দরদীয়া স্বপ্নপুরীর মরমী সুরে নিশিতের তরজায় তুমি,
মরন গ্রহনের আঁধারেও ধরনীর আদ্যন্ত হৃদয়ের চিরভূমি।
ক্লান্ত শিউলির আদরে ঘুম ভেঙে গেলে পরে;
তোমার শান্তির ভোরে সূর্যের অপছায়া গড়ে,
আকাশের ওপারে আকাশে সূর্য নক্ষত্রের চক্রগতি।
নব যুগের চলতি বাজারে নব আমদানি;
ফ্যাশন নয় তবু যেন প্রকৃতির রূপরানী-
নীল শাড়িটা গায়ে তির্যক ভঙ্গিতে আঁট করে ল্যাপ্টানো,
উঁচু খুরওয়ালা জুতো,
গোলাপি রেশমের মায়া সিক্ত ঠোঁট হৃদ’ আঁকানো,
আলো-আঁধারের মতো পরমা স্বপ্নশিশির তুমি।
প্রশস্ত রাজপথে হরতালের দিনে যানজট বিহীন
নগরী শান্তির নিরালায় বিলীন,
পরক্ষনেই হত্যার বিভীষিকায় মলিন;
ঠিক এমনই তুমি, কখনও শান্ত
আবার কখনও অগ্নুৎপাতের মতই বড় বেশি অশান্ত;
তবুতো আমার জীবনের স্বপ্নশিশির তুমি।
তোমার পাঁজরে ক্ষমতার দখল পেতে হলে চাই অন্তর্বর্তীকালীন প্রেম,
লাগাতার হরতাল আর অবরোধ কর্মসূচিতে যদি ভেঙে না পরো
তবে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালাবো তোমার বুনো আঁচলে,
দাঊ দাঊ করে জ্বলবে ঘৃণায় বাঁধা যত ফ্রেম।
তোমার লাজ রাঙা হাসি যেন জনসভায় দেয়া নেতাদের মিছে আশ্বাস,
তবু কেন আমার বুকের মাঝে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়
এইতো তোমাকে ভোট দিলেই ফিরে পাবে,
আমার অধর তার হারানো বিশ্বাস।
যখন রিক্সায় চড়ে তোমার পাশে বসে আমি
পশ্চিমের পথে চলি, মনে হয় যেন অনন্তকাল
এভাবেই তুমি আমার পাশে বসে থাকো;
এই বেশ ভালো।
কেবল রিক্সার চালক কোন মানুষ নয়, সৌরশক্তি।
দরদীয়া স্বপ্নপুরীর তুমি প্রেম, বৃষ্টির পথে নেমে এসে কর ভক্তি,
আরও তীব্র আশা নিয়ে তুমি মাটির মতো হৃদয়কে।
সেই পথে আমিও যখন রিমঝিম দিশারী স্মৃতিকে
করি হৃদয়ের তাড়নে পুলকিত, তখন তুমি মেঘের মতোই প্রেম।
এলোমেলো উপমায় রচিত এই কবিতার মতোই যেন তুমি,
ঘুমহীন নিশিতের তরজায় যখন জেগে আছি আমি।