somewhere in... blog

সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ৫ পরিবর - ০১- রথসচাইল্ড পরিবার।

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ আমরা বিখ্যাত রথসচাইল্ড ব্যাংকিং পরিবারকে আমাদের গভীর দৃষ্টিতে দেখব, এবং তাদের দ্বারা অধিকসংখ্যক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। প্রায় প্রত্যেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুমান করা হয় যে রথসচাইল্ড এর আঙ্বুলের নির্দেশে বিশ্বের সরকারগুলো কিছু গোপন কাউন্সিলের নির্দেশনায় নড়াচড়া করে। আমরা এই রহস্যময় পরিবার এর দিকে তাকালে দেখব প্রত্যেক যুদ্ধে তাদের ভুমিকা দুই তরফ থেকে আছে। পরাশক্তিরা নিজেদের সার্বভৌমত্তের জন্য লড়াই করার নাম করে বাজার দখলের জন্য লড়াই করে। কারন মূলে হল টাকা।

টাকার জন্য তারা যা ইচ্ছা তাই করতে পারে যেমনটা তারা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কে হত্যা কিংবা ফ্রাঙ্কলিন ডেলানো রুসাভেলত কে উৎখাত করা। ১৮০০ সালের পরে পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে এই পরিবার সেগুলাতে অর্থায়ন করেছে। এবং সেটা করা হয়েছে দুই পক্ষেই।

১৮০৩ থেকে ১৮১৫ সাল পর্যন্ত যখন নেপোলিয়ন ব্রিটেন এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাখন এই পরিবারের দুই ভাই দুই দেশে ঘাটি করে । জেকব রথসচাইল্ড ফ্রান্সে আর নাথান রথসচাইল্ড ব্রিটেনে। দুই জনের টাকার বিনিময়ে যুদ্ধ যখন চরম সীমায় চলে যায় তখন এই দুই ভাই দেখল ব্রিটেনের সাথে থাকা লাভজনক। তাই জেকব রথসচাইল্ড টাকা কমিয়ে দিল আর নাথান রথসচাইল্ড টাকা বাড়িয়ে দিল। ইংল্যান্ড এই যুদ্ধে জিতে যায়।

তার মধ্যে নাথান রথসচাইল্ড আরেকটি কাজ করল যেটা হল এক ঢিলে দুই পাখি মারা। সেটি হল যখন সে জানল ইংল্যান্ড যুদ্ধে জিতে যাবে তখন সে তার সব ব্রিটিশ বন্ড বিক্রি করে দেয়। তার দেখা দেখি বাকিরা বুঝতে পারল যে ইংল্যান্ড হারছে তাই তারাও তাদের সাথের সব বন্ড বিক্রি করে দিল। যেহেতু রথসচাইল্ড পরিবার খুবি ধনী তারা সব বন্ড কিনে ফেলল। এবং সাথে সাথে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেল। যেহেতু ইংল্যান্ড জিতেছে সেহেতু রথসচাইল্ড ব্রিটিশ অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক হয়ে গেল। তারা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এর মালিক। তখন থেকে তারা সারা বিশ্বের অর্থনীতির ভাগ্য নির্ধারণ করে চলছে। কখনো তারা বাজারকে ধসিয়ে দেয় তার থেকে লাভ নেয়ার জন্য এবং ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য।

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে তারা সবচেয়ে বড় খেলা দেখিয়েছে। আমরা জানি জার্মানি ইহুদীদের ঘৃণা করেছিল। কারন আর কিছুই না রথসচাইল্ড পরিবারের লোভ, লালসা সৃষ্টি। ইংল্যান্ড কে চাপ দিয়ে ভারসাই চুক্তি করাই হল আসল উদ্দেশ্য এবং সে চুক্তির কুফল হল দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ। যখন যুদ্ধ বেধে গেল তারা দেখল ইংল্যান্ড আর ফ্রান্স পরাজিত হচ্ছে এবং তারা যে ব্রিটিশ অর্থনীতি নিয়ে নিএছিল সেটা হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে। তখন তারা উঠে পরে লাগলো আমেরিকা কে যুক্ত করার জন্য কারন তখন আমেরিকা উদীয়মান বিরাট পরাশক্তি। কিন্তু ১৯৩০ সালের শেয়ার বাজার ধ্বসের কারনে আমেরিকান রা চাচ্ছিল না যুদ্ধে অংশ নিতে। যদিও শেয়ার বাজার ধ্বসের কারন ছিল এই পরিবার। তখন এই পরিবার বাধ্য করল তাদের আরেক বন্ধু মিতসুবিশি কে বাধ্য করে, সে জাপান সরকারকে উস্কানি দিতে লাগলো যুদ্ধে আগানোর জন্যএতে তাদের ক্ষমতা হাতছাড়া হল না উপরন্ত তারা দায়িত্ব নিয়ে নিল আমেরিকান ফেডারেল রিসার্ভ ব্যাংক এর।

যুদ্ধ শেষে এই পরিবার ইংল্যান্ড কে দিয়ে ইসরায়েল নামক রাষ্ট্রটি আবিষ্কার করে। যেটা ইহুদি মতবাদের উপর ভিত্তি করে গরে তোলা।

আমরা সবাই একটা জিনিস জানি সেটা হল আমেরিকা, ইংল্যান্ড খ্রিষ্টান দেশ তাহলে তারা ইসরায়েলকে এত সহায়তা দেয় কেন? কারন এই দেশকে যারা চালায় তারাই সবার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে। রথসচাইলদ পরিবার ব্যাংকিং ভিত্তিক পরিবার। এটা বলা হয় পৃথিবীর এমন কোন ব্যাংক নাই যেটাতে এই পরিবারের শেয়ার নেই। এই পরিবার যদি চায় সারা পৃথিবীর ঋণ পরিশোধ করে দিতে পারে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকৃত ব্যাংক হল ইসলামী ব্যাংক। কি বিশ্বাস হল না, কিন্তু তাহাই সত্য।

পরবর্তীতে আসবে "রকফেলার" আরেক পরিবার ......
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
৪৫৬ বার পঠিত
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের মতো প্রতিষ্ঠানের উচিত তাদের অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন করা এবং বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া।

লিখেছেন জ্যাকেল , ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৫

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ভূমিকা বরাবরই সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে গণমাধ্যমের কাজ হলো সত্য প্রকাশ, জনমতের প্রতিনিধিত্ব এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়া। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে যে, বাংলাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার সাজিদ কমেন্ট অফ রাখায় এখানে লিখছি (সাময়িক)

লিখেছেন মিরোরডডল , ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৫


সাজিদের বিদায় পোষ্ট দেখলাম, কমেন্ট সেকশন বন্ধ রাখায় ভাবলাম এখানেই লিখে যাই।

জানিনা কি বলবো, হয়তো এটাই দেখা বাকি ছিলো।
চলে যাবার কারণ জানিনা কিন্তু অনুমান করতে পারছি।
Man! you shouldn't leave.

ব্লগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনা রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হতে যাচ্ছেন?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭


আজকাল মানুষ চেনা বড্ড কঠিন হয়ে পড়ছে। কে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কার পক্ষে দাঁড়াচ্ছে তা বুঝা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতিতে এই কথা আরো বেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কখনো বিদায় বলতে নাই

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



ব্লগে কিছুদিন ধরে অনিয়মিত হওয়ায় কখন কি ঘটে জানি না।
কিছুক্ষণ আগে মিররডলের একটা পোস্টে জানতে পারলাম , ব্লগার আমি সাজিদ ঘোষণা দিয়ে ব্লগ ছেড়েছেন । তার সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তীব্র নিন্দা জানাই

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৭



চাঁদগাজী একজন গ্রেট ব্লগার। তার তুলনা হয় না।
সামু তার সাথে বারবার অন্যায় করেছে। একটা দিন তাকে শান্তিতে ব্লগিং করতে দেওয়া হয়নি। সামুর ইতিহাসে তাকে সবচেয়ে বেশি বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×