আজ আমরা বিখ্যাত রথসচাইল্ড ব্যাংকিং পরিবারকে আমাদের গভীর দৃষ্টিতে দেখব, এবং তাদের দ্বারা অধিকসংখ্যক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। প্রায় প্রত্যেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুমান করা হয় যে রথসচাইল্ড এর আঙ্বুলের নির্দেশে বিশ্বের সরকারগুলো কিছু গোপন কাউন্সিলের নির্দেশনায় নড়াচড়া করে। আমরা এই রহস্যময় পরিবার এর দিকে তাকালে দেখব প্রত্যেক যুদ্ধে তাদের ভুমিকা দুই তরফ থেকে আছে। পরাশক্তিরা নিজেদের সার্বভৌমত্তের জন্য লড়াই করার নাম করে বাজার দখলের জন্য লড়াই করে। কারন মূলে হল টাকা।
টাকার জন্য তারা যা ইচ্ছা তাই করতে পারে যেমনটা তারা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কে হত্যা কিংবা ফ্রাঙ্কলিন ডেলানো রুসাভেলত কে উৎখাত করা। ১৮০০ সালের পরে পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে এই পরিবার সেগুলাতে অর্থায়ন করেছে। এবং সেটা করা হয়েছে দুই পক্ষেই।
১৮০৩ থেকে ১৮১৫ সাল পর্যন্ত যখন নেপোলিয়ন ব্রিটেন এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাখন এই পরিবারের দুই ভাই দুই দেশে ঘাটি করে । জেকব রথসচাইল্ড ফ্রান্সে আর নাথান রথসচাইল্ড ব্রিটেনে। দুই জনের টাকার বিনিময়ে যুদ্ধ যখন চরম সীমায় চলে যায় তখন এই দুই ভাই দেখল ব্রিটেনের সাথে থাকা লাভজনক। তাই জেকব রথসচাইল্ড টাকা কমিয়ে দিল আর নাথান রথসচাইল্ড টাকা বাড়িয়ে দিল। ইংল্যান্ড এই যুদ্ধে জিতে যায়।
তার মধ্যে নাথান রথসচাইল্ড আরেকটি কাজ করল যেটা হল এক ঢিলে দুই পাখি মারা। সেটি হল যখন সে জানল ইংল্যান্ড যুদ্ধে জিতে যাবে তখন সে তার সব ব্রিটিশ বন্ড বিক্রি করে দেয়। তার দেখা দেখি বাকিরা বুঝতে পারল যে ইংল্যান্ড হারছে তাই তারাও তাদের সাথের সব বন্ড বিক্রি করে দিল। যেহেতু রথসচাইল্ড পরিবার খুবি ধনী তারা সব বন্ড কিনে ফেলল। এবং সাথে সাথে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেল। যেহেতু ইংল্যান্ড জিতেছে সেহেতু রথসচাইল্ড ব্রিটিশ অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক হয়ে গেল। তারা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এর মালিক। তখন থেকে তারা সারা বিশ্বের অর্থনীতির ভাগ্য নির্ধারণ করে চলছে। কখনো তারা বাজারকে ধসিয়ে দেয় তার থেকে লাভ নেয়ার জন্য এবং ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে তারা সবচেয়ে বড় খেলা দেখিয়েছে। আমরা জানি জার্মানি ইহুদীদের ঘৃণা করেছিল। কারন আর কিছুই না রথসচাইল্ড পরিবারের লোভ, লালসা সৃষ্টি। ইংল্যান্ড কে চাপ দিয়ে ভারসাই চুক্তি করাই হল আসল উদ্দেশ্য এবং সে চুক্তির কুফল হল দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ। যখন যুদ্ধ বেধে গেল তারা দেখল ইংল্যান্ড আর ফ্রান্স পরাজিত হচ্ছে এবং তারা যে ব্রিটিশ অর্থনীতি নিয়ে নিএছিল সেটা হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে। তখন তারা উঠে পরে লাগলো আমেরিকা কে যুক্ত করার জন্য কারন তখন আমেরিকা উদীয়মান বিরাট পরাশক্তি। কিন্তু ১৯৩০ সালের শেয়ার বাজার ধ্বসের কারনে আমেরিকান রা চাচ্ছিল না যুদ্ধে অংশ নিতে। যদিও শেয়ার বাজার ধ্বসের কারন ছিল এই পরিবার। তখন এই পরিবার বাধ্য করল তাদের আরেক বন্ধু মিতসুবিশি কে বাধ্য করে, সে জাপান সরকারকে উস্কানি দিতে লাগলো যুদ্ধে আগানোর জন্যএতে তাদের ক্ষমতা হাতছাড়া হল না উপরন্ত তারা দায়িত্ব নিয়ে নিল আমেরিকান ফেডারেল রিসার্ভ ব্যাংক এর।
যুদ্ধ শেষে এই পরিবার ইংল্যান্ড কে দিয়ে ইসরায়েল নামক রাষ্ট্রটি আবিষ্কার করে। যেটা ইহুদি মতবাদের উপর ভিত্তি করে গরে তোলা।
আমরা সবাই একটা জিনিস জানি সেটা হল আমেরিকা, ইংল্যান্ড খ্রিষ্টান দেশ তাহলে তারা ইসরায়েলকে এত সহায়তা দেয় কেন? কারন এই দেশকে যারা চালায় তারাই সবার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে। রথসচাইলদ পরিবার ব্যাংকিং ভিত্তিক পরিবার। এটা বলা হয় পৃথিবীর এমন কোন ব্যাংক নাই যেটাতে এই পরিবারের শেয়ার নেই। এই পরিবার যদি চায় সারা পৃথিবীর ঋণ পরিশোধ করে দিতে পারে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকৃত ব্যাংক হল ইসলামী ব্যাংক। কি বিশ্বাস হল না, কিন্তু তাহাই সত্য।
পরবর্তীতে আসবে "রকফেলার" আরেক পরিবার ......