সমূহ সম্পর্কে নিজ থেকে অবহিত হতে হবে। সেই সাথে দ্রুত প্রসারিত আধুনিক প্রযুক্তি সম্বন্ধে জ্ঞান থাকতে হবে। বাংলাদেশের বিশাল একটি শ্রেণী গ্রামে বাস করেন। তাদের প্রধান পেষা কৃষি। কৃষি ও খাদ্যতে বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে ও দেশের খেটে খাওয়া শ্রমজিবির দুঃখ কষ্ট বুঝতে সক্ষম হতে হবে।

১৫। প্রতি বছরে অন্তত ৬৪ দিন বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সদরে রাস্ট্রপ্রধান স্বশরীরে উপস্থিত হবেন। এ জন্য আগাম কোনো সফর সূচি নির্ধারিত থাকবে না। একমাত্র রাস্ট্রপ্রধানই এই সফরসূচীর ব্যাপারে কোন দিন কোন জেলায় যাবেন তা নিজের মনে গোপন রেখে যে সময় হেলিকাপ্টারে রওয়না হবেন ঠিক তার ঐ মূহুর্তেই হেলিকাপ্টার চালককে বলবেন। তিনি জেলার বিভিন্ন সরকারী অফিস, আদালত, হাসপাতাল, জেলখানার পরিবেশ, জন প্রশাসন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় রাস্তা ঘাট ঘুরে ঘুরে দেখবেন। তাতে করে সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে কাজের স্পৃহা আরও বেড়ে যাবে।

১৬। রাস্ট্রপ্রধান তার নিজ যোগ্যতাদিয়ে সবার মন জয় করে নিবেন। যে সব রাষ্টীয় সফর, ব্রীজ, কালভার্ট, সাইক্লোন সেল্টার, আরও বহুকিছুর উদ্বোধন একটি ভিডিও কলের মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব। সেখান থেকে বেড় হয়ে ঐ সব কাজ করার জন্য এতো এতো প্রহরা, গাড়ি বহর নিয়ে উপস্থিত হবার দরকার নেই। জনস্বার্থে এই সব স্থাপনা স্থাপিত করা সরকারের দায়িত্বের অংশ। এটাকে লোকদেখানো করা যাবে না।

১৭। মিডিয়া ও গণ মাধ্যমে রাষ্টপ্রধান প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন ১ঘন্টা জাতির উদ্দেশ্যে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি একদম সত্যজ্ঞানে প্রকাশ করবে। রাষ্ট্রপ্রধানকে যে প্রতিদিনই মিডিয়ার খবরের প্রধান শিরনাম বা নিউজ হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে তার ধ্যান জ্ঞান সব উজার করে দেশে ও জাতির স্বার্থের কথাই ভাববেন।

১৮। “দূর্ণীতি দমন কমিশন” নামের ঐ দূর্ণীতিকে আরো প্রসমনের ব্যবস্থা সমূহ একদম বন্ধ করে নতুন ভাবে সাজাতে হবে। সরকারী কোনো কর্মচারীর দূর্ণীতির প্রমান পাওয়া গেলে সর্বচ্চ ৩ কার্যদিবসের মধ্যে মিংমাসা পূর্বক চাকুরী থেকে অব্যহতি কিংবা অভিযোগ প্রমাণিত না হলে স্বাভাবিক ভাবে চাকুরী চালিয়ে যাবেন তবে কেউ মিথ্যে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে সাথে সাথে উক্ত ব্যাক্তিকে আইন রক্ষাকারী বাহিণীর উপর ন্যাস্ত করতে হবে।

১৯। বন্ধু রাষ্ট্রের কোনো রাষ্ট্রপ্রধান এলে তাকে যে বাংলাদেশের রাস্ট্রপ্রধান বিমানবন্দরে গিয়ে রিসিভ করবেন এমন কোনো কথা নেই। বরং দেশের একজন মন্ত্রী বা মন্ত্রী সমপর্যায়ের কোনো মানুষ রিসিভ করতে পারবেন।

২০। রাষ্ট্র প্রধান সব জায়গায় বাংলা ভাষা ব্যবহার করবেন। তিনি ইরেজী জানলেও কারও সাথে ইংরেজীতে কথা বলবেন না। প্রয়োজনে দোভাষীর সহয়তা নিবেন। যে বাংলা ভাষার জন্য বাঙালী এতো ত্যাগ করেছে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলে বাংলা ভাষাকে প্রধান্য দিতে হবে। তাতে করে বাংলাদেশী চেতনা বাংলার মানুষের ব্যাক্তিত্বকে আরো সুন্দর করবে।


২১। রাস্ট্রপ্রধান হবেন প্রচারবিমুখ। তিনি সাধারন মানে জীবন যাপনে অভস্ত্য হবেন। তিনি হবেন সৃষ্টিশীল মনের একজন মানুষ। সব ধর্মের মানুষের জন্য হৃদয় থেকে সমান টান অনুভব করতে হবে। ক্ষমতায় থাকা কালিন রাস্ট্র প্রধান এমন কোনো পোষাখ পরিধান করবেন না যাতে করে কোনো জাতিগোষ্টি বা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানে। পুরুষ হলে তার পোশাক হতে পারে প্যান্ট ও ফতুয়া। মহিলা হলে তার পোশাক হতে পারে শারী, কাপর, বা সেলোয়ার কামিজ, যা অবশ্যই সুন্দর কালারফুল হতে হবে।

২২। যে সকল চুক্তিতে বিদেশীদের স্বার্থ বেশী বলে পরিলক্ষিত হবে। সে সব চুক্তি করা যাবে না। দেশের অমঙ্গল হয় এমন কোনো চুক্তি করা যাবে না। যদি রাস্ট্রপতিকে কোনো কারনে ব্লাক মেইলীং এর শিকার হতে হয় তাহলেও তিনি কোনো প্রকার দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করতে পারবেন না। ব্যাক্তিগত শত্রুতার বসে কারও কোনো ক্ষতি করতে পারবে না আবার তার পরিবার থেকে মানুষ এনে সরকার ব্যবস্থার বড় বড় স্থানে বসাবে তাও হবে না। তাকে থাকতে হবে সকল সুন্দরের পক্ষে। প্রয়োজনে নির্বাচনে হারবেন কিন্তু দেশের ক্ষতি করবেন না। প্রয়োজনে নিজের জীবন দিয়ে দিবেন কিন্তু দেশের ক্ষতি করতে পারবেন না। এমন মন মানুষিকতা থাকতে হবে।



বন্ধু এই প্রস্তাবগুলী আমার হৃদয় থেকে এসেছে। আর এই হৃদয়ের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। বিশ্বাস করুন আমি আপনাদের কাছে কিছু চাই না আমি চাই বাংলাদেশে বিশ্বের বুকে মাথা উচুকরে দাঁড়াক। এমন সুন্দর একটি দেশ এভাবে চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যাবে। এতো এতো প্রাণ ঝড়ে যাবে কেনো? আমার তার বোধগম্য হচ্ছে না।
সবাই সবার জায়গায় সৎ। কর্মশীল। নিজ ধর্মে অনুগত থেকে দেশ ও মানুষের প্রতি হৃদয়ের টান অনুভূত হলে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করা সম্ভব।


আমি একটি শিক্ষিত মানুষ, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র মুক্ত সুন্দর ও সমৃদ্ধি শালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। বালাদেশ থেকে অহংকার নামের বস্তুটি চিরতরে হারিয়ে যাবে। কোনো প্রকার উচুনিচু ভেদজ্ঞান থাকবে না। সন্তানের জন্য মা-এর চিন্তাকে রাষ্ট নিজের করে ভাবতে শিখবে। বাংলার মানুষ মানুষকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে না। সবাই বাংলার গ্রাম শহরে ঘুরে ঘুরে দেখার সমান সুযোগ পাবে।


বন্ধু জীবনটা অনেক ক্ষুদ্র। তোমার স্বপ্ন তুমি নিজেই বাস্তবায়ন করে দেখাতে সক্ষম হবে। আমি এক বাঁধন হারা পাখির মতো। তোমাদের নিত্যদিন সময়কে গুরুত্ব দিতে বলছি। মানুষ যে সময়ের কাছে অসহায়। যে সময়টি তুমি তোমার জীবনকে এগিয়ে নিতে পারো:: সেই মূল্যবান সময়কে অবহেলায় নষ্ট করছো কেনো?


পাখির যেমন একদেশ থেকে অন্যদেশে যাবার ভিসার দরকার হয় না ঠিক তেমনি করে মানুষের মনের ভাষাকে পৃথিবীর কোনো আইন দিয়ে বাঁধা যায় না। কাল রাতে রাশেদ খান মেনন সাহেব এক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে বলেছেন ব্লগ সাইট গুলোর উপর রাষ্টিয় ভাবে নিয়ন্ত্রন করা দরকার। এজন্য নাকি বিদেশ থেকে বিশাল দামি দামি মেশিনারিজ ও প্রযুক্তি কিনতে হবে। হয়রে!!! অভাগা দেশ!!! মুক্ত চিন্তা করে স্বাধীন মত প্রকাশ করাও অন্যায়?


রাশেদ খান মেনন সাহেব আপনি তো কমনিস্ট পন্থী নামে বিখ্যাত। আপনি কি জানেন ভারতবর্ষে কার হাত ধরে কমিউনিজম এসেছে? চট্টগ্রামের সন্দিপের কমরেড মুজাফফর আহমেদ এর হাত ধরে। তার আদর্শের সৈনিক ছিলেন জৈতি বসু। ভালোমানুষদের কোনো নির্দিষ্ট দলে বেধে রাখা যায় না। আপনি আপনার আদর্শকে জলাঞ্চলী দিয়ে আজ টাকার কাছে নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছেন। টাকার ধ্বংস আছে। আর্দশের ধ্বংস হয় না। এখনও সময় আছে ভালো হয়ে যান?


আজ পাকিস্তান নিয়ে বি.এন.পি কোনো কথা বলছে না। এ কেমন কথা? বেগম খালেদা জিয়া আপনি কি জানেন পাকিস্তানের জাতির পিতা কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কোন দল করতেন? মুসলিম লীগ। আর এই মুসলিম লীগ নামক দলটির প্রতিষ্ঠা হয়ে ছিলো বাংলাদেশে। ১৯০৫সালে ঢাকার নবাব বাড়ীতে নবাব সোলিমুল্লাহর হাত ধরে। সেই মুসলিম লীগ থেকে শের-এ-বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহিদ

সরহওয়ার্দী কে কৌশলে বেড় করে দিয়ে জিন্নাহ্ ইংরেজদের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে কলংকের হাতকড়া পড়াতে চেয়েছিলো। কিন্তু বাংলাদেশী চেতনার কাছে ওদের ঐ পাকিস্তান নামক অপাকস্তানের দম্ভ ধুলির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছিলো। পাকিস্তান একটি বর্বর জাতিগোষ্টির দেশ। ওদের সাথে বাংলাদেশের তুলনা চলে না।

পাকিস্তানের আগে “পাক” অর্থাৎ পবিত্র তকমাটি লাগানো আছে। তাই বলে কি তারা পবিত্র হয়ে গেলো? বাংলার মানুষের মনের চেয়ে পবিত্র আর কিছু নেই। বাংলাদেশের অনেক নিচে পাকিস্তানের স্থান। তাই ঐ সব বাজে দেশের সাথে আমাদের কেউ তুলনা করুক আমরা তা চাই না।

আজ যারা পাকিস্তানকে মুসলিম বা ইসলামের দোহাই দিয়ে কাছে টেনে নিতে চাইছেন। তারা কি জানেন আমাদের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সঃ) এর দেশ কে কারা আজ “কিংডম অব সৌদ-এ-আরবীয়া” বানিয়ে রেখেছেন। বাংলার সব ইতিহাসবিদ ও মুক্তবুদ্ধির মানুষ আজ সবাই কে জানিয়ে দিন সৌদ কার নাম? এমন কেউ কি আছেন যে আমাকে প্রমান করে দেখাতে পারবেন “আল-সৌদ এমেরিকার চামচা ছিলেন না”। এ আমার ওপেন চ্যালেঞ্জ।

আবার দেবতা ভরতের নাম থেকে ভারত নামের উৎপত্তি। ভারতকে হিন্দুস্থান বলতে কষ্ট লাগে, কিন্তু ভরত যে একজন হিন্দুদের দেবতা তা কি ঐ সব অন্ধ মুসলিমরা জানেন না?

তারপরও খেয়াল করে দেখুন আমরা কতো সম্পৃতির মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। ভারতের মানুষ আজও কলম দিয়ে লেখে পেন দিয়ে না। আর কলম হল আরবী শব্দ।
পরিশেষে আমি বলতে চাই কারও যদি ক্যান্সার ধরা পরে আর সেই ক্যান্সারের চিকিৎসা না করিয়ে যদি রোগীকে পিটাতে পিটাতে রক্তাত্ত করে বলতে থাকেন “তুর ক্যান্সার হয়েছে কেনো? তোর কেনো ক্যান্সার হবে?”। আরে বন্ধু!!! রক্তের পরিনাম কখনও ভালো হয় না। বন্ধ কর এই রক্তের হলি খেলা।

গড়ে তোলো জীবনানন্দের রূপসী বাংলা।




মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্
মালিক/সিইও
মেরী কম্পিউটার্স
কাশিপুর বাজার
বরিশাল।
যোগাযোগঃ ০১৭১৭-০৪৪৯১৯, ০১৮১৯-১০৬৪০৭

https://www.facebook.com/asif.ud

চমকে ওঠে মোর ভুবন :: ও হরিন চোখের চাওয়ায়....
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×